Ajker Patrika

সেনাসদস্যের স্ত্রী দাবি করে কলেজছাত্রীর অনশন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সেনাসদস্যের স্ত্রী দাবি করে অনশনে বসা কলেজছাত্রীর হাতে বিয়ের নোটারি কপি। ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সেনাসদস্যের স্ত্রী দাবি করে অনশনে বসা কলেজছাত্রীর হাতে বিয়ের নোটারি কপি। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সেনাসদস্যের স্ত্রী দাবি করে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী। শুক্রবার রাতে উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোবর্ধ্বন গ্রামের সেনাসদস্য রবিউল ইসলাম মেহেদির বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন তিনি।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর দাবি, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর রংপুর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৪৭২৫ নম্বর রেজিস্ট্রেশনে তাঁদের বিয়ে হয়, যার কাবিননামা ১০ লাখ টাকায় নির্ধারিত ছিল। ওই সময় সেনাসদস্য রবিউল ইসলামের পরিবার বিয়েতে সম্মত না হওয়ায় গোপনেই সংসার শুরু করেন তাঁরা।

রাবেয়া জানান, রবিউলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রায় পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে চলাফেরা করেছেন তাঁরা। তবে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরিবার থেকে সম্মতি না পেয়ে গত ৬ জুন থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রবিউল।

এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনাসদস্যের বাড়িতে গেলে কলেজছাত্রীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি সেখানেই অনশনে বসেন। রাতভর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আপসের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘রবিউল দীর্ঘদিন স্ত্রী পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্ক রেখে এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে রবিউলের বাড়ির উঠানেই আত্মহত্যা করব।’

রবিউলের বাবা মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ওই এফিডেভিট আদালত দুই বছর আগে বাতিল করে দিয়েছে। তাই এই বিয়ে আমরা মানি না।’ তবে তিনি কোনো লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ হোসেন বলেন, ‘কলেজছাত্রীর কাছে থাকা কাগজপত্র অনুযায়ী তাঁদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে এবং তাঁরা গোপনে সংসারও করেছেন। এখন রবিউলের পরিবার বিয়ে মানতে নারাজ। ছাত্রীটি অনড় অবস্থানে রয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য সেখানে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত