Ajker Patrika

মাছের ঘেরে কাজ করা নিয়ে দ্বন্দ্বে পাহারাদারকে কুপিয়ে জখম

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের কেশবপুরে মাছের ঘেরে কাজ করা নিয়ে দ্বন্দ্বে সাখাওয়াত হোসেন (৬৫) নামে এক পাহারাদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মাছের ঘেরে কাজ করা নিয়ে দ্বন্দ্বে ইসহাক সরদার (৪০) নামে এক ব্যক্তি তাঁকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। দুজনের বাড়িই পৌরসভার মধ্যকুল সরদারপাড়া এলাকায়।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার মধ্যকুল এলাকার মুক্তারের মাছের ঘের সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মধ্যকুল এলাকার মুক্তার আলীর মাছের ঘেরে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার সাখাওয়াত হোসেন পাহারাদার হিসেবে কাজ করেন। ওই ঘেরে ইসহাক সরদারও এক সময় কাজ করতেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সোমবার সকালে ঘের সংলগ্ন এলাকায় সাখাওয়াত হোসেনকে পেয়ে ইসহাক সরদার ধারালো দা দিয়ে তাঁর মাথায় কোপ দেয়। এতে সাখাওয়াত সরদার মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে মাছের ঘের মালিক মুক্তার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বছর দুয়েক আগে ইসহাক আলী দুই মাস ঘেরে কাজ করে স্বেচ্ছায় চলে যান। সাখাওয়াত হোসেন ও ইসহাক আলীর ভেতর কোনো দ্বন্দ্ব আছে কি না, সেটা আমার জানা নাই। তবে ঘের সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে ৮টি ককটেল জব্দ, আটক ২

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আটক হওয়া দুজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক হওয়া দুজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে রাতে সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৮টি তাজা ককটেল জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের নলবুনিয়াকান্দি মাদ্রাসার পাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন নলবুনিয়াকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম খানের ছেলে মো. মামুন খান (৪০) এবং একই গ্রামের তাজু মোল্লার ছেলে মো. বাবু মোল্যা (৩৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার কারণে এলাকাবাসীর নজরে আসেন মামুন ও বাবু। তাঁদের হাতে থাকা দুটি প্লাস্টিকের বালতি পরীক্ষা করে এর ভেতরে ককটেলসদৃশ বস্তু দেখতে পান তাঁরা। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেল জব্দ করে এবং দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।

মুন্সিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং আটক দুজন বর্তমানে থানাহাজতে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীমান্তে ভারতীয় বোনের লাশ দেখে কাঁদলেন বাংলাদেশি ভাই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সেলিনা বেগমের লাশ তাঁর বাংলাদেশি স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সেলিনা বেগমের লাশ তাঁর বাংলাদেশি স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নারীর লাশ তাঁর বাংলাদেশি আত্মীয়স্বজনদের দেখানো হয়েছে। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের মালদা জেলার গোলাপগঞ্জ থানার চকমাহিলপুর গ্রামের বাসিন্দা সেলিনা বেগম (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রামের তাঁর ভাই তোফাজ্জল হকসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বোনের লাশ দেখার আবেদন জানান বিজিবির কাছে।

মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে বিজিবি দ্রুত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। উভয় বাহিনীর সম্মতিতে আজ শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আজমতপুর বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এসের কাছে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় লাশ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি স্বজনেরা মৃত সেলিনা বেগমের লাশ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাঁরা শেষবারের মতো প্রিয়জনকে দেখতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ বিষয়ে মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বিজিবি অত্যন্ত মানবিক একটি বাহিনী। এ ধরনের মানবিক কাজে আমরা সব সময় সহানুভূতিশীল এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।

ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে শুক্রবার ঢাকা থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি আজ শনিবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে পৌঁছায়। পরে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে লংমার্চটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ গেটে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসহাক আলীর সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় বক্তব্য দেন ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ জামান, লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনসহ অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন ফারুকী, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তফা আল ইয়াহয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কৃষকদের একের পর এক হত্যা করছে এবং নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফ সদস্যদের হাতে প্রায় ৬০৭ জন বাংলাদেশি নিহত ও ৭৬১ জন আহত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর ৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। চলতি বছরের ৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে পুশ ইন শুরু করে ভারত, যা এখন পর্যন্ত চলমান।

বক্তারা পথসভায় লংমার্চের চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—ভারত কর্তৃক ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখসহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদী থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার নীতি থেকে সরে যেতে হবে; বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে; অবৈধভাবে ভারতীয় বাহিনীর দখলে রাখা তালপট্টি ছেড়ে দিতে হবে এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের সহযোগিতা ও আশ্রয় দেওয়া যাবে না।

লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল জানান, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী হয়ে আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

পথসভা শেষে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত অভিমুখে রওনা দেয় লংমার্চটি। বিকেলে সোনামসজিদ সীমান্তে গিয়ে শেষ হবে দুই দিনের লংমার্চ কর্মসূচি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিরসরাইয়ে ইয়াবাসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

মিরসরাই (প্রতিনিধি) চট্টগ্রাম
গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা ছালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা ছালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০টি ইয়াবা বড়িসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছালাউদ্দিন সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর সাহেরখালী মোল্লাপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ছালাউদ্দিন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

ছালাউদ্দিন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এটার দায় সংগঠন বহন করবে না।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলার ভোরবাজার থেকে ছালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে ১০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আজ শনিবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত