বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দরের রেলপথে কন্টেইনারে পণ্য আমদানিতে চাহিদা বাড়লেও ডিপো ও স্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় বাণিজ্য প্রসারে বিঘ্ন ঘটছে। বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জরুরিভাবে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন মনে করলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তা থমকে রয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতিতে রাজস্বের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে।
জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগে ভারত থেকে কার্গো রেলে শুধু জিপসাম, ক্লিনকার আর পাথর আমদানি করা হতো। ২০১৯ সালে করোনা শুরুতে নিরাপত্তার জন্য সড়ক পথে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। এতে আমদানি ঘাটতি দেখা দেয়। পরে করোনা সংক্রমণ এড়াতে ২০২০ সালে রেলে সব ধরনের পণ্য আমদানিতে একমত হয় দুই দেশ। পণ্য পরিবহনে যুক্ত হয় পার্সেল ভ্যান ও সাইড ডোর কন্টেইনার। পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য আরও বাড়াতে ২০২১ সালে ৪০ ফিট কন্টেইনারে পণ্য আসতে শুরু করে। তবে এসব কন্টেইনারে আমদানি করা পণ্য রাখার জন্য বন্দরে ডিপো না থাকায় খালাসের জন্য দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে রেল। আবার স্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় ভারত থেকে রেল বন্দরে ঢুকতে পারে না। ফলে কন্টেইনারে বাণিজ্য বাড়ার সুযোগ থাকলেও অবকাঠামো না থাকায় আমদানি ও রাজস্ব দুটাই দিন দিন কমে আসছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে রেলে সর্বমোট ৩ লাখ ১৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯৯৫টি কন্টেইনারে আমদানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫০ টন। এ সময় রেলের ভাড়া বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৯০ টাকা। শুধু কন্টেইনারে পণ্য আমদানিতে রেল খাতে রাজস্ব এসেছে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এ বিষয়ে আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘স্টেশনে ইয়ার্ড সংকটে মালবাহী রেল দাঁড়ালে যাত্রীবাহী রেল ঢুকতে পারে না। আর যাত্রীবাহী রেল ঢুকলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মালবাহী রেল ওপারে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকে। এ ছাড়া রেল ইঞ্জিনের অভাবে দিনের পর দিন পণ্য পরিবহনের জন্য রেল দাঁড়িয়ে থাকে। এ সমস্যা সমাধানে বারবার বলা হলেও গুরুত্ব খুবই কম।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ বলেন, ‘কন্টেইনারে পণ্য আমদানি বাড়াতে পারলে বাণিজ্য সহজ ও রাজস্ব আরও বাড়বে। আমদানি পণ্য খালাসের পর রেল খালি ফিরে যায়। সামান্য খরচ দিয়ে একই রেলে রপ্তানি চালু করা গেলে ব্যবসায়ীরা অনেক সাশ্রয়ী হবেন।’
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, রেলে অবকাঠামো বাড়ানো হলে এ পথে বাণিজ্য যেমন সহজ হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। বিষয়টি বিভিন্ন আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে রেলে আমদানির পরিমাণ কমেছে ৩৩ হাজার টন। এতে রাজস্ব কমেছে ২ কোটি ৬০ হাজার ১৮০ টাকা। বেনাপোলে কন্টেইনার ডিপো ও রেলে ইয়ার্ড বাড়ানো হলে আমদানি ও রাজস্ব আরও বাড়বে। অবকাঠামো বাড়ানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের রেলপথে কন্টেইনারে পণ্য আমদানিতে চাহিদা বাড়লেও ডিপো ও স্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় বাণিজ্য প্রসারে বিঘ্ন ঘটছে। বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জরুরিভাবে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন মনে করলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তা থমকে রয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতিতে রাজস্বের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে।
জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগে ভারত থেকে কার্গো রেলে শুধু জিপসাম, ক্লিনকার আর পাথর আমদানি করা হতো। ২০১৯ সালে করোনা শুরুতে নিরাপত্তার জন্য সড়ক পথে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। এতে আমদানি ঘাটতি দেখা দেয়। পরে করোনা সংক্রমণ এড়াতে ২০২০ সালে রেলে সব ধরনের পণ্য আমদানিতে একমত হয় দুই দেশ। পণ্য পরিবহনে যুক্ত হয় পার্সেল ভ্যান ও সাইড ডোর কন্টেইনার। পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য আরও বাড়াতে ২০২১ সালে ৪০ ফিট কন্টেইনারে পণ্য আসতে শুরু করে। তবে এসব কন্টেইনারে আমদানি করা পণ্য রাখার জন্য বন্দরে ডিপো না থাকায় খালাসের জন্য দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে রেল। আবার স্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় ভারত থেকে রেল বন্দরে ঢুকতে পারে না। ফলে কন্টেইনারে বাণিজ্য বাড়ার সুযোগ থাকলেও অবকাঠামো না থাকায় আমদানি ও রাজস্ব দুটাই দিন দিন কমে আসছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে রেলে সর্বমোট ৩ লাখ ১৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯৯৫টি কন্টেইনারে আমদানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫০ টন। এ সময় রেলের ভাড়া বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৯০ টাকা। শুধু কন্টেইনারে পণ্য আমদানিতে রেল খাতে রাজস্ব এসেছে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এ বিষয়ে আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘স্টেশনে ইয়ার্ড সংকটে মালবাহী রেল দাঁড়ালে যাত্রীবাহী রেল ঢুকতে পারে না। আর যাত্রীবাহী রেল ঢুকলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মালবাহী রেল ওপারে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকে। এ ছাড়া রেল ইঞ্জিনের অভাবে দিনের পর দিন পণ্য পরিবহনের জন্য রেল দাঁড়িয়ে থাকে। এ সমস্যা সমাধানে বারবার বলা হলেও গুরুত্ব খুবই কম।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ বলেন, ‘কন্টেইনারে পণ্য আমদানি বাড়াতে পারলে বাণিজ্য সহজ ও রাজস্ব আরও বাড়বে। আমদানি পণ্য খালাসের পর রেল খালি ফিরে যায়। সামান্য খরচ দিয়ে একই রেলে রপ্তানি চালু করা গেলে ব্যবসায়ীরা অনেক সাশ্রয়ী হবেন।’
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, রেলে অবকাঠামো বাড়ানো হলে এ পথে বাণিজ্য যেমন সহজ হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। বিষয়টি বিভিন্ন আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে রেলে আমদানির পরিমাণ কমেছে ৩৩ হাজার টন। এতে রাজস্ব কমেছে ২ কোটি ৬০ হাজার ১৮০ টাকা। বেনাপোলে কন্টেইনার ডিপো ও রেলে ইয়ার্ড বাড়ানো হলে আমদানি ও রাজস্ব আরও বাড়বে। অবকাঠামো বাড়ানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যশোরের অভয়নগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় কয়লা ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। এতে ফুঁসে উঠেছেন অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসী। এর প্রতিকার চেয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে গণ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেলাইসেন্স ও অনুমোদন না নিয়েই মেট্রোরেল লাইন-৬ (এমআরটি-৬)-এর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশ সম্প্রসারণ চলছে। অথচ আইনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) থেকে লাইসেন্স নিয়ে নির্মাণকাজ শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিহত রমজান মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হলেও কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি জামাল মুন্সি।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর গুলিস্তানে ট্রাকের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী প্রান্ত পাল (১৬) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে নিউমার্কেট এলাকায় বাবার সঙ্গে ঝালমুড়ি বিক্রি করত।
৫ ঘণ্টা আগে