Ajker Patrika

তলিয়ে যাওয়া ৫০০ টন সারবাহী কার্গোটি ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
তলিয়ে যাওয়া ৫০০ টন সারবাহী কার্গোটি ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি

মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে কানাডা থেকে আমদানি করা ৫০০ টন সারসহ ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি।

জাহাজের মালিক পক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

আজ রোববার ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের মালিক আজাহার সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার লাইটার জাহাজ এবং জাহাজে থাকা সার উদ্ধারে নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পর মোংলা ও খুলনার ডুবুরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুরুতে তারা ওই জাহাজে থাকা সার অপসারণের চেষ্টা চালালে তাতে কোনো সার পাওয়া যায়নি। ৫০০ টনের পুরো সারই নদীতে তলিয়ে পানির সঙ্গে মিশে গেছে। সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।’

আজাহার সিদ্দিক আরও বলেন, ‘লাইটার জাহাজটি উদ্ধার করার জন্য এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ধরনের একটি নৌযান (ফ্ল্যাট বোট) রওনা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শাহজালাল এক্সপ্রেস নামে লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। এতে কানাডা থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আমদানি হওয়া ৫০০ মেট্রিকটন সার (এমওপি) ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ওই জাহাজটি উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটির মালিক পক্ষ এটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ২৫ জানুয়ারি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া-৯ এ অবস্থান করা লাইবেরিয়া পতাকাবাহী ‘এমভি ভিটা অলিম্পিক’ থেকে সার বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে আসছিল লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস। পথিমধ্যে হারবাড়িয়া-৮ এ ক্লিনকার নিয়ে অবস্থান করা ‘সুপ্রিম ভ্যালর’ নামে বিদেশি একটি জাহাজ ঘোরার সময় তাতে ধাক্কা লাগে। এ সময় শাহজালাল এক্সপ্রেস লাইটার জাহাজটির ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে ডুবে যায়। পরে লাইটারটিতে থাকা ৯ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি উদ্ধারে মালিক পক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে আজ ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখনও এটি উদ্ধার করা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত