যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮। গ্রামটি আয়তনে ছোট এবং জনসংখ্যায় কম। এ ছাড়া দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। শিক্ষার্থী কম থাকলেও বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষক। এত দিন ধরে গোঁজামিলের তথ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে। শিক্ষকেরাও নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এসব বিদ্যালয় ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা না করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানানোর পরামর্শ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। তবে এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার বিপক্ষে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সমন্বয় সভায় যেসব বিদ্যালয়ে পাঁচটি শ্রেণিতে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে, সেসব বিদ্যালয় একীভূত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করে অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
সে অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম ১৬টি বিদ্যালয়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেই চিঠিতে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করা হয়।
বিদ্যালয়গুলো হলো ১৮ জন শিক্ষার্থীর যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর কেশবপুর উপজেলার সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর পল্লী মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ১৮ জন শিক্ষার্থীর ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৪ জন শিক্ষার্থীর তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মনিরামপুর উপজেলার পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩০ জন শিক্ষার্থীর দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩১ জন শিক্ষার্থীর কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর গোপমহল মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৫ জন শিক্ষার্থীর কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৯ জন শিক্ষার্থীর হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তর দহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪২ জন শিক্ষার্থীর সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ের কোনোটির গমনোপযোগী শিশুদের সংখ্যা কম, কোনোটির জনহার জনসংখ্যা কম। আবার কোনোটির বিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার উপজেলায় হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। মূলত ওই এলাকাটিতে জনসংখ্যা কম, জন্মহারও কম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা করে দেখেছি, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো অসম্ভব। তা ছাড়া পাশেই ফুলেরগাতি হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রস্তুত করেছি। কিন্তু ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বড় একটি অংশ অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হতে চান না।’
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পর এই জেলায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে। এসব বিদ্যালয়কে অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।’ তাতে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং যাতায়াতসহ অন্য কোনো সমস্যায় হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাতায়াতে সমস্যা বা ব্যয় কারও বাড়বে না। বরং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ নানা সুবিধার আওতায় আনবে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই (ডিরেক্টর অব প্রাইমারি এডুকেশন) পরিচালক মনীষ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, একীভূত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় পর্যায়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচটি ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী না থাকার পরও এসব বিদ্যালয় চালানো রাষ্ট্রীয় অপচয়। তবে কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮। গ্রামটি আয়তনে ছোট এবং জনসংখ্যায় কম। এ ছাড়া দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। শিক্ষার্থী কম থাকলেও বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষক। এত দিন ধরে গোঁজামিলের তথ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে। শিক্ষকেরাও নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এসব বিদ্যালয় ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা না করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানানোর পরামর্শ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। তবে এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার বিপক্ষে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সমন্বয় সভায় যেসব বিদ্যালয়ে পাঁচটি শ্রেণিতে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে, সেসব বিদ্যালয় একীভূত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করে অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
সে অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম ১৬টি বিদ্যালয়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেই চিঠিতে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করা হয়।
বিদ্যালয়গুলো হলো ১৮ জন শিক্ষার্থীর যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর কেশবপুর উপজেলার সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর পল্লী মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ১৮ জন শিক্ষার্থীর ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৪ জন শিক্ষার্থীর তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মনিরামপুর উপজেলার পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩০ জন শিক্ষার্থীর দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩১ জন শিক্ষার্থীর কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর গোপমহল মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৫ জন শিক্ষার্থীর কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৯ জন শিক্ষার্থীর হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তর দহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪২ জন শিক্ষার্থীর সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ের কোনোটির গমনোপযোগী শিশুদের সংখ্যা কম, কোনোটির জনহার জনসংখ্যা কম। আবার কোনোটির বিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার উপজেলায় হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। মূলত ওই এলাকাটিতে জনসংখ্যা কম, জন্মহারও কম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা করে দেখেছি, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো অসম্ভব। তা ছাড়া পাশেই ফুলেরগাতি হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রস্তুত করেছি। কিন্তু ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বড় একটি অংশ অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হতে চান না।’
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পর এই জেলায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে। এসব বিদ্যালয়কে অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।’ তাতে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং যাতায়াতসহ অন্য কোনো সমস্যায় হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাতায়াতে সমস্যা বা ব্যয় কারও বাড়বে না। বরং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ নানা সুবিধার আওতায় আনবে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই (ডিরেক্টর অব প্রাইমারি এডুকেশন) পরিচালক মনীষ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, একীভূত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় পর্যায়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচটি ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী না থাকার পরও এসব বিদ্যালয় চালানো রাষ্ট্রীয় অপচয়। তবে কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮। গ্রামটি আয়তনে ছোট এবং জনসংখ্যায় কম। এ ছাড়া দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। শিক্ষার্থী কম থাকলেও বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষক। এত দিন ধরে গোঁজামিলের তথ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে। শিক্ষকেরাও নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এসব বিদ্যালয় ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা না করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানানোর পরামর্শ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। তবে এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার বিপক্ষে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সমন্বয় সভায় যেসব বিদ্যালয়ে পাঁচটি শ্রেণিতে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে, সেসব বিদ্যালয় একীভূত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করে অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
সে অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম ১৬টি বিদ্যালয়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেই চিঠিতে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করা হয়।
বিদ্যালয়গুলো হলো ১৮ জন শিক্ষার্থীর যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর কেশবপুর উপজেলার সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর পল্লী মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ১৮ জন শিক্ষার্থীর ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৪ জন শিক্ষার্থীর তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মনিরামপুর উপজেলার পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩০ জন শিক্ষার্থীর দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩১ জন শিক্ষার্থীর কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর গোপমহল মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৫ জন শিক্ষার্থীর কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৯ জন শিক্ষার্থীর হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তর দহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪২ জন শিক্ষার্থীর সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ের কোনোটির গমনোপযোগী শিশুদের সংখ্যা কম, কোনোটির জনহার জনসংখ্যা কম। আবার কোনোটির বিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার উপজেলায় হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। মূলত ওই এলাকাটিতে জনসংখ্যা কম, জন্মহারও কম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা করে দেখেছি, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো অসম্ভব। তা ছাড়া পাশেই ফুলেরগাতি হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রস্তুত করেছি। কিন্তু ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বড় একটি অংশ অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হতে চান না।’
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পর এই জেলায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে। এসব বিদ্যালয়কে অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।’ তাতে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং যাতায়াতসহ অন্য কোনো সমস্যায় হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাতায়াতে সমস্যা বা ব্যয় কারও বাড়বে না। বরং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ নানা সুবিধার আওতায় আনবে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই (ডিরেক্টর অব প্রাইমারি এডুকেশন) পরিচালক মনীষ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, একীভূত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় পর্যায়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচটি ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী না থাকার পরও এসব বিদ্যালয় চালানো রাষ্ট্রীয় অপচয়। তবে কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮। গ্রামটি আয়তনে ছোট এবং জনসংখ্যায় কম। এ ছাড়া দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। শিক্ষার্থী কম থাকলেও বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষক। এত দিন ধরে গোঁজামিলের তথ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে। শিক্ষকেরাও নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এসব বিদ্যালয় ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা না করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানানোর পরামর্শ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। তবে এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার বিপক্ষে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সমন্বয় সভায় যেসব বিদ্যালয়ে পাঁচটি শ্রেণিতে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে, সেসব বিদ্যালয় একীভূত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করে অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
সে অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম ১৬টি বিদ্যালয়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেই চিঠিতে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে বিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্র করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্র করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা উল্লেখ করা হয়।
বিদ্যালয়গুলো হলো ১৮ জন শিক্ষার্থীর যশোরের অভয়নগর উপজেলার হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর কেশবপুর উপজেলার সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর পল্লী মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ১৮ জন শিক্ষার্থীর ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৪ জন শিক্ষার্থীর তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মনিরামপুর উপজেলার পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৮ জন শিক্ষার্থীর ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩০ জন শিক্ষার্থীর দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩১ জন শিক্ষার্থীর কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৪ জন শিক্ষার্থীর গোপমহল মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ২৫ জন শিক্ষার্থীর কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৯ জন শিক্ষার্থীর হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তর দহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪২ জন শিক্ষার্থীর সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ের কোনোটির গমনোপযোগী শিশুদের সংখ্যা কম, কোনোটির জনহার জনসংখ্যা কম। আবার কোনোটির বিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার উপজেলায় হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। মূলত ওই এলাকাটিতে জনসংখ্যা কম, জন্মহারও কম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা করে দেখেছি, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো অসম্ভব। তা ছাড়া পাশেই ফুলেরগাতি হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রস্তুত করেছি। কিন্তু ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বড় একটি অংশ অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হতে চান না।’
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পর এই জেলায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে। এসব বিদ্যালয়কে অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।’ তাতে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং যাতায়াতসহ অন্য কোনো সমস্যায় হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাতায়াতে সমস্যা বা ব্যয় কারও বাড়বে না। বরং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ নানা সুবিধার আওতায় আনবে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই (ডিরেক্টর অব প্রাইমারি এডুকেশন) পরিচালক মনীষ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, একীভূত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় পর্যায়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচটি ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী না থাকার পরও এসব বিদ্যালয় চালানো রাষ্ট্রীয় অপচয়। তবে কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের স
১৭ এপ্রিল ২০২৪সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের স
১৭ এপ্রিল ২০২৪বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্দিকুরের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদ জানান, সিদ্দিকুর পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবন থেকে কীভাবে পড়ে গেছেন সিদ্দিকুর, তা জানেন না ওয়াহিদ।
সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার কালিকাকন্দি গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার। সিদ্দিকুর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কদমতলীর জনতাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্দিকুরের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদ জানান, সিদ্দিকুর পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবন থেকে কীভাবে পড়ে গেছেন সিদ্দিকুর, তা জানেন না ওয়াহিদ।
সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার কালিকাকন্দি গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার। সিদ্দিকুর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কদমতলীর জনতাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের স
১৭ এপ্রিল ২০২৪বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২৫ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাফিজুর রহমান রাস্তা পারাপারের সময় একটি গরুবোঝাই নছিমন গাড়ি তাঁকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নছিমনটি থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ,
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাফিজুর রহমান রাস্তা পারাপারের সময় একটি গরুবোঝাই নছিমন গাড়ি তাঁকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নছিমনটি থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ,
হরিষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো যশোরে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না থাকায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয়কে পাশের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের স
১৭ এপ্রিল ২০২৪বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগে