প্রতিনিধি
বাগেরহাট: উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বাগেরহাটে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির সভা অব্যাহত রয়েছে। উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। এসব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী। চারটি উপজেলায় থাকছে ৪৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইয়াস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও তৎপর রয়েছে।
এ ছাড়া ইয়াস মোকাবিলায় জেলার মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্টের ইউনিট প্রধান এ এস এম গোলাম কবির।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডেও সভা চলছে। ঝড় সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়ে প্রয়োজনীয় আলো ও পানির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতেও স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া সব জনপ্রতিনিধি, চকিদার ও বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করা তালিকাভুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আসন্ন ইয়াসের আঘাতের ক্ষতি কমাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
ইয়াস মোকাবিলায় চিকিৎসা বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলার সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিদ্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চারটি উপজেলার ৩৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এসব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া চারটি উপজেলার প্রত্যেকটিতে দুটি করে এক্সট্রা মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। তাঁরা জরুরি পরিস্থিতিতে যেকোনো মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ভূমিকা রাখবেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, মোরেলগঞ্জ, শরণখেলা, মোংলা, ও রামপাল উপজেলাকে অধিক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এসব উপজেলায় জারের মাধ্যমে সুপেয় পানি, শুকনো খাবার ও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় মালামাল সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা, জনপ্রতিনিধিসহ সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ইয়াস মোকাবিলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কথা। আগামীকাল সোমবার এটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রূপ নিতে পারে এবং ওইদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকালের মধ্যে এটি তীব্র থেকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বুধবার (২৬ মে) বিকেল নাগাদ ভারতের উত্তর ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
বাগেরহাট: উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বাগেরহাটে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির সভা অব্যাহত রয়েছে। উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। এসব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী। চারটি উপজেলায় থাকছে ৪৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইয়াস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও তৎপর রয়েছে।
এ ছাড়া ইয়াস মোকাবিলায় জেলার মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্টের ইউনিট প্রধান এ এস এম গোলাম কবির।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডেও সভা চলছে। ঝড় সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়ে প্রয়োজনীয় আলো ও পানির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতেও স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া সব জনপ্রতিনিধি, চকিদার ও বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করা তালিকাভুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আসন্ন ইয়াসের আঘাতের ক্ষতি কমাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
ইয়াস মোকাবিলায় চিকিৎসা বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলার সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিদ্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চারটি উপজেলার ৩৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এসব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া চারটি উপজেলার প্রত্যেকটিতে দুটি করে এক্সট্রা মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। তাঁরা জরুরি পরিস্থিতিতে যেকোনো মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ভূমিকা রাখবেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, মোরেলগঞ্জ, শরণখেলা, মোংলা, ও রামপাল উপজেলাকে অধিক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এসব উপজেলায় জারের মাধ্যমে সুপেয় পানি, শুকনো খাবার ও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় মালামাল সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা, জনপ্রতিনিধিসহ সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ইয়াস মোকাবিলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কথা। আগামীকাল সোমবার এটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রূপ নিতে পারে এবং ওইদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকালের মধ্যে এটি তীব্র থেকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বুধবার (২৬ মে) বিকেল নাগাদ ভারতের উত্তর ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেছেন, অনেক কষ্টের বিনিময়ে দেশে একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেই পরিবেশ থেকেই গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। এ অভ্যুত্থানে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাঁদের স্মরণে রাখতে হবে।
৪১ মিনিট আগেসবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে মহিষখোচা থেকে বুড়িরবাজার পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। এটি আদিতমারী উপজেলার অর্থনৈতিক কেন্দ্র মহিষখোচাকে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিনের পুরোনো বসতি হলেও এ পথে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়কটি কাঁচা থাকায় বর্ষা এলেই পরিণত হয় কাদা-পথে। এ সময় এই পথ হয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কিংবা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া—সবই হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয় পুলিশ ও মিল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ এক বছর বন্ধ থাকার পর গত ২৮ জুলাই গাভুরকাছ গ্রামের ওমর হাসান, মাঈনুল হাসান মিল্টন ও মোবারকপুর গ্রামের রুহুল আমিন মিলে আবু সাঈদ অটো রাইসমিলটি আবার চালু করেন। বর্তমানে সেখানে ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
২ ঘণ্টা আগে