Ajker Patrika

গাংনীর বাজারে উঠেছে অপরিপক্ব লিচু, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
গাংনীর দেবীপুর বাজারে লিচু বেচাকেনা হচ্ছে। আজ রোববার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনীর দেবীপুর বাজারে লিচু বেচাকেনা হচ্ছে। আজ রোববার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীর বাজারগুলোয় উঠতে শুরু করেছে মধু মাসের রসালো ফল লিচু। তবে লিচু বাজারে এলেও এগুলো এখনো পরিপূর্ণ পরিপক্ব না। দাম ভালো থাকায় কাঁচা লিচুই বাজারে তুলছেন ব্যবসায়ীরা। এতে লাভবান হচ্ছে গাছ মালিক ও ব্যবসায়ীরা আর ঠকছেন ক্রেতারা। লিচুগুলো পরিপক্ব না হওয়ায় আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। এদিকে এই অপরিপক্ব লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেছেন, কিছুদিন পরে লিচু তোলা হলে এটির প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যাবে।

স্থানীয়রা জানান, পরিপক্ব হওয়ার আগেই লিচু বাজারে আসায় ফলের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না। আর কিছুদিন পর যে লিচু বাজারে আসবে, সেগুলোয় প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যাবে। দাম বেশি পাওয়ার আশায় অপরিপক্ব লিচু বাজারে না তোলাই ভালো। এখন গাংনীর বাজারগুলোতে লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা দামে চড়া, স্বাদে টক।

বাজারে লিচু কিনতে আসা শাহারুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই ছেলেমেয়েদের জন্য কিনছি। যদিও একটু স্বাদ কম। আরও কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো, স্বাদও পাওয়া যেত। কিছু লোভী বাগানমালিক এ অপরিপক্ব লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে বেচে দিচ্ছে। আর এতে ব্যবসায়ী ও বাগানমালিক লাভবান হলেও ক্রেতারা ঠকছেন।’

বাজারে লিচু কিনতে আসা সাঈদ আহমেদ বলেন, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার একটু চড়া। ৮০টি লিচুর দাম নিচ্ছে ৩০০ টাকা। প্রতি পিস হিসাবে যার দাম আসছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারা বেশি দামেই লিচু কিনছেন। তিনি বলেন, ‘বেশি লিচু নেওয়ার ইচ্ছে ছিল। তবে টক ও তুলনামূলক আঠির আকার বড় হওয়ায় আর পোকার সমস্যা থাকায় বেশি কেনা হয়নি।’

উপজেলার ঝোড়াঘাট গ্রামের লিচুচাষি লিটন মালিথা বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় গাছে লিচু একেবারেই কম এসেছে। গত বছর লিচুর বাগান বেচে ছিলাম ৫০ হাজার টাকায়। এবার মাত্র ১০ হাজার টাকায় বাগান বেচেছি। এ বছর অনেক লোকসান হলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোদের তাপে গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়েছিল। গাছের গোড়ায় পানি দিয়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যায়নি। আবার যেগুলো গাছে আছে, তা আবার আকারে ছোট।’

দেবীপুর বাজারের লিচু ব্যবসায়ী মজনুল হক বলেন, ‘এখন লিচুর দাম ভালো। তাই লিচু বেচে দিচ্ছেন বাগানমালিকেরা। আর এই লিচুর একটু স্বাদ কম। বাজারে পরিপূর্ণ লিচু আসতে এখনো কিছুদিন লাগবে। বাজারে যে লিচু বিক্রি করছি, সেই লিচুর ধরন অনুযায়ী ৮০টির দাম পড়ছে ৩০০ টাকা।’

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর গাংনী উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কিছুদিন পর বাজারজাত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। অপরিপক্ব লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিগুণ পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, পরিপক্ব লিচু বাজারে আসতে এখনো কিছুদিন সময় লাগবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই আসতে পারে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণা

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প স্থবির

নূর ধান-২: এক চালেই হবে ভাত পোলাও খিচুড়ি বিরিয়ানি তেহারি

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে বাঁচতে পারবে না বাংলাদেশ: বিজেপি নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত