Ajker Patrika

কুষ্টিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ২১
Thumbnail image

কুষ্টিয়ায় সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মামুনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার আসাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মামুন একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিল মেম্বারের ছেলে। 

ঘটনাস্থলে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই গ্রামের ওহাব-গোলাপ গ্রুপের সঙ্গে ইউপি সদস্য মামুন-ইয়াহিয়া গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলছিল। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ লেগেই থাকত। কয়েক দিন আগে ওহাব গ্রুপের কলিমুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মামুন গ্রুপের লোকজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুই গ্রুপ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে আজ শনিবার প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য মামুনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁর পায়ে ও কোমরে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মামুনের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই গ্রুপ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশের সঙ্গে পরে সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে আসে। হামলা ও লুটপাটের ভয়ে সবাই গ্রাম ছাড়ছে। এখনো উত্তেজনা চলছে। 

গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়। দুই গ্রুপের মধ্যে সব দলের লোকজন আছে। তিনি জানান, ওই গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব অনেক আগে থেকেই চলছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আজ আমার পরিষদের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত