যশোর প্রতিনিধি
জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রত্না বিশ্বাস (৩৬)। ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গভীর রাতে একা হাসপাতালের শৌচাগারে যান। ঠিক এমন সময় কারও কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়াই ছেলেসন্তান প্রসব করেন রত্না। এরপর নিজেই পানি দিয়ে নবজাতকের শরীর পরিষ্কার করছিলেন। তখন শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে কর্তব্যরত নার্সরা নবজাতক ও প্রসূতিকে উদ্ধার করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আজ শুক্রবার বিকেলে জানাজানি হয়।
রত্না বিশ্বাস জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রমেশ বিশ্বাসের স্ত্রী। এই দম্পতির ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে ও আড়াই বছর বয়সী আরও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
হাসপাতাল ও প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রত্না। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে রত্না ও তাঁর পরিবার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্য গোপন করেন। সে কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রসূতি ওয়ার্ডে না পাঠিয়ে সাধারণ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন। সেখানে মেঝেতে বিছানা পেতে তাঁর চিকিৎসাসেবা চলছিল।
হঠাৎ রাত আড়াইটার দিকে রত্না শৌচাগারে যান। সেখানে তিনি সন্তান প্রসব করেন। তখনো কাউকে ডাক দেননি তিনি। এরপর ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের শরীর পরিষ্কারের জন্য পানি ঢালছিলেন। তখন নবজাতকের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। দ্রুত ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা নার্স, আয়া ও অন্য রোগীর স্বজনেরা ছুটে যান। পরে নার্সরা নবজাতককে উদ্ধার করে শিশু বিভাগে ও তার মাকে প্রসূতি ওয়ার্ডে পাঠান। নবজাতক ও প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থী নবজাতকটি দেখভাল করছেন। পা তুলে খেলা করছে। আবার কখনো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকছে।
দায়িত্বে থাকা নার্স রিনা সরকার বলেন, ‘নবজাতকের ওজন আড়াই কেজি; যা স্বাভাবিক। শিশুটি সুস্থ আছে। তার মা এখনো দেখতে আসেননি। কিন্তু হাসপাতালে ঘটনাটি আলোচিত হওয়ায় অনেকে খোঁজখবর নিতে আসছেন। ঘটনাটিতে আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ায় কেউ কেউ বাচ্চাটি দত্তক নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
এদিকে অন্তঃসত্ত্বার তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি, শৌচাগারে সন্তান প্রসব করা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন। হাসপাতালের কেউ কেউ বলছেন, দুটি বাচ্চা থাকায় আর সন্তান নিতে চায়নি দরিদ্র এই দম্পতি। তাই সন্তানসম্ভবা হয়েও জ্বর নিয়ে তাঁকে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে না গিয়ে সাধারণ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরে শৌচাগারে বাচ্চা প্রসব করে বাচ্চাটিকে পানিতে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করছিলেন বলেও ওয়ার্ডে গুঞ্জন শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল শনিবার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসূতি রত্না বিশ্বাস বলেন, ‘কীভাবে সন্তান প্রসব হলো বুঝতে পারছি না। তবে আমি যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, তা সবাই জানতেন। আর নিজের সন্তানকে কেন মারতে চাইব?’
রত্নার স্বামী মাছ বিক্রেতা রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘রত্না দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাঁকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা চলছে।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন শাফায়েত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরও তথ্য গোপন রেখে ওই নারীকে তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর শৌচাগারে সন্তান প্রসব করেন। এসব নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রসূতি নারী মানসিকভাবে অসুস্থ। শনিবার হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স ও চিকিৎসকদের সঙ্গে বসা হবে। তখন বিষয়টি পরিষ্কার হবে। বাচ্চাটিকে দেখভাল করা হচ্ছে। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।’
জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রত্না বিশ্বাস (৩৬)। ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গভীর রাতে একা হাসপাতালের শৌচাগারে যান। ঠিক এমন সময় কারও কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়াই ছেলেসন্তান প্রসব করেন রত্না। এরপর নিজেই পানি দিয়ে নবজাতকের শরীর পরিষ্কার করছিলেন। তখন শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে কর্তব্যরত নার্সরা নবজাতক ও প্রসূতিকে উদ্ধার করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আজ শুক্রবার বিকেলে জানাজানি হয়।
রত্না বিশ্বাস জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রমেশ বিশ্বাসের স্ত্রী। এই দম্পতির ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে ও আড়াই বছর বয়সী আরও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
হাসপাতাল ও প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রত্না। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে রত্না ও তাঁর পরিবার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্য গোপন করেন। সে কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রসূতি ওয়ার্ডে না পাঠিয়ে সাধারণ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন। সেখানে মেঝেতে বিছানা পেতে তাঁর চিকিৎসাসেবা চলছিল।
হঠাৎ রাত আড়াইটার দিকে রত্না শৌচাগারে যান। সেখানে তিনি সন্তান প্রসব করেন। তখনো কাউকে ডাক দেননি তিনি। এরপর ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের শরীর পরিষ্কারের জন্য পানি ঢালছিলেন। তখন নবজাতকের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। দ্রুত ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা নার্স, আয়া ও অন্য রোগীর স্বজনেরা ছুটে যান। পরে নার্সরা নবজাতককে উদ্ধার করে শিশু বিভাগে ও তার মাকে প্রসূতি ওয়ার্ডে পাঠান। নবজাতক ও প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থী নবজাতকটি দেখভাল করছেন। পা তুলে খেলা করছে। আবার কখনো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকছে।
দায়িত্বে থাকা নার্স রিনা সরকার বলেন, ‘নবজাতকের ওজন আড়াই কেজি; যা স্বাভাবিক। শিশুটি সুস্থ আছে। তার মা এখনো দেখতে আসেননি। কিন্তু হাসপাতালে ঘটনাটি আলোচিত হওয়ায় অনেকে খোঁজখবর নিতে আসছেন। ঘটনাটিতে আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ায় কেউ কেউ বাচ্চাটি দত্তক নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
এদিকে অন্তঃসত্ত্বার তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি, শৌচাগারে সন্তান প্রসব করা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন। হাসপাতালের কেউ কেউ বলছেন, দুটি বাচ্চা থাকায় আর সন্তান নিতে চায়নি দরিদ্র এই দম্পতি। তাই সন্তানসম্ভবা হয়েও জ্বর নিয়ে তাঁকে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে না গিয়ে সাধারণ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরে শৌচাগারে বাচ্চা প্রসব করে বাচ্চাটিকে পানিতে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করছিলেন বলেও ওয়ার্ডে গুঞ্জন শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল শনিবার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসূতি রত্না বিশ্বাস বলেন, ‘কীভাবে সন্তান প্রসব হলো বুঝতে পারছি না। তবে আমি যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, তা সবাই জানতেন। আর নিজের সন্তানকে কেন মারতে চাইব?’
রত্নার স্বামী মাছ বিক্রেতা রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘রত্না দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাঁকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা চলছে।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন শাফায়েত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরও তথ্য গোপন রেখে ওই নারীকে তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর শৌচাগারে সন্তান প্রসব করেন। এসব নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রসূতি নারী মানসিকভাবে অসুস্থ। শনিবার হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স ও চিকিৎসকদের সঙ্গে বসা হবে। তখন বিষয়টি পরিষ্কার হবে। বাচ্চাটিকে দেখভাল করা হচ্ছে। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।’
ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
১৪ মিনিট আগেবরিশালের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস চেয়ে হিজলা ও মুলাদী উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে। মুলাদীর মানুষের দাবি, স্বাধীনতার আগে ১৯৫৯ সালের নির্বাচন থেকে হিজলা-মুলাদী একসঙ্গে ছিল। ২০০৮ সালের পর তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখন মুলাদী সমিতির পক্ষে হিজলাকে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত করতে নির্বাচন
৩৬ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ পৌরসভার ২৫ বছরের পুরোনো পানি শোধনাগার বিকল হওয়ার পথে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে পানি সরবরাহ। শোধনাগারের বেহাল দশার কারণে চাহিদার ৪ ভাগের ১ ভাগ পানিও সরবরাহ করতে হিমশিম পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
৪২ মিনিট আগেপরিবারের কেউ অসুস্থ হলে খাটে করে কাঁধে তুলে দুই কিলোমিটার কাদাপথ পাড়ি দিতে হয়। পায়ে হেঁটে, হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে। এমন দুর্ভোগের চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামীণ সড়কে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি পাকা না হলেও অন্তত চলাচলের উপযোগী করে
১ ঘণ্টা আগে