Ajker Patrika

মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করল ছেলে

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১৫: ৩৫
মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করল ছেলে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজ বাড়ির রান্নাঘর থেকে আমেনা খাতুন (৪১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমেনা খাতুন উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা গ্রামের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেনের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী। 

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে আমেনা খাতুন খাবার রান্না করার জন্য রান্নাঘরে যান। পৌনে ১১টার দিকে তাঁর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তৌফিক বাড়িতে এসে মাকে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে রান্নাঘরে গিয়ে দেখে কাঠের আড়ায় রশিতে ঝুলছেন তার মা। তা দেখে চিৎকার করতে থাকে তৌফিক। পরে আমেনা খাতুনের জা আর্জিনা ও ছেলে তৌফিক মরদেহ উদ্ধার করে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশে খবর দেয় স্বজনেরা। পুলিশ এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। তবে পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আমেনা খাতুন প্রায় ১০ বছর যাবৎ মানসিক রোগে ভুগছিলেন। বিভিন্ন স্থানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করতেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। 

মৃতের ছেলে তৌফিক বলেছে,‘ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে মাকে ডাকাডাকি করি। ডাকে সাড়া না দেওয়ায় খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে রান্নাঘরের আড়ায় রশিতে মাকে ঝুলতে দেখি। পরে চাচির সঙ্গে মায়ের মরদেহ নিচে নামাই।’ 

আর্জিনা খাতুন বলেন, ‘প্রায় ১০ বছরের মতো মানসিক রোগে ভুগছিল আমেনা। প্রায়ই আত্মহত্যার চেষ্টা করত। আজ পৌনে ১১টার দিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।’ 

মৃতের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে অসুস্থ ছিল। বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করিয়েছি। হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’ 

এ বিষয়ে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আমেনা খাতুন। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয় স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ওসি আরও বলেন, মৃত আমেনা খাতুন মানসিক রোগী ছিলেন বলে জানা গেছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত