গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
শীতে বাঙালির ঘরে পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়ে। বিভিন্ন পিঠার স্বাদ বাড়িয়ে তোলে খেজুরের গুড়। এ কারণে মেহেরপুরের গাংনীতে গাছিরা রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁরা গুড়ের দাম ভালো পাচ্ছেন।
গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা জানান, তাঁরা ভোরবেলায় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। এরপর বড় আকৃতির কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে জ্বাল দেন। তারপর তৈরি হয় সুস্বাদু গুড়। গাছিরা গুড়ের স্থানীয় চাহিদা পূর্ণ হওয়ার পর অন্য জেলাতেও সরবরাহ করেন।
উপজেলার করমদী সাহাবুর পাড়ার খেজুর গাছি মো. সজিব হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পারি। আর এর থেকে প্রায় ৭ কেজি গুড় তৈরি হয়। বর্তমানে খেজুরের গুড় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি করে বিক্রয় হয়। আমি যাদের কাছ থেকে গাছ নিয়েছি তাঁদের একদিন দেওয়া লাগে আর আমি তিন দিন করে নিয়ে থাকি।’
খেজুরের গুড় থেকে ভালো আয় হওয়ার কথা জানান গাছি মো. সজিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখনো এক মাস রস সংগ্রহ করতে পারব। রস সংগ্রহে বাড়তি কোনো খরচ নেই। গুড়ের ভালো দাম পেয়ে খুশি আমরা। এক কড়াই রস থেকে গুড় তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। গুড় নামানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকেও লোকজন আসে খাঁটি এই খেজুরের গুড় কিনতে।’
ঝোড়াঘাট গ্রামের গাছি খোকা মালিথা বলেন, ‘সকালে গাছ থেকে যেটুকু রস পায় তা সকালে বিক্রয় করে ফেলি। আমার গাছ কম। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়। খেজুর রস সংগ্রহের জন্য কোনো খরচ হয় না। তবে ঝুঁকি নিয়ে গাছ প্রস্তুত ও রস সংগ্রহ করতে হয়।’
তেরাইল গ্রামের বাসিন্দা খালেক আলী বলেন, ‘শীত এলেই খেজুর রসের গুড় দিয়ে ভাবা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, রস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। আর খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠাগুলো খেতেও খুব সুস্বাদু।’
তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গাংনী উপজেলার প্রায় গ্রামে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছে। আবার অনেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। আর খেজুর রস ও গুড়ের কদর রয়েছে গাংনী উপজেলার প্রতিটি মানুষের কাছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাশতা তৈরির জন্য এই খেজুরের গুড় ব্যবহার করে থাকি, আর এটা খুব সুস্বাদু হয়।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, গাংনী উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর গাছ রয়েছে। এখন গাছিরা খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। খেজুরের রস ও গুড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। খেজুর গাছ পরিষ্কার করে পাওয়া পাতা দিয়ে বিভিন্ন নকশার পাটি তৈরি করা হয়।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, শীত মনে করিয়ে দেয় সুস্বাদু খেজুর রস ও গুড়ের কথা। গাছিরা রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন গ্রামে বিক্রয় করে বেড়ায়। তা ছাড়া জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও বেশি দামে বিক্রয় করেন। আশা করছি এবার গাছিরা লাভবান হচ্ছেন। গাংনি উপজেলার মাটি ভালো হওয়ার কারণে রস ও গুড় সুস্বাদু হয়। আর শীত এলেই রস ও গুড়ের কদর বেড়ে যায়।
শীতে বাঙালির ঘরে পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়ে। বিভিন্ন পিঠার স্বাদ বাড়িয়ে তোলে খেজুরের গুড়। এ কারণে মেহেরপুরের গাংনীতে গাছিরা রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁরা গুড়ের দাম ভালো পাচ্ছেন।
গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা জানান, তাঁরা ভোরবেলায় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। এরপর বড় আকৃতির কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে জ্বাল দেন। তারপর তৈরি হয় সুস্বাদু গুড়। গাছিরা গুড়ের স্থানীয় চাহিদা পূর্ণ হওয়ার পর অন্য জেলাতেও সরবরাহ করেন।
উপজেলার করমদী সাহাবুর পাড়ার খেজুর গাছি মো. সজিব হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পারি। আর এর থেকে প্রায় ৭ কেজি গুড় তৈরি হয়। বর্তমানে খেজুরের গুড় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি করে বিক্রয় হয়। আমি যাদের কাছ থেকে গাছ নিয়েছি তাঁদের একদিন দেওয়া লাগে আর আমি তিন দিন করে নিয়ে থাকি।’
খেজুরের গুড় থেকে ভালো আয় হওয়ার কথা জানান গাছি মো. সজিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখনো এক মাস রস সংগ্রহ করতে পারব। রস সংগ্রহে বাড়তি কোনো খরচ নেই। গুড়ের ভালো দাম পেয়ে খুশি আমরা। এক কড়াই রস থেকে গুড় তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। গুড় নামানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকেও লোকজন আসে খাঁটি এই খেজুরের গুড় কিনতে।’
ঝোড়াঘাট গ্রামের গাছি খোকা মালিথা বলেন, ‘সকালে গাছ থেকে যেটুকু রস পায় তা সকালে বিক্রয় করে ফেলি। আমার গাছ কম। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়। খেজুর রস সংগ্রহের জন্য কোনো খরচ হয় না। তবে ঝুঁকি নিয়ে গাছ প্রস্তুত ও রস সংগ্রহ করতে হয়।’
তেরাইল গ্রামের বাসিন্দা খালেক আলী বলেন, ‘শীত এলেই খেজুর রসের গুড় দিয়ে ভাবা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, রস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। আর খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠাগুলো খেতেও খুব সুস্বাদু।’
তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গাংনী উপজেলার প্রায় গ্রামে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছে। আবার অনেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। আর খেজুর রস ও গুড়ের কদর রয়েছে গাংনী উপজেলার প্রতিটি মানুষের কাছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাশতা তৈরির জন্য এই খেজুরের গুড় ব্যবহার করে থাকি, আর এটা খুব সুস্বাদু হয়।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, গাংনী উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর গাছ রয়েছে। এখন গাছিরা খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। খেজুরের রস ও গুড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। খেজুর গাছ পরিষ্কার করে পাওয়া পাতা দিয়ে বিভিন্ন নকশার পাটি তৈরি করা হয়।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, শীত মনে করিয়ে দেয় সুস্বাদু খেজুর রস ও গুড়ের কথা। গাছিরা রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন গ্রামে বিক্রয় করে বেড়ায়। তা ছাড়া জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও বেশি দামে বিক্রয় করেন। আশা করছি এবার গাছিরা লাভবান হচ্ছেন। গাংনি উপজেলার মাটি ভালো হওয়ার কারণে রস ও গুড় সুস্বাদু হয়। আর শীত এলেই রস ও গুড়ের কদর বেড়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ষাটনল, ষাটনল বাবু বাজার, মোহনপুর ও এখলাছপুর এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।
১৫ মিনিট আগেআজ সকাল থেকে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ডাকা হরতালে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভোরে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার চারটি রাস্তায় বাঁশ-বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে উপজেলার প্রবেশপথ কালমেঘ বাজারে গাছ ফেলে হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে...
৩৫ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায়...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে