দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনের বেশির ভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থীকে ভোটাররা চেনেন না। যে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই রাজনীতিতে তেমন পরিচিতি নেই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সচেতন ভোটারদের অনেকেই এমন মন্তব্য করেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেলার চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৪৬ জন প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন আটজন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে ১৩ জন, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৩ জন, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে ১০ জন ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তিনজন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) তিনজন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) তিনজন প্রার্থীর রাজনীতিতে পূর্বপরিচয় রয়েছে।
বাকি ৩২ জন প্রার্থী রাজনীতির মাঠে তেমন সক্রিয় নন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন। তবে কুষ্টিয়া-৩ ও কুষ্টিয়া-৪—এ দুটি আসনে এর প্রভাব বেশি পড়েছে। যেহেতু এ দুই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুই দাপুটে প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ।
কুষ্টিয়া-৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, জাসদের গোলাম মহাসিন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নাফিজ আহমেদ খান টিটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু, রাকিবুজ্জামান সেতু, এনপিপির ফরিদ উদ্দিন শেখ, তরিকত ফেডারেশনের মেহেদি হাসান রিজভি, বিএনএফের কে এম জহুরুল ইসলাম, বিএনএমের মোস্তফা কামাল মারুফ ও জাকের পার্টির আবু আশরাফ শাহিনুর আজাদ। তবে জাসদ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র একজন ছাড়া বাকি ছয়জন রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারেই অপরিচিত। তাঁরা প্রত্যেকে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুজ্জামান সেতু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচন করছি। তবে আমাকে ডামি প্রার্থী বলা যাবে না। আমি আমার মতো নির্বাচন করছি।’
বিএনএমের মোস্তফা কামাল মারুফের কাছে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেও কোনো যৌক্তিক উত্তর মেলেনি।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া-৪ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১০ জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত যুবলীগের সেলিম আলতাফ জর্জ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ, তৃণমূল বিএনপির আবু সামস খালেকুজ্জামান, তরিকত ফেডারেশনের আলতাফ হোসেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আইনুদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নৈশপ্রহরী খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রাশিদুল ইসলাম, এনপিপির শহিদুল ইসলাম ও বিএনএফের হারুনার রশিদ। তাঁদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। তবে বাকিদের আগে কখনো রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি।
এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু সামস খালেকুজ্জামান নিজেকে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য দাবি করলেও জেলা বিএনপির তা অস্বীকার করেছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় কেউ নন। তাই তাঁকে আমরা চিনি না।’
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু সামস খালেকুজ্জামান বলেন, ‘এখন যাঁরা জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা নতুন। আমি জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করতাম। সেই আদর্শ এখন আর নেই। তাই আমাকে তাঁরা না-ও চিনতে পারেন।’
নতুন ভোটার তরুণ সীমান্ত আহমেদ বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেলেও মনে কোনো উৎসাহ নেই। যাঁরা এমপি প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই চিনি না, জানি না।’
শহরের ভোটার হাফিজ আল আসাদ বলেন, ‘এবার আমাদের আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককেই আমি চিনি না। শুধু আমি নয়, কুষ্টিয়া শহরের বেশির ভাগ সাধারণ ভোটার তাঁদের চেনেন না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনের বেশির ভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থীকে ভোটাররা চেনেন না। যে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই রাজনীতিতে তেমন পরিচিতি নেই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সচেতন ভোটারদের অনেকেই এমন মন্তব্য করেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেলার চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৪৬ জন প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন আটজন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে ১৩ জন, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৩ জন, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে ১০ জন ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তিনজন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) তিনজন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) তিনজন প্রার্থীর রাজনীতিতে পূর্বপরিচয় রয়েছে।
বাকি ৩২ জন প্রার্থী রাজনীতির মাঠে তেমন সক্রিয় নন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন। তবে কুষ্টিয়া-৩ ও কুষ্টিয়া-৪—এ দুটি আসনে এর প্রভাব বেশি পড়েছে। যেহেতু এ দুই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুই দাপুটে প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ।
কুষ্টিয়া-৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, জাসদের গোলাম মহাসিন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নাফিজ আহমেদ খান টিটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু, রাকিবুজ্জামান সেতু, এনপিপির ফরিদ উদ্দিন শেখ, তরিকত ফেডারেশনের মেহেদি হাসান রিজভি, বিএনএফের কে এম জহুরুল ইসলাম, বিএনএমের মোস্তফা কামাল মারুফ ও জাকের পার্টির আবু আশরাফ শাহিনুর আজাদ। তবে জাসদ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র একজন ছাড়া বাকি ছয়জন রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারেই অপরিচিত। তাঁরা প্রত্যেকে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুজ্জামান সেতু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচন করছি। তবে আমাকে ডামি প্রার্থী বলা যাবে না। আমি আমার মতো নির্বাচন করছি।’
বিএনএমের মোস্তফা কামাল মারুফের কাছে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেও কোনো যৌক্তিক উত্তর মেলেনি।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া-৪ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১০ জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত যুবলীগের সেলিম আলতাফ জর্জ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ, তৃণমূল বিএনপির আবু সামস খালেকুজ্জামান, তরিকত ফেডারেশনের আলতাফ হোসেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আইনুদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নৈশপ্রহরী খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রাশিদুল ইসলাম, এনপিপির শহিদুল ইসলাম ও বিএনএফের হারুনার রশিদ। তাঁদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। তবে বাকিদের আগে কখনো রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি।
এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু সামস খালেকুজ্জামান নিজেকে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য দাবি করলেও জেলা বিএনপির তা অস্বীকার করেছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় কেউ নন। তাই তাঁকে আমরা চিনি না।’
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু সামস খালেকুজ্জামান বলেন, ‘এখন যাঁরা জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা নতুন। আমি জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করতাম। সেই আদর্শ এখন আর নেই। তাই আমাকে তাঁরা না-ও চিনতে পারেন।’
নতুন ভোটার তরুণ সীমান্ত আহমেদ বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেলেও মনে কোনো উৎসাহ নেই। যাঁরা এমপি প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই চিনি না, জানি না।’
শহরের ভোটার হাফিজ আল আসাদ বলেন, ‘এবার আমাদের আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককেই আমি চিনি না। শুধু আমি নয়, কুষ্টিয়া শহরের বেশির ভাগ সাধারণ ভোটার তাঁদের চেনেন না।’
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
৩ মিনিট আগেউপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বশির উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুল মান্নান লস্কর বর্তমান পৌর বিএনপির সহসভাপতি, উপজেলা ও জেলা বিএনপির সদস্য। এ ছাড়া তিনি ছেঙ্গারচর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি।
৮ মিনিট আগেরাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসান মোহাম্মদ আলী দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার গভীর রাতে তাঁকে রাজশাহী থেকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে জানা গেছে।
২৫ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ইরফান বাবুকে (১১) নামের এক স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বুড়াপীর মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ইরফান তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বসপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক সফিকুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে