দেবাশীষ দত্ত,কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত রাস্তার পাশের ৩ হাজার গাছ কাটবে বন বিভাগ। গাছ কাটার জন্য গাছের গাঁয়ে নাম্বারিং করে দরপত্র সম্পন্ন করেছে তারা। তবে, গাছ না কাটার দাবি তুলেছে স্থানীয় জনগণ। উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই।’
জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর জিকে খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। সড়কে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর আগে কয়েক হাজার ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছিল উপজেলা বন বিভাগ। দরপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালে যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। চলতি বছরেও ওই সড়কের লাহিনীপাড়া থেকে বাঁধবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তাক শাহরিয়ার বলেন, তিন মাস আগেও সড়কের ধারে গাছগুলো ছিল সৌন্দর্যবর্ধক। গাছের ছায়াতলে মানুষ বিশ্রাম নিত। আরামে চলাচল করত পথচারীরা। কিন্তু এখন আর নেই সেই সৌন্দর্য ও শান্তি। অল্প কিছু টাকার জন্য বন বিভাগ গাছ কেটে ফেলেছে। আর যেন না কাটে এমনটাই আমাদের দাবি।
আলিমুজ্জামান রাজিব নামের আরেক ছাত্র বলেন, যেহেতু গাছগুলো আমাদের ছায়া দিচ্ছে, সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করছে, সেহেতু গাছগুলো না কাটাই ভালো। গাছপালা কমে যাওয়ার কারণেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে না, প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিকে খালের লাহিনীপাড়া এলাকায় সড়কের ধারে আর সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্য নেই। কাটা গাছগুলোর গোড়া ও কিছু অংশবিশেষ পড়ে আছে। চাপড়া বোর্ড অফিস এলাকার খালের পাকা ও কাঁচা সড়কের দুপাশে মেহগনি, বাবলা, কড়ইসহ নানান জাতের কয়েক হাজার বড় গাছ রয়েছে। সেগুলোর গাঁয়ে নাম্বারিং করা।
ভ্যানচালক আব্দুল হাকিম জানান, তিনি নিয়মিত ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি প্রায়ই সড়কে বসে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন। গাছগুলো কাটা হলে আর বসা হবে না তাঁর।
উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আর্থসামাজিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। তারা প্রথমে স্থানীয়দের নিয়ে এলাকাভিত্তিক সমিতি গঠন করে। পরে বিভিন্ন সড়কের ধারে জ্বালানি কাঠের গাছের চারা রোপণ করে। গাছ দেখাশোনা করেন সমিতির সদস্যরা। গাছের বয়স যখন ১০ বছর পূর্ণ হয়, তখন গাছ কাটা ও বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বন বিভাগ। গাছ বিক্রির ৫৫ ভাগ টাকা পান সমিতির সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ পায় ৫ ভাগ। আর বন বিভাগ ও সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভাগ পায় ২০ ভাগ করে টাকা।
জনগণের গাছ রক্ষার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু। সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, ছায়া ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছগুলো থাকা দরকার। তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।পরিবেশ নিয়ে প্রায় ৪১ বছর ধরে গবেষণা করছেন গবেষক গৌতম কুমার রায়। তিনি জানান, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী দেশে ২৫ ভাগ বনভূমি বা গাছপালা থাকা দরকার। কিন্তু সেই তুলনায় গাছ আছে মাত্র ৯ ভাগের কম। তবু প্রতিদিন গাছ উজাড় হচ্ছে, সৃজন হচ্ছে না। এই মুহূর্তে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। পানির মহাসংকট চলছে। গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। পাখিকুল আশ্রয় পাচ্ছে না। সেই মুহূর্তে গাছগুলো কাটার ঘটনা সত্যি অদ্ভুত ও দুঃখজনক বটেই।
উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, ১০ বছর পূর্ণ হলেই সমিতির নিয়ম অনুসারে গাছ কেটে পুনরায় নতুন চারা রোপণ করা হয়। ইতিমধ্যে ওই সড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকার গাছ কাটা হয়েছে। অন্যান্য গাছ দরপত্রের মাধ্যমে কাটা হবে। গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই।
যেহেতু দাবদাহ চলছে, সেহেতু এই মুহূর্তে গাছগুলো থাকাই ভালো বলে মনে করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি জানান, বন বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে বিধিমতে কার্যকার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত রাস্তার পাশের ৩ হাজার গাছ কাটবে বন বিভাগ। গাছ কাটার জন্য গাছের গাঁয়ে নাম্বারিং করে দরপত্র সম্পন্ন করেছে তারা। তবে, গাছ না কাটার দাবি তুলেছে স্থানীয় জনগণ। উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই।’
জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর জিকে খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। সড়কে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর আগে কয়েক হাজার ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছিল উপজেলা বন বিভাগ। দরপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালে যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। চলতি বছরেও ওই সড়কের লাহিনীপাড়া থেকে বাঁধবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তাক শাহরিয়ার বলেন, তিন মাস আগেও সড়কের ধারে গাছগুলো ছিল সৌন্দর্যবর্ধক। গাছের ছায়াতলে মানুষ বিশ্রাম নিত। আরামে চলাচল করত পথচারীরা। কিন্তু এখন আর নেই সেই সৌন্দর্য ও শান্তি। অল্প কিছু টাকার জন্য বন বিভাগ গাছ কেটে ফেলেছে। আর যেন না কাটে এমনটাই আমাদের দাবি।
আলিমুজ্জামান রাজিব নামের আরেক ছাত্র বলেন, যেহেতু গাছগুলো আমাদের ছায়া দিচ্ছে, সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করছে, সেহেতু গাছগুলো না কাটাই ভালো। গাছপালা কমে যাওয়ার কারণেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে না, প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিকে খালের লাহিনীপাড়া এলাকায় সড়কের ধারে আর সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্য নেই। কাটা গাছগুলোর গোড়া ও কিছু অংশবিশেষ পড়ে আছে। চাপড়া বোর্ড অফিস এলাকার খালের পাকা ও কাঁচা সড়কের দুপাশে মেহগনি, বাবলা, কড়ইসহ নানান জাতের কয়েক হাজার বড় গাছ রয়েছে। সেগুলোর গাঁয়ে নাম্বারিং করা।
ভ্যানচালক আব্দুল হাকিম জানান, তিনি নিয়মিত ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি প্রায়ই সড়কে বসে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন। গাছগুলো কাটা হলে আর বসা হবে না তাঁর।
উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আর্থসামাজিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। তারা প্রথমে স্থানীয়দের নিয়ে এলাকাভিত্তিক সমিতি গঠন করে। পরে বিভিন্ন সড়কের ধারে জ্বালানি কাঠের গাছের চারা রোপণ করে। গাছ দেখাশোনা করেন সমিতির সদস্যরা। গাছের বয়স যখন ১০ বছর পূর্ণ হয়, তখন গাছ কাটা ও বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বন বিভাগ। গাছ বিক্রির ৫৫ ভাগ টাকা পান সমিতির সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ পায় ৫ ভাগ। আর বন বিভাগ ও সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভাগ পায় ২০ ভাগ করে টাকা।
জনগণের গাছ রক্ষার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু। সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, ছায়া ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছগুলো থাকা দরকার। তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।পরিবেশ নিয়ে প্রায় ৪১ বছর ধরে গবেষণা করছেন গবেষক গৌতম কুমার রায়। তিনি জানান, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী দেশে ২৫ ভাগ বনভূমি বা গাছপালা থাকা দরকার। কিন্তু সেই তুলনায় গাছ আছে মাত্র ৯ ভাগের কম। তবু প্রতিদিন গাছ উজাড় হচ্ছে, সৃজন হচ্ছে না। এই মুহূর্তে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। পানির মহাসংকট চলছে। গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। পাখিকুল আশ্রয় পাচ্ছে না। সেই মুহূর্তে গাছগুলো কাটার ঘটনা সত্যি অদ্ভুত ও দুঃখজনক বটেই।
উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, ১০ বছর পূর্ণ হলেই সমিতির নিয়ম অনুসারে গাছ কেটে পুনরায় নতুন চারা রোপণ করা হয়। ইতিমধ্যে ওই সড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকার গাছ কাটা হয়েছে। অন্যান্য গাছ দরপত্রের মাধ্যমে কাটা হবে। গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই।
যেহেতু দাবদাহ চলছে, সেহেতু এই মুহূর্তে গাছগুলো থাকাই ভালো বলে মনে করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি জানান, বন বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে বিধিমতে কার্যকার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম নগরীতে দুদিনের ব্যবধানে প্রকাশ্যে কয়েক দফা ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর তৎপর হয়েছে পুলিশ। তাঁদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত দুদিনে আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের...
৫ মিনিট আগেময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে...
৯ মিনিট আগেবরিশাল মহানগরের চৌমাথায় সিটি করপোরেশনের স্টল বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন ২৭টি স্টলের মধ্যে ৮টি বাদ রেখে বাকিগুলোর দরপত্র আহ্বান করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে ওই স্থানে কয়েক যুগ ধরে...
১৬ মিনিট আগেসরকারি তিতুমীর কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ‘অনশন এবং বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আজ রোববার রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগে