মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি চলছে। শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাড়িতে দাফনের জন্য এর মধ্যে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শিশুটির মরদেহ ঢাকা থেকে মাগুরা শহরে আনা হবে। এরপর দাফনের কাজ শুরু হবে।
নুরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ছোট শিশুর কবর খোঁড়া দেখলে খুব খারাপ লাগে। শিশুটির জন্য দোয়া রইল।
এদিকে শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি ঘিরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ঘটনাস্থল মাগুরা শহরের নীজনান্দুয়ারীর মাঠপাড়ার ওই বাড়িতে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পাশের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, শিশুটি মারা যাওয়ার পর কিছু অচেনা লোক বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোকবুল মিয়া বলেন, ‘তারা (অভিযুক্ত ব্যক্তিরা) অপরাধ করেছে, আর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা আজকের পত্রিকাকে জানান, যেকোনো ধরনের অরাজকতা মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
জানা গেছে, সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা যায়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ বেলা ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা প্রয়োগ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আরও জানানো হয়, শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে।
এর আগে মাগুরা পৌর এলাকায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবার জানায়। পরদিন অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিল। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার খবরে পরদিন মাগুরা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও নারী অংশ নেয়। বেলা ১১টা থেকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সংগঠক সাদিয়া ইয়াসমিন জানান, ধর্ষকদের বিচার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে। বিলম্ব করলে তাঁদের কোনো শাস্তি নাও হতে পারে।
ওই দিন বেলা ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একটি দল ছাত্র-জনতার সঙ্গে কথা বলার পর বেলা ৩টায় বিক্ষোভকারীরা আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে শহরের ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভায়না মোড় অবরোধ করে রাখায় মাগুরা ঢাকা-খুলনা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি চলছে। শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাড়িতে দাফনের জন্য এর মধ্যে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শিশুটির মরদেহ ঢাকা থেকে মাগুরা শহরে আনা হবে। এরপর দাফনের কাজ শুরু হবে।
নুরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ছোট শিশুর কবর খোঁড়া দেখলে খুব খারাপ লাগে। শিশুটির জন্য দোয়া রইল।
এদিকে শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি ঘিরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ঘটনাস্থল মাগুরা শহরের নীজনান্দুয়ারীর মাঠপাড়ার ওই বাড়িতে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পাশের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, শিশুটি মারা যাওয়ার পর কিছু অচেনা লোক বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোকবুল মিয়া বলেন, ‘তারা (অভিযুক্ত ব্যক্তিরা) অপরাধ করেছে, আর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা আজকের পত্রিকাকে জানান, যেকোনো ধরনের অরাজকতা মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
জানা গেছে, সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা যায়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ বেলা ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা প্রয়োগ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আরও জানানো হয়, শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে।
এর আগে মাগুরা পৌর এলাকায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবার জানায়। পরদিন অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিল। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার খবরে পরদিন মাগুরা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও নারী অংশ নেয়। বেলা ১১টা থেকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সংগঠক সাদিয়া ইয়াসমিন জানান, ধর্ষকদের বিচার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে। বিলম্ব করলে তাঁদের কোনো শাস্তি নাও হতে পারে।
ওই দিন বেলা ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একটি দল ছাত্র-জনতার সঙ্গে কথা বলার পর বেলা ৩টায় বিক্ষোভকারীরা আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে শহরের ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভায়না মোড় অবরোধ করে রাখায় মাগুরা ঢাকা-খুলনা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গাজীপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীদা আক্তার জসুদাকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত দুইটায় গাজীপুর মহানগরীর উত্তর ছায়া বিথী এলাকায় তাঁর ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে জয়দেবপুর থানা-পুলিশ।
৩৬ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সাপের কামড়ে জামাল উদ্দীন (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওঝার ভরসায় সময় শেষ করে ৪ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেওয়ার কারণে ওই যুবককে ভ্যাকসিন দিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে হাটহাজারী ও কর্ণফুলী এলাকায় আলাদা দুটি হাসপাতাল নির্মাণ পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ ছাড়া কালুরঘাট এলাকায় একটি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আবদুস সাত্তার বাদশা (২৫) নামে এক যুবকের হাতের কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে আপন বড় ভাই রমজান আলী মিশনের (৩২) বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগে