যশোরের মনিরামপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত দেড় মাস ধরে নিয়মিত গড়ে ১৫-২০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ডায়রিয়া রোগী বাড়ার সঙ্গে মনিরামপুর হাসপাতালে সংকট দেখা দিয়েছে ওষুধ ও কলেরা স্যালাইনের। নামমাত্র দু-একটা ওষুধ বাদে বাকি ওষুধ রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
সেই সঙ্গে এমন রোগী আছে, যারা হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ পাচ্ছে না। তরল স্যালাইনসহ সবই তাদের কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বরাদ্দের তিন গুণ ডায়রিয়ার রোগী বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন শেষ হয়েছে। ঢাকায় ও সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করেও স্যালাইনের ব্যবস্থা করা যায়নি। পরে কেশবপুর ও বাঘারপাড়া হাসপাতাল থেকে স্যালাইন ধার করে হাসপাতাল চালাচ্ছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৩৬ নম্বর বেডের রোগী দুর্গাপুর গ্রামের আশিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেটে ব্যথা, বমি ও পায়খানার সমস্যা নিয়ে বুধবার সকালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতাল থেকে কিচ্ছু দেয়নি। স্যালাইন ও ওষুধ সব কিনতে হয়েছে।’
শিশু ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছে এক বছর বয়সী তাসকিয়া। পাশে বসা শিশুটির নানি পাপিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার নাতনিরে নিয়ে হাসপাতালে আইছি। হাসপাতালতে একটা বড় স্যালাইন দেছে। সব ওষুধ কেনা লাগিছে। নাতনির পায়খানা বন্ধ হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। ওষুধ কিনব কী দিয়ে।’
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ঝর্ণা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন কলেরা স্যালাইন যা সরবরাহ দেয়, তা রাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সকালে যারা ভর্তি হয় তাদের আর তরল স্যালাইন দেওয়া যায় না।’
হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ বন্দনা রানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়ার রোগী কমছে না। কলেরা স্যালাইনের খুব সংকট। আমার দুই ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীদের জিংক সিরাপ ও খাওয়ার স্যালাইন দিতে পারছি। বাইরের উপজেলা থেকে তরল স্যালাইন এনে মোটামুটি দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এসব বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে মনিরামপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আজও (বৃহস্পতিবার) ১৫ জন কলেরা রোগী ভর্তি আছে। হাসপাতালে বরাদ্দের তুলনায় ডায়রিয়ার রোগী তিনগুণ হওয়ায় কলেরা স্যালাইন ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।’
তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দুই হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন এনে সংকট মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিন-চার দিনের আগে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যেখানে রোগীর ৪টা স্যালাইন লাগছে, সেখানে অন্তত দুটো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স কলেরা স্যালাইন থাকা সত্ত্বেও ভর্তি রোগীদের সরবরাহ না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করেছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে আমি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকাদের ডেকেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে পুরুষ ওয়ার্ডে কলেরা স্যালাইনসহ কিছু ওষুধ সরবরাহ ছিল। তার পরও নার্স রোগীকে স্যালাইন এবং ওষুধ কিনিয়েছেন। রোগীরা যেন ভালো চিকিৎসা পায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
যশোরের মনিরামপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত দেড় মাস ধরে নিয়মিত গড়ে ১৫-২০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ডায়রিয়া রোগী বাড়ার সঙ্গে মনিরামপুর হাসপাতালে সংকট দেখা দিয়েছে ওষুধ ও কলেরা স্যালাইনের। নামমাত্র দু-একটা ওষুধ বাদে বাকি ওষুধ রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
সেই সঙ্গে এমন রোগী আছে, যারা হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ পাচ্ছে না। তরল স্যালাইনসহ সবই তাদের কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বরাদ্দের তিন গুণ ডায়রিয়ার রোগী বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন শেষ হয়েছে। ঢাকায় ও সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করেও স্যালাইনের ব্যবস্থা করা যায়নি। পরে কেশবপুর ও বাঘারপাড়া হাসপাতাল থেকে স্যালাইন ধার করে হাসপাতাল চালাচ্ছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৩৬ নম্বর বেডের রোগী দুর্গাপুর গ্রামের আশিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেটে ব্যথা, বমি ও পায়খানার সমস্যা নিয়ে বুধবার সকালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতাল থেকে কিচ্ছু দেয়নি। স্যালাইন ও ওষুধ সব কিনতে হয়েছে।’
শিশু ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছে এক বছর বয়সী তাসকিয়া। পাশে বসা শিশুটির নানি পাপিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার নাতনিরে নিয়ে হাসপাতালে আইছি। হাসপাতালতে একটা বড় স্যালাইন দেছে। সব ওষুধ কেনা লাগিছে। নাতনির পায়খানা বন্ধ হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। ওষুধ কিনব কী দিয়ে।’
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ঝর্ণা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন কলেরা স্যালাইন যা সরবরাহ দেয়, তা রাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সকালে যারা ভর্তি হয় তাদের আর তরল স্যালাইন দেওয়া যায় না।’
হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ বন্দনা রানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়ার রোগী কমছে না। কলেরা স্যালাইনের খুব সংকট। আমার দুই ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীদের জিংক সিরাপ ও খাওয়ার স্যালাইন দিতে পারছি। বাইরের উপজেলা থেকে তরল স্যালাইন এনে মোটামুটি দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এসব বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে মনিরামপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আজও (বৃহস্পতিবার) ১৫ জন কলেরা রোগী ভর্তি আছে। হাসপাতালে বরাদ্দের তুলনায় ডায়রিয়ার রোগী তিনগুণ হওয়ায় কলেরা স্যালাইন ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।’
তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দুই হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন এনে সংকট মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিন-চার দিনের আগে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যেখানে রোগীর ৪টা স্যালাইন লাগছে, সেখানে অন্তত দুটো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স কলেরা স্যালাইন থাকা সত্ত্বেও ভর্তি রোগীদের সরবরাহ না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করেছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে আমি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকাদের ডেকেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে পুরুষ ওয়ার্ডে কলেরা স্যালাইনসহ কিছু ওষুধ সরবরাহ ছিল। তার পরও নার্স রোগীকে স্যালাইন এবং ওষুধ কিনিয়েছেন। রোগীরা যেন ভালো চিকিৎসা পায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এই মোড় থেকে শহরের চারদিকে চারটি সড়ক বিভিন্ন দিকে গেছে। এই মোড়েই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো রয়েছে তিনটি সিসি ক্যামেরা। তবে তিনটিই নষ্ট। কোনোটির সংযোগের তারই ছেঁড়া, কোনোটি নিচের দিকে বাঁকানো। অথচ অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে...
৩২ মিনিট আগেচার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয়। চলছে শুধু রক্তচাপ পরিমাপ আর পরামর্শ দেওয়ার কার্যক্রম। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। সিভিল সার্জন অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেতিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঢেউয়ের আঘাতে নদীতীর, ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা।
৫ ঘণ্টা আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে বন্দর থানা এলাকা ভাগাভাগি হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় এলাকায় পড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতারা। তাঁরা বলছেন, একই এলাকায়
৫ ঘণ্টা আগে