Ajker Patrika

পুলিশ হত্যার আসামী আরাভের স্ত্রী কেয়াকে পরিবার শেষ দেখেছিল ২০২২ সালে 

মেহেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ২০: ০৯
পুলিশ হত্যার আসামী আরাভের স্ত্রী কেয়াকে পরিবার শেষ দেখেছিল ২০২২ সালে 

মেহেরপুরে খোঁজ মিলেছে আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়ার। তিনিও আরাভের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি। ২০২২ সালে জামিনে বের হয়ে শাহিন নামে এক যুবককে বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। আর ওই সময়ই মেয়েকে শেষ দেখা দেখেন পরিবার। এমনটিই জানান তাঁর বাবা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের আবুল কালাম আজাদ। 

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০১৪ ও ১৫ সালে মেয়ে সুরাইয়া আক্তার কেয়া স্বামী আপনকে (আরাভ খান) নিয়ে দুইবার গাড়াডোব গ্রামে তাঁর খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তখন বিলাস বহুল জীবন যাপন করত তারা।’ 

কিন্তু তিনি বিভিন্ন মারফত জানতে পারেন তাঁর মেয়ে ও জামায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপরই কিছুদিন যেতে না যেতেই খবর আসে তাঁর মেয়ে একটি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। পরে কারাগারেও যেতে হয় কেয়াকে। এ সময় স্বামী আপন তালক দেয় তাকে। 

কয়েক বছর কারা ভোগের পর ২০২২ সালে জামিনে মুক্তি পায় সে। তবে মেয়ের এমন কর্মকাণ্ডে মোটেও খুশি নন আবুল কালাম আজাদ। 

কেয়ার বাবা বলেন, ‘২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে মেয়ে (কেয়া) তার সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে আসে। সেটিই শেষ দেখা। কারণ তারপরই সে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে শাহিন নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে চলে যায় বিদেশে।’ 

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে মেয়ে এসএসসি পাশ করলে ম্যাটসে (চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা) ভর্তি করে দেয় তাঁর মা। সেখানে পড়ালেখা করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আরাভের সঙ্গে। তিনি তাকে আপন নামেই চিনতেন। সে নাকি আপন জুয়েলার্সের মালিক এমনটিই জানতেন আবুল কালাম আজাদ। তবে তাঁর মা আমার সঙ্গে মেয়েকে কোনো রকমের যোগযোগ করতে দিতে চাইতো না বলে অভিযোগ করেন তিনি।’ 

আবুল কালাম আজাদ জানান, কেয়ার মা তার খালাতো বোন। ১৯৯৬ সালে মনোয়ারা বিয়ে পাশ করলে তাঁর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকেই তাদের সংসার জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০০০ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের একটি মামলায় জেল হয় তার। তখন কেয়ার বয়স মাত্র তিন বছর। মাঝে মাঝে মেয়েকে নিয়ে কারাগারে তাকে দেখতে আসতেন স্ত্রী। কিন্তু দীর্ঘদিন জেলে থাকার কারণে তাদের সংসারে ফাটল ধরে। ২০১১ সালে জেল থেকে বের হয়ে আসেন আবুল কালাম। এসে শোনের তাঁর স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র ছাড়ায়। 

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ডিএমপি সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি সুরাইয়া সুলতানা কেয়া আরাভ ওরফে রবিউল ইসলামের স্ত্রী। সে ঢাকার একটি পুলিশ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তাকে পুলিশ খুঁজছে। কেউ বলছে সে মালয়েশিয়া অথবা দুবাই অবস্থান করছে। তাঁর বাড়ি মেহেরপুর হওয়ায় ডিএমপি থেকে তাঁর তথ্য আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত