Ajker Patrika

দৌলতপুরে তুলার আবাদ বাড়লেও ফলন নষ্ট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা

তামীম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) 
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ১১
দৌলতপুরে তুলার আবাদ বাড়লেও ফলন নষ্ট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষিদের। দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে ভালো মানের সুতা উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখছে এ উপজেলার তুলা। তবে চলতি মৌসুমে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন তুলাচাষিরা। 

এদিকে জানুয়ারি মাস থেকে উপজেলার দুটি তুলা বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সপ্তাহে তিন দিন করে তুলা কেনা শুরু করেছে বিভিন্ন সুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এটা চলবে মার্চ পর্যন্ত। এবারের তুলার নির্ধারিত দাম ও আনুমানিক উৎপাদন হিসাব করে ধারণা করা হচ্ছে, এই মৌসুমে উপজেলায় ৭০ কোটি টাকার বেশি তুলা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

কুষ্টিয়া তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিটে ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে তুলা চাষ হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রকারভেদে মণপ্রতি ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। এ বছর এই উপজেলায় ৬ হাজার ৯১০ জন তুলাচাষি ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করেছেন। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১৩ মণ করে ফলন ধরা হচ্ছে এবার। এদিকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের সবচেয়ে বেশি তুলা উৎপাদন হয় কুষ্টিয়া জেলায়। আর জেলায় সবচেয়ে বেশি তুলা হয় দৌলতপুর উপজেলায়। 

তুলার সঙ্গে থাকা বীজ থেকেও তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর ভোজ্য তেল ও খৈল। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে এখানকার তুলার বাজারদর প্রতিবছর নির্ধারণ করেন মিলমালিকেরা। 

উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল শনিবার এই মৌসুমে দ্বিতীয় দিনের মতো বসেছিল তুলার হাট। এখানে তুলা কিনতে এসেছেন কয়েকটি সুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা। 

আল মদিনা ইন্ডাস্ট্রির মালিক গোলাম সাবির জানান, তাঁরা ৩০ বছর ধরে এ উপজেলা থেকে তুলা কিনছেন। এখানকার তুলা দুই অংশে ভাগ করে সুতা প্রস্তুত করেন তাঁরা। আর বীজ থেকে তৈরি হয় তেল ও খৈল। এই তুলা দিয়ে তৈরি সুতা দেশের পোশাকশিল্পে কাজে লাগে।

উপজেলার বিলগাতুয়া এলাকার তুলাচাষি সাহিদুল বলেন, ‘এবার টানা বর্ষণের কারণে তুলা নষ্ট হয়েছে। তাই ফলন কমেছে। বাজারে সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় আবাদের ব্যয়ও বেড়েছে। তাই এবার লাভের মুখ দেখছি না।’ 

সাহিদুল বলেন, তুলার বাজারদর মিলমালিকেরা নির্ধারণ করেন। এটি সরকার ঠিক করলে চাষিরা লাভবান হবেন। 

আবুল হাসেম নামের আরেক চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার দুই ক্যাটাগরিতে তুলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ফ্রেশ তুলা, আরেকটি গুটি তুলা। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের জমিতে বিঘাপ্রতি চাষে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। যাঁরা জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন, তাঁদের খরচ আরও বেশি হয়েছে।’ 

মাহাবুল হসেন নামের এক চাষি জানালেন, ফলন ভালো না হওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। ৯ মাসের মতো লাগে তুলার ফলন পেতে। তাই দাম বাড়ানোর দাবি এই চাষির। 

কুষ্টিয়ার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আল মামুন বলেন, ‘গত মৌসুমের তুলনায় এবার তুলার চাষ বেড়েছে। আমরা চাষিদের চাষে আগ্রহ বাড়াতে পরামর্শ দিচ্ছি। তুলা থেকে কম খরচে ভালো লাভ করা সম্ভব। আমরা আগামী মৌসুমে কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করব চাষিদের জন্য। প্রতিনিয়ত চাষিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৯

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রেপ্তার নয়জন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার নয়জন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গাবতলী-আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। গতকাল সোমবার রাতে ও আজ মঙ্গলবার ভোরে পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সবুজ ডাক্তার (৫৫), মো. শামছুজ্জামান ওরফে সবুজ (৩৫), সৈয়দ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ওরফে আলম (৫৮), মো. রিপন (৩৬), মো. মামুনুর রশিদ ওরফে শিশির (৩৪) মো. ইলিয়াছ রহমান (৩৩), মাকছুদুর রহমান দীপু (২৬), মো. হৃদয় (২২), জাকির হোসেন (৩৬)।

উদ্ধার করা অস্ত্র, মোবাইল ফোন। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা অস্ত্র, মোবাইল ফোন। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাতে রূপনগর থানার বিরুলিয়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মাকছুদুর রহমান দীপু, হৃদয় ও জাকির হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি খেলনা পিস্তল, একটি ছুরি ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে আশুলিয়ার বিশমাইল মোড় এলাকা থেকে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

অভিযানে একটি অ্যাভেঞ্জা গাড়ি, ইলেকট্রিক শক লাইটার, চারটি মোবাইল ফোন, ‘পুলিশ’ লেখা তিনটি রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ও একটি পকেট ওয়াইফাই রাউটার উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। তাঁরা পুলিশের পরিচয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কে প্রাণহানির পর বিএনপি নেতার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নাসিম উদ্দিন আকন। ছবি: সংগৃহীত
নাসিম উদ্দিন আকন। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের চার দিন পর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকনের পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। গত ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের তারিখ উল্লেখ থাকলেও আজ মঙ্গলবার এটি জানাজানি হয়।

এরই মধ্যে ২৫ অক্টোবর রাজাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নাসিম আকন নিহত হন। এর আগে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ২৫ জানুয়ারি তাঁর দলীয় পদ স্থগিত করা হয়।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়েছে, ‘আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার অব্যাহতি প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।’ পত্রে তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২৪ অক্টোবর।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ৪ দিন আগের তারিখ দেখিয়ে মঙ্গলবার এই স্থগিতাদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁদের।

উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সিকদার বলেন, ‘কবরে বসে দলের কর্মকাণ্ড গতিশীল করার লক্ষ্যে নাসিম আকনের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে নিহত বিএনপি নেতার ঘনিষ্ঠ দলের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে মঙ্গলবার তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে নাসিম আকনের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে তিনি বিষয়টি জানতেন না।

পেছনের তারিখ দেখিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে রফিকুলের দাবি, ২৪ অক্টোবরেই হয়েছে। হয়তো তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে এটি প্রকাশ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী, দুই ছেলেসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী, দুই ছেলেসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য মো. নাসিমের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু, তাঁর দুই ছেলেসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।

অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন নাসিমের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয়, আরেক ছেলে তমাল মনসুর, জয়ের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী এবং নাসিমের একান্ত সচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, তানভির শাকিল জয় ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এই সম্পদ তিনি নিজে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁরা তাঁদের ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন করে অর্থ পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করছে।

অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে বিলম্ব হবে এবং অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তাঁদের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিকের ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিকের ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

জ্বালানি তেল খাতে সরকারি মালিকানাধীন স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগও আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার গুপ্তখাল এলাকায় অবস্থিত এসএওসিএল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বেলায়েত হোসেন ও উপব্যবস্থাপক (হিসাব ও নিরীক্ষা) আতিকুর রহমানকে।

মামলার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে কোম্পানির বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কোম্পানির তৎকালীন পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এওসিএল) কাছে এসএওসিএলের পাওনা ছিল ১১৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ টাকা। মামলায় মঈন উদ্দিন আহমেদের আসামি হওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি তিনি মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে থাকা তথ্যমতে, আসামিরা ওই পাওনার টাকা ব্যাংকে জমা না করে হিসাব বইয়ে জমা দেখান। সংশ্লিষ্ট চেকগুলো ব্যাংকে জমা না দিয়ে আদায় দেখানো হয়, আবার পরে ‘চেক প্রত্যাখ্যাত’ দেখিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ অনাদায়ী থেকে যায় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত