Ajker Patrika

সংবিধান সংস্কারে সংসদের প্রতিনিধি দরকার: মির্জা ফখরুল

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ৫০
যশোরে জিলা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে জিলা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।

আজ শুক্রবার রাতে যশোরে জিলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন: আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন সংবিধানও সংস্কার করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন কীভাবে করবেন? একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার হবে না। ওটা করতে গেলে সাংবিধানিক কিংবা সংসদের প্রতিনিধি লাগবে। সেটার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। একই সঙ্গে সবচেয়ে প্রধান যে জিনিসটা দরকার, সেটি হলো নির্বাচন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হঠাৎ করেই কোনো কিছু পরিবর্তন করে ফেললে হবে না। সেটা কতটা টেকসই হবে, সে চিন্তাও করতে হবে। তার জন্য গণতান্ত্রিক পথে যেতে হবে। তারা যদি বলত বিপ্লবী সরকার গঠন করেছি, তাহলে বিপ্লবী সরকার করত। আমাদের কিছু বলার ছিল না।’

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এটা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) বিপ্লবী সরকার নয়, সাংবিধানিক সরকার। আপিল বিভাগ থেকে এই সরকারের বৈধতা নেওয়া হয়েছে। ওটাকে ধরে রেখেই আমাদের এগোতে হবে।’

বিগত দেড় দশকে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম, হামলা-মামলার কথা তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের গোলটা দিয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এটা অস্বীকার করা যাবে না। এ জন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা যাবে না। গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধের সমাজ গড়ার জন্য যুদ্ধ হয়েছিল। এই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে বড় ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ফ্যাসিস্টকে বিদায় দিয়েছি। আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে সঠিকভাবে রূপান্তর ঘটাতে হবে। যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, চেতনাকে ফিরিয়ে এনে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধ, কল্যাণকর দেশ গড়তে পারি। এটাই আমাদের সামনে একমাত্র লক্ষ্য।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, মানবাধিকার সংগঠক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক, ক্রীড়া সংগঠক চিন্ময় সাহা, যশোর আদালতের জিপি শেখ আবদুল মোহায়মেন, কওমী মাদরাসা খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল মান্নান, জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, সাবিরা নাজনীন মুন্নী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল হুদা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত