বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ভারতে গিয়েছিলেন তাঁরা। একসঙ্গে ফেরার কারণে বন্দরে বেড়েছে যাত্রী চাপ।
গত পাঁচ দিনে ৩২ হাজার ২০০ যাত্রী বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন বলে জানান বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, বন্দরে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ইমিগ্রেশন দ্রুত সারতে কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এবার ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্ধ রেখেছিল। এতে লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে গিয়েছিল ভারতে; আবার অনেকে ভারত থেকে ফিরছে—এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিরাপত্তাকর্মীরা।
পাসপোর্টধারী যাত্রী রাজশাহীর কবির হোসেন জানান, তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তবে শূন্য রেখায় লম্বা লাইনে যে ভিড়, এতে ইমিগ্রেশন সারতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবলসংকট থাকায় এ দুর্ভোগ বেড়েছে।
পাসপোর্টধারী যাত্রী খুলনার রেশমা আক্তার সরকারি চাকরি করেন। টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ায় তাঁকে দেশে ফিরতে হয়েছে।
পাসপোর্টধারী আরেক যাত্রী ঢাকার বাসিন্দা বরকত বলেন, দূরপাল্লার বাসে সিটসংকটের কথা বলে ভাড়া বেশি আদায় করছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া জনপ্রতি ননএসি ৭০০ টাকা ও এসি ১ হাজার ২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে ননএসি ৮০০ টাকা ও এসি ১ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ফেরার পথে হাতে খরচে টাকা কম থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ঘরে ফেরার চাপ বেড়েছে। তবে দ্রুত যাতে তাঁরা বন্দরে পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের সূত্রেমতে, আগে ভ্রমণ কর বড়দের (পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে) ৫০০, ছোটদের (পাঁচ বছরের নিচে) ২৫০ টাকা ছিল। এখন তা বেড়ে বড়দের এক হাজার ও ছোটদের ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর ৫৫ টাকা কর নিচ্ছে। আর ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাসগুলো ৮৫০ টাকা নিচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে বছরে ভারত সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় হয়। দিন দিন ভ্রমণ করের টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়াইনি পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ভারতে গিয়েছিলেন তাঁরা। একসঙ্গে ফেরার কারণে বন্দরে বেড়েছে যাত্রী চাপ।
গত পাঁচ দিনে ৩২ হাজার ২০০ যাত্রী বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন বলে জানান বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, বন্দরে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ইমিগ্রেশন দ্রুত সারতে কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এবার ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্ধ রেখেছিল। এতে লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে গিয়েছিল ভারতে; আবার অনেকে ভারত থেকে ফিরছে—এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিরাপত্তাকর্মীরা।
পাসপোর্টধারী যাত্রী রাজশাহীর কবির হোসেন জানান, তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তবে শূন্য রেখায় লম্বা লাইনে যে ভিড়, এতে ইমিগ্রেশন সারতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবলসংকট থাকায় এ দুর্ভোগ বেড়েছে।
পাসপোর্টধারী যাত্রী খুলনার রেশমা আক্তার সরকারি চাকরি করেন। টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ায় তাঁকে দেশে ফিরতে হয়েছে।
পাসপোর্টধারী আরেক যাত্রী ঢাকার বাসিন্দা বরকত বলেন, দূরপাল্লার বাসে সিটসংকটের কথা বলে ভাড়া বেশি আদায় করছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া জনপ্রতি ননএসি ৭০০ টাকা ও এসি ১ হাজার ২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে ননএসি ৮০০ টাকা ও এসি ১ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ফেরার পথে হাতে খরচে টাকা কম থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ঘরে ফেরার চাপ বেড়েছে। তবে দ্রুত যাতে তাঁরা বন্দরে পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের সূত্রেমতে, আগে ভ্রমণ কর বড়দের (পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে) ৫০০, ছোটদের (পাঁচ বছরের নিচে) ২৫০ টাকা ছিল। এখন তা বেড়ে বড়দের এক হাজার ও ছোটদের ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর ৫৫ টাকা কর নিচ্ছে। আর ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাসগুলো ৮৫০ টাকা নিচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে বছরে ভারত সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় হয়। দিন দিন ভ্রমণ করের টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়াইনি পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ট্রাকের মালিক বগুড়ার মালীপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ট্রাকটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি।’ এরপর বিষয়টি ওসিকে জানানো হলে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আপনার ট্রাকটি উদ্ধার করতেই হবে। তা না হলে এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। এরপর ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
৫ মিনিট আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত কুমিল্লার মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদল। আজ রোববার দুপুরে তারা দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের উখারী গ্রামে মাহতাবের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং পারিবার
৯ মিনিট আগেনরসিংদীর শিবপুরে ডোবায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের মুন্সেফেরচর (ইটাখোলা) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু দুটি হলো মুন্সেফেরচর কাঁঠালতলা এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া (০৩) ও একই এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে মায়ামনি (০৩)।
২৫ মিনিট আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়ন ও কাটাবুনিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মারদোনা খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার সুবর্ণচর উপজেলা চত্বরে এই মানববন্ধন হয়। চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণির জনগণ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় বক্তারা বলেন, খাল দখলমুক্ত না হলে এলাকা
৩২ মিনিট আগে