Ajker Patrika

বৃষ্টি এলেই খাদ্যগুদাম সড়ক হয়ে যায় `পুকুর’

মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মহম্মদপুরে কৃষি ব্যাংক মোড় থেকে সরকারি খাদ্যগুদাম গেট পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সড়ক বৃষ্টি হলেই পুকুরে পরিণত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহম্মদপুরে কৃষি ব্যাংক মোড় থেকে সরকারি খাদ্যগুদাম গেট পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সড়ক বৃষ্টি হলেই পুকুরে পরিণত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরার মহম্মদপুরে কৃষি ব্যাংক মোড় থেকে সরকারি খাদ্যগুদাম গেট পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সড়ক বৃষ্টি হলেই পুকুরে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অথচ সামান্য উদ্যোগ নিলে শত শত মানুষ এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির পাশে উপজেলা পরিষদ, সদর ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি খাদ্যগুদামসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। প্রতিদিন হাজারো মানুষ বিভিন্ন সেবা নিতে এই সড়ক ব্যবহার করে। পাশাপাশি অন্তত পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং বাজারমুখী সাধারণ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে।

তবে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই সড়কটি পানিতে তলিয়ে যায়, ফলে হেঁটেও চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালুর ঝড় আর বর্ষায় কাদার জলাবদ্ধতা—উভয় পরিস্থিতিতেই এলাকাবাসী ভোগান্তিতে থাকে।

মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ইট-বালু, পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে গিয়ে রাস্তাটি যেন ছোটখাটো পুকুরে পরিণত হয়েছে।

মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নওশের আলী আজকের পত্রিকাকে জানান, বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকে। তখন হেঁটেও চলাচল করা যায় না। জুতা হাতে নিয়েই চলাচল করতে হয়। আবার বৃষ্টি না থাকলে ধুলোবালুতে একাকার হয়ে যায় সড়ক।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নায়েব আলী বলেন, ‘এই সড়কের পাশেই আমার দোকান। সড়কটি এতটাই খারাপ হয়েছে যে, কোনো কাস্টমার আসতে পারে না দোকানে। ড্রেন নির্মাণ না করায় বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। আমরা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

ইজিবাইকচালক এরশাদ জানান, সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। সড়কে গাড়ি নিয়ে নামলে মনে হয় পুকুরে নামলাম। এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই ইজিবাইক উল্টে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন বলেন, ‘খাদ্যগুদাম সড়কটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর আক্তার বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত