Ajker Patrika

সড়ক সংস্কারের নামে মাটি ফেলে টাকা আদায়ের অভিযোগ

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৮
সড়ক সংস্কারের নামে মাটি ফেলে টাকা আদায়ের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাঙা সড়ক নামমাত্র সংস্কারের নামে কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলে টাকা আদায় করা হয়েছে বলে দুইজনের নামে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম বাজার-চৌরঙ্গী বাজার সড়কের বানিয়াখড়ি জামে মসজিদ এলাকা পর্যন্ত এই দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার দবির মোল্লার দুই ছেলে জনি ও শিবলী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশগ্রাম বাজার-চৌরঙ্গী বাজার সড়কটি অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। বানিয়াখড়ি জামে মসজিদ এলাকার দবির মোল্লার বাড়ির সামনের সড়কে একটি পয়েন্টে কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলা হয়েছে। মাটি ফেলা অংশে শিবলী নামে একজন লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে ৫ টাকা, ১০ টাকা বা ২০ টাকা আদায় করছেন। কেউ দিচ্ছেন আবার কেউ না দিয়েই চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঁশগ্রাম বাজার থেকে চৌরঙ্গী বাজার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক হাজার যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য খানাখন্দ। তবু নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। 

সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তারা উদাসীন। বারবার সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, দবির মোল্লার বাড়ির সামনে সড়কের একটি পয়েন্ট ভেঙে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছিল। দুর্ঘটনা ঘটছিল। তাই জনি ও শিবলী দুই ভাই কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলে ৫ টাকা, ১০ টাকা বা ২০ টাকা আদায় করছেন। কেউ খুশি হয়ে দিচ্ছেন আবার কেউ বাগ্‌বিতণ্ডা করে চলে যাচ্ছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পথচারী বলেন, সড়কে কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলে টাকা আদায় করছেন স্থানীয়রা, যা চাঁদাবাজির আওতায় পড়ে। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত। সড়কটি সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের দায়িত্ব বাড়াতে হবে। 

অভিযুক্ত জনি ও শিবলী বলেন, সড়ক ভেঙে গেছে। মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কেউ মেরামত করছেন না। জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই আমরা মাটি ফেলে গর্ত বন্ধ করেছি এবং ৫-১০ টাকা আদায় করছি। তবে অনেকে না দিয়েই চলে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক নবা বিশ্বাসকে মোবাইল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। 

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে আমাদের সড়ক অন্য কেউ মেরামত করতে পারেন না। এর জন্য টাকাও আদায় করতে পারেন না। টাকা আদায় করা বেআইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিষয়টি পুলিশের জানা নেই। কেউ অভিযোগ করেননি। তবু বিষয়টি দেখা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত