Ajker Patrika

ভারতীয় পণ্যবাহী জলযানের খুলনার নদী ব্যবহারে সতর্কবার্তা

প্রতিনিধি
ভারতীয় পণ্যবাহী জলযানের খুলনার নদী ব্যবহারে সতর্কবার্তা

খুলনা: খুলনা অঞ্চলে নৌপথের ১৯০ কিলোমিটারে পূর্ণ জোয়ার চলছে। এছাড়া নদীতে নিমজ্জিত জাহাজ ও চর পড়া স্থানে মিলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে খুলনা অঞ্চলের নৌপথ। এই পথে প্রতিদিন গড়ে ১৫ টি নৌযান মোংলা ও নওয়াপাড়ায় আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহারে ভারতীয় নৌযানকে সতর্কবার্তা দিয়েছে খুলনা নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় পণ্যবাহী জলযান কয়রা উপজেলার আংটিহারা নৌ-সীমান্ত, মোংলা ও খুলনার নওয়াপাড়া বন্দরে আসতে খুলনার নদী ব্যবহার করে। সতর্কবার্তার উল্লেখযোগ্য দিক হল ১৯০ কিলোমিটার নৌপথে পূর্ণ জোয়ারে সাবধানে চলাচল, নদীতে নিমজ্জিত জাহাজের স্থান ও চর পড়া স্থান এড়িয়ে চলা। এসব ঝুঁকি এড়াতে রায়মঙ্গলের পর থেকে পণ্যবাহী নৌযানকে বিআইডব্লিউটিএ পাইলটের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রায়মঙ্গলের নৌ সীমান্ত অতিক্রম করে কয়রার আংটিহারা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ টি নৌযান মোংলা ও নওয়াপাড়ায় আসছে।

খুলনা নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ১মে থেকে ১৫মে পর্যন্ত সময়ের জন্য এ সতর্কবার্তা দিয়েছে। নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাজীবাছা নদীতে জাবুসা এলাকায় ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ এমভি বিবি নামে জিপসাম বোঝাই জাহাজ, তরতীপপুর নামক স্থানে ডায়মন্ড অফ নারিশা নামক জাহাজ নিমজ্জিত হয়। ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর অভয়নগরের থানার শেখ ব্রাদার্সের কাছে ব্রিটিশ শাসনামলের নীল কুটিরের অংশ বিশেষ ভৈরব নদীতে নিমজ্জিত হয়। কাজীবাছা, চালনা, বটবুনিয়া, জয়নগর ও বজবজিয়ায় চর জেগে উঠেছে। এসব স্থান যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রায়মঙ্গল নদী দিয়ে প্রতিদিন ফ্লাইওয়াশ চাল ও স্টিল পাত বোঝাই জাহাজ মোংলা ও নওয়াপাড়ায় নৌ-বন্দরে আসছে। নদীতে নিমজ্জিত জাহাজের স্থানে রেক বয় স্থাপন করা হয়েছে। পাইলটদের এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, পীর খানজাহান আলী (রঃ) সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের মধ্যে দিয়ে নদীর পানির স্রোতে গতিবিধি দেখে সতর্কতার সাথে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে নৌযান চলাচল করতে হবে। ২০১৬ সালের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে শ্যালা নদীতে সব ধরণের বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোংলা-ঘষিয়াখালি নৌ-রুট ব্যবহার করতে হবে।

খুলনা নৌ বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, জোয়ারের সুবিধা নিয়ে নৌযানগুলোকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সতর্কবার্তায় নদীর জাহাজ নিমজ্জিত স্থান ও চড়া স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। আংটিহারা নৌ-সীমান্তের পাইলট জাহাঙ্গীর আলম জানান, রায়মঙ্গল থেকে মোংলা ও নওয়াপাড়া আসতে স্থানীয় নদ-নদীতে সতর্কতার সাথে চলতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত