Ajker Patrika

স্কুলের পোশাক ছোট হয়ে যাওয়াতে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, মাগুরা (খুলনা) 
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ৪৬
স্কুলের পোশাক ছোট হয়ে যাওয়াতে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

করোনাকালে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে এই দীর্ঘ সময়ে শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে গেছে। দেড় বছর আগে বানানো স্কুল ড্রেস আর জুতা অনেক ছোট হয়ে গেছে। ফলে বছরের শেষের দিকে এসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বিপাকে পড়েছেন। 

করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করা ছাড়া সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, যার ফলে দেড় বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের প্রথম দিকে বানানো স্কুল ড্রেস ও জুতা আর পরা হয়নি। এত দিন পর সেগুলোও ছোট হয়ে গেছে। 

মাগুরা সদরের রেডিয়ান্ট ইন্টারন্যাশনাল প্রি লার্নার স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মারজান রূপকথা জানায়, `গত বছর স্কুলে নতুন ড্রেস আর জুতা পরে যাওয়া হয়নি। এখন স্কুল খুলবে বলে আমি খুব খুশি। স্কুল ড্রেস, জুতা এগুলো সবই নতুন কিন্তু অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। ফলে বাবাকে বলেছি নতুন ড্রেস বানিয়ে দিতে।' 

মাগুরা ৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরিফুর রহমান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তবে এখন সে কোন ক্লাসে পড়বে তা স্কুলে গিয়ে দেখতে চায়। মা বলেছেন, সে এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু তার কথা হলো, তার ক্লাসে বন্ধুরা কই। সে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে চায়। নতুন ড্রেস চায় স্কুলে যাওয়ার জন্য। 

একই অবস্থার কথা জানাল মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তুহিন শেখ। তার কথা হলো, স্কুলে যাওয়ার জন্য জুতা, ড্রেস, ব্যাগ সবই বেমানান হয়ে গেছে। এমনকি বেশ কিছু বন্ধুর কথা সামান্য স্মৃতিপটে মনে আছে। অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে, যা সময়ের সঙ্গে ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় বলে এই শিক্ষার্থী মনে করে। 

অভিভাবক ও শিক্ষক এলিজা আক্তার জানান, এত দিন পর স্কুল খুলছে, তা শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি আনন্দের। কারণ তারা এই দীর্ঘ সময়ে বাড়িতে থেকেছে। এখন তাদের স্কুল খুলছে বলে নতুন স্কুল ড্রেস ও জুতা পরতে চায়। আগের স্কুল ইউনিফর্ম ও জুতা নতুন, তবে তা দেড় বছর আগের হওয়ায় আর পরা যাচ্ছে না। এখন বায়না ধরেছে এসব নতুন কিনে দিতে হবে। কী আর করার, বছর শেষের দিকে নতুন পোশাক বানিয়ে দিতে হবে। 

গোলাম কিবরিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলে এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়বে। নতুন ড্রেস বানিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু করোনার কারণে ক্লাস তো আর শুরু হলো না। সব ড্রেস, জুতা ছোট হয়ে গেছে। এখন নতুন করে সব বানাতে হবে। এদিকে কাপড়ের দোকানেও ড্রেস মিলছে না। 

মাগুরা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর শিক্ষার্থীরা প্রিয় বিদ্যালয়ে আসবে এতে আমরাও আনন্দিত। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে সরকার কিডস অ্যালাউন্স নামে প্রতি বছর ১ হাজার টাকা করে দেয় স্কুলের ড্রেস, জুতাসহ ব্যাগ কেনার জন্য। এটি শুধু সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য। এ বছর এই টাকা এখনো অনেক স্কুলে দেওয়া হয়নি। শ্রীপুর, মহম্মদপুরের কিছু স্কুলে দিলেও মাগুরা সদরে এখন দেওয়া শুরু হচ্ছে। আশা করি স্কুল খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ড্রেস, জুতা পরে আসতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত