Ajker Patrika

লাভজনক হওয়ায় ঝিনাইদহে বেড়েছে ভুট্টা চাষ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামের মাঠে চাষ করা ভুট্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামের মাঠে চাষ করা ভুট্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভুট্টা চাষ দিন দিন বেড়ে চলেছে। বোরো ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পোলট্রি শিল্পের চাহিদা, উচ্চ ফলনশীল জাত, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভুট্টা চাষে ঘুরেছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা। বিঘাপ্রতি ২০-২৩ হাজার টাকা খরচে ভুট্টার ফলন হয় ৩৫ মণ। যা বিক্রি করে পাওয়া যায় ৪২-৪৫ হাজার টাকা। দেশীয় জাতের ভুট্টায় তেমন ভালো ফলন না হওয়ায় হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করছেন জেলার কৃষকেরা।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩২৪ হেক্টর, চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর, আবাদ হয়েছিল ১৮ হাজার ১৩৪ হেক্টর জমিতে।

সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামের মঠ ঘুরে দেখা যায় আমন ধান কেটে নেওয়ার পরপরই ভুট্টার বীজ বপন করেন কৃষকেরা। বর্তমানে গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এখন খেতগুলোর পরিচর্যা, নিড়ানি, সেচকাজসহ নানা কাজ চলছে। ভুট্টা চাষের জন্য কৃষকেরা পটাশ, ডিএপি, জিপসাম, সালফার ও ফোরাডান, ইউরিয়া, দস্তা ইত্যাদি সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামের ভুট্টাচাষি ওহিদুল ইসলাম বলেন, ভুট্টা চাষে লাভ বেশি ও নিরাপদ। বিঘাপ্রতি ২০-২২ হাজার টাকা খরচ হয়। ভুট্টা ভালো হলে বিক্রি করা যায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা। সার, কীটনাশক ও সেচের দিক থেকে দেশি জাতের ভুট্টার চেয়ে হাইব্রিড ভুট্টায় খরচ কম। ভুট্টা গাছ ও মাড়াই করার পর যে অবশিষ্টাংশ থাকে তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

অপর এক কৃষক ইউনুস আলী জানান, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি গত বছর ভুট্টা চাষ করেছিলাম। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর ভুট্টার চাষ বাড়িয়েছি। যদি ভুট্টার দাম ঠিক থাকে তাহলে এ বছরেও বেশ লাভ হবে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. আনিসুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের পোলট্রি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভুট্টা। এর আগে এ শিল্প ছিল আমদানি-নির্ভর। আমাদের দেশের জমি ভুট্টা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। দেশে উৎপাদিত ভুট্টা পোলট্রি শিল্পে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষক নিরাপদ লাভ ও দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে বাড়ছে ভুট্টা চাষ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার, পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ

আজিজুল হক, বেনাপোল (যশোর) 
পণ্য প্রবেশদ্বারে ট্রাকচালকদের আগুন ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পণ্য প্রবেশদ্বারে ট্রাকচালকদের আগুন ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে বন্দরে পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ধূমপান ও আগুনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং ফায়ার সিস্টেমগুলো সচল রাখতে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতা রোধে পোশাকধারী কর্মীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নজরদারি চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, প্রতিবছর এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। এই বন্দরে সব সময় প্রায় ২ লাখ টন পণ্য মজুত থাকে।

গত ১৬ বছরে বেনাপোল বন্দরে বড় ধরনের ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যাতে আমদানি পণ্য পুড়ে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্দরের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

বর্তমানে বন্দরের পণ্যাগারে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১২ হাজার ৬৫৯ টন মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলামযোগ্য পণ্য পড়ে আছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ২৫০ টন রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য। এসব কেমিক্যাল ও রাসায়নিক পণ্য অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক আমিনুল হক বলেন, বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রাসায়নিক দ্রব্যগুলো। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার। এ ছাড়া ফায়ার স্টেশনে জনবল কম থাকায় দুর্ঘটনার সময় দ্রুত আগুন নেভানো যায় না, জনবল বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

বেনাপোল বন্দর ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর শাহিনুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ড রোধে বন্দর কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশনা তাঁরা পালন করছেন এবং ফায়ার সিস্টেমগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, ৯০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত বন্দরে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দুটি ফায়ার স্টেশনে মাত্র সাতজন জনবল রয়েছে। এই জনবল বাড়ানো হলে আরও বেশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ড রোধে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম ও ধ্বংসযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য কাস্টমসকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরাতে বা ধ্বংস করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বন্দরের মধ্যে আগুন ব্যবহার ও কার্ডধারী ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে এবং বন্দর ব্যবহারকারী বাণিজ্যিক সংগঠন ও কাস্টমসের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রবেশকারীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৪ হাজার জাল টাকাসহ যুবক আটক

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: 
জাল টাকাসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল টাকাসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ নুর আলম (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের আবদুল্লাহ মিয়ার হাট এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। নুর আলম জেলার সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নুর আলম আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের একটি মুদিদোকানে সুজি কিনতে যান। তিনি দোকানদারকে ১ হাজার টাকার একটি নোট দিয়ে দ্রুত অবশিষ্ট টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।

নোটটি দেখে দোকানদারের সন্দেহ হলে তিনি পাশের দোকানদারকে বিষয়টি জানান। পরে অন্য দোকানিদের সহযোগিতায় নুর আলমকে রাস্তা থেকে আটক করা হয় এবং চরজব্বার থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে নুর আলমকে তল্লাশি করে তাঁর মানিব্যাগ থেকে ২৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

 নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
সাপের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে পাতিলে করে সাপ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির রাজিয়া সুলতানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাপের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে পাতিলে করে সাপ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির রাজিয়া সুলতানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সাপের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে রাজিয়া সুলতানা (২৮) নামের এক গৃহবধূ সাপটিকে সঙ্গে নিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ধরনজি গ্রামের মো. বেলাল হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। পাওয়ার টিলারে রাখা একটি বস্তা সরাতে গেলে একটি সাপের বাচ্চা তাঁকে ছোবল মারে। পরে পরিবারের লোকজন রাজিয়াকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসে। আশ্চর্যজনকভাবে রাজিয়া ওই সাপটিকেও একটি পাতিলে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) স মু আল আফ মুকসিত বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে এক নারী সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে ভর্তি হন। সাপটি দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি “ঘরগিন্নি” নামের নির্বিষ প্রজাতির সাপ। তারপরও রোগীকে সতর্কতামূলক সব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’

ছোবল খাওয়া রাজিয়ার স্বামী মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আমার স্ত্রী আঙিনায় কাজ করছিল। হঠাৎ সাপের বাচ্চা কামড় দেয় হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন সাপটি বিষধর না হলেও আতঙ্কের কারণে অনেক সময় রোগীর শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এ জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ২৮
পলো আর জাল দিয়ে মাছ ধরছেন শত শত মানুষ। গতকাল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পলো আর জাল দিয়ে মাছ ধরছেন শত শত মানুষ। গতকাল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। হাজারো মানুষ পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয় সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে। তারা দিনব্যাপী হইহুল্লোড়ের মাধ্যমে মাছ শিকার করে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শত বছর ধরে চলছে বলদা বিলের এই ‘হাইত উৎসব’।

প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ পূর্বনির্ধারিত দিনে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।

আয়োজনের খবর পেয়ে মাছশিকারিরা গত বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছ শিকারি তাদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছে। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেয়। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেনি।

এ নিয়ে মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ দেখা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’

মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন। কিন্তু অংশগ্রহণকারীরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।’

স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত