নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন। রায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রায়হান উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রায়হান। রায়হানের দেওয়া তথ্যমতে একটি জমি থেকে তালা-চাবি ও রায়হানের বসতঘর থেকে একটি প্যান্টের পকেটে রাখা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পাঁচ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাইপ্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমানপ্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
মোস্তাকিন তার মা ফুলবানু বিবি, ছোট ভাই তামিম, প্রবাসী ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম, সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে চার বেডরুমের বাড়িতে থাকত। মোস্তাকিনের ভাই সজল মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রায়হানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মোস্তাকিনের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ডসহ রাউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল রায়হানের হাতে। বাড়িতে রায়হানের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল।
আদালতে রায়হানের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, অবাধ যাতায়াতের সুবাদে প্রথমে মোস্তাকিনের বড় ভাই ওমানপ্রবাসী সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং পরে আরেক ভাই দুবাইপ্রবাসী ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রায়হান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই-তিন মাস আগে এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয় এবং তাঁকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও মোস্তাকিনদের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত চলছিল।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তাকিনের নানি অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। তখন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা ও তাছলিমা এবং মোস্তাকিন ও তামিমকে রেখে তাঁদের মা ফুলবানু মাকে দেখতে তিমিরপুর গ্রামে যান। রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যান রায়হান। রায়হান প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবি তাছলিমার ঘরে যান। পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের ঘরে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। মোস্তাকিন সেই কথা মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাসলিমা, রোজিনা ও মোস্তাকিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার থেকে একটি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনেন রায়হান। পরে মোস্তাকিনের ঘরে প্রবেশ করে তাছলিমা তার দুই পা এবং রোজিনা দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। রায়হান বাঁ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
মোস্তাকিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুই ভাবি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দুই ভাবির পরকীয়ার বিবরণ সামনে এলেও মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বিবি ছেলের স্ত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। পরে (২৫ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রায়হান উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ফুলবানু।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডে মামলার প্রধান আসামি রায়হান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোস্তাকিনের দুই ভাবির সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলেও জানান ওসি।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন। রায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রায়হান উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রায়হান। রায়হানের দেওয়া তথ্যমতে একটি জমি থেকে তালা-চাবি ও রায়হানের বসতঘর থেকে একটি প্যান্টের পকেটে রাখা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পাঁচ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাইপ্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমানপ্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
মোস্তাকিন তার মা ফুলবানু বিবি, ছোট ভাই তামিম, প্রবাসী ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম, সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে চার বেডরুমের বাড়িতে থাকত। মোস্তাকিনের ভাই সজল মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রায়হানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মোস্তাকিনের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ডসহ রাউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল রায়হানের হাতে। বাড়িতে রায়হানের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল।
আদালতে রায়হানের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, অবাধ যাতায়াতের সুবাদে প্রথমে মোস্তাকিনের বড় ভাই ওমানপ্রবাসী সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং পরে আরেক ভাই দুবাইপ্রবাসী ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রায়হান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই-তিন মাস আগে এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয় এবং তাঁকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও মোস্তাকিনদের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত চলছিল।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তাকিনের নানি অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। তখন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা ও তাছলিমা এবং মোস্তাকিন ও তামিমকে রেখে তাঁদের মা ফুলবানু মাকে দেখতে তিমিরপুর গ্রামে যান। রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যান রায়হান। রায়হান প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবি তাছলিমার ঘরে যান। পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের ঘরে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। মোস্তাকিন সেই কথা মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাসলিমা, রোজিনা ও মোস্তাকিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার থেকে একটি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনেন রায়হান। পরে মোস্তাকিনের ঘরে প্রবেশ করে তাছলিমা তার দুই পা এবং রোজিনা দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। রায়হান বাঁ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
মোস্তাকিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুই ভাবি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দুই ভাবির পরকীয়ার বিবরণ সামনে এলেও মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বিবি ছেলের স্ত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। পরে (২৫ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রায়হান উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ফুলবানু।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডে মামলার প্রধান আসামি রায়হান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোস্তাকিনের দুই ভাবির সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলেও জানান ওসি।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন। রায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রায়হান উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রায়হান। রায়হানের দেওয়া তথ্যমতে একটি জমি থেকে তালা-চাবি ও রায়হানের বসতঘর থেকে একটি প্যান্টের পকেটে রাখা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পাঁচ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাইপ্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমানপ্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
মোস্তাকিন তার মা ফুলবানু বিবি, ছোট ভাই তামিম, প্রবাসী ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম, সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে চার বেডরুমের বাড়িতে থাকত। মোস্তাকিনের ভাই সজল মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রায়হানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মোস্তাকিনের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ডসহ রাউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল রায়হানের হাতে। বাড়িতে রায়হানের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল।
আদালতে রায়হানের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, অবাধ যাতায়াতের সুবাদে প্রথমে মোস্তাকিনের বড় ভাই ওমানপ্রবাসী সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং পরে আরেক ভাই দুবাইপ্রবাসী ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রায়হান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই-তিন মাস আগে এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয় এবং তাঁকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও মোস্তাকিনদের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত চলছিল।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তাকিনের নানি অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। তখন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা ও তাছলিমা এবং মোস্তাকিন ও তামিমকে রেখে তাঁদের মা ফুলবানু মাকে দেখতে তিমিরপুর গ্রামে যান। রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যান রায়হান। রায়হান প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবি তাছলিমার ঘরে যান। পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের ঘরে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। মোস্তাকিন সেই কথা মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাসলিমা, রোজিনা ও মোস্তাকিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার থেকে একটি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনেন রায়হান। পরে মোস্তাকিনের ঘরে প্রবেশ করে তাছলিমা তার দুই পা এবং রোজিনা দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। রায়হান বাঁ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
মোস্তাকিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুই ভাবি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দুই ভাবির পরকীয়ার বিবরণ সামনে এলেও মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বিবি ছেলের স্ত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। পরে (২৫ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রায়হান উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ফুলবানু।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডে মামলার প্রধান আসামি রায়হান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোস্তাকিনের দুই ভাবির সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলেও জানান ওসি।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন। রায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রায়হান উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রায়হান। রায়হানের দেওয়া তথ্যমতে একটি জমি থেকে তালা-চাবি ও রায়হানের বসতঘর থেকে একটি প্যান্টের পকেটে রাখা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পাঁচ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাইপ্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমানপ্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
মোস্তাকিন তার মা ফুলবানু বিবি, ছোট ভাই তামিম, প্রবাসী ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম, সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে চার বেডরুমের বাড়িতে থাকত। মোস্তাকিনের ভাই সজল মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রায়হানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মোস্তাকিনের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ডসহ রাউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল রায়হানের হাতে। বাড়িতে রায়হানের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল।
আদালতে রায়হানের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, অবাধ যাতায়াতের সুবাদে প্রথমে মোস্তাকিনের বড় ভাই ওমানপ্রবাসী সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং পরে আরেক ভাই দুবাইপ্রবাসী ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রায়হান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই-তিন মাস আগে এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয় এবং তাঁকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও মোস্তাকিনদের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত চলছিল।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তাকিনের নানি অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। তখন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা ও তাছলিমা এবং মোস্তাকিন ও তামিমকে রেখে তাঁদের মা ফুলবানু মাকে দেখতে তিমিরপুর গ্রামে যান। রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যান রায়হান। রায়হান প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবি তাছলিমার ঘরে যান। পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের ঘরে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। মোস্তাকিন সেই কথা মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাসলিমা, রোজিনা ও মোস্তাকিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার থেকে একটি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনেন রায়হান। পরে মোস্তাকিনের ঘরে প্রবেশ করে তাছলিমা তার দুই পা এবং রোজিনা দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। রায়হান বাঁ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
মোস্তাকিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুই ভাবি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দুই ভাবির পরকীয়ার বিবরণ সামনে এলেও মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বিবি ছেলের স্ত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। পরে (২৫ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রায়হান উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ফুলবানু।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডে মামলার প্রধান আসামি রায়হান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোস্তাকিনের দুই ভাবির সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলেও জানান ওসি।
যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আর নির্মাণকাজের ধুলার কারণে দূষিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাতাস। অথচ ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমানোয় বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিল রাজশাহী শহর। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন নিয়মিতই রাজশাহীর বায়ুদূষণের কথা উঠে আসছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিল্পপতি। দৃশ্যত তাঁদের দুজনের প্রতিযোগিতার মাঝে পিছিয়ে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা। এমনকি মহানগর বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা ৫ আগস্টের পর নিজেদের সম্ভাব্য দলীয়
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ২০টি স্টেশনের ৮টিতেই কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন চালুর ১০ মাস পরও ট্রেন থামার অপেক্ষায় এসব স্টেশন। ট্রেন না থামায় এই রেলপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ থাকায় আধুনিক এসব স্টেশন ভবন
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
৪ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী
যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আর নির্মাণকাজের ধুলার কারণে দূষিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাতাস। অথচ ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমানোয় বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিল রাজশাহী শহর। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন নিয়মিতই রাজশাহীর বায়ুদূষণের কথা উঠে আসছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবারও এখানকার বাতাস ছিল দেশের আট বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত।
আইকিউএয়ার বাতাসের মান নির্ধারণে একটি তাৎক্ষণিক সূচক তৈরি করে, যা কোনো নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে। গতকাল দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে বায়ুর মান সূচক সবচেয়ে বেশি ছিল, ১৬৭। তারপরই ছিল খুলনায়, ১৫৭। এ ছাড়া রংপুরে বায়ুর মান সূচক ১৩৭, বরিশালে ১১৪, ময়মনসিংহে ১১৩, ঢাকায় ১০২, সিলেটে ৮২ এবং চট্টগ্রামে ৭৩ রেকর্ড করা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, বায়ুদূষণের নানা নিয়ামকের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো অতিক্ষুদ্র কণা, যা পিএম ২.৫ নামে পরিচিত। বাতাসে মিশে থাকা অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা, গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়া, ইটভাটা ও নির্মাণকাজ থেকে এই কণা তৈরি হয়। রাজশাহীতে এখন ইটভাটাগুলো বন্ধ। কলকারখানাও তেমন নেই। বায়ুদূষণ করছে মূলত যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং শহরজুড়ে চলমান নির্মাণকাজ থেকে তৈরি হওয়া ধূলিকণা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শংকর কে রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজশাহীর মতো শহরে আমরা এমন বায়ুদূষণ কল্পনাও করতে পারি না। এখন এমনিতেই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি, জ্বর, কাশি, ফ্লু, ডেঙ্গু রয়েছে। এর সঙ্গে দূষিত বায়ু ফুসফুসে গেলে শিশু ও বয়স্ক এবং যারা আগে থেকে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত, তাদের নানা অসুখ দেখা দেবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরজুড়ে প্রচুর নির্মাণকাজ হচ্ছে। বালু রাখা হচ্ছে রাস্তার ওপর। গাড়ি সেদিক দিয়ে গেলে চাকা উঠছে বালুর ওপর। এতে বালু উড়ছে। বাতাসে ধূলিকণা বাড়ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পরিবেশবান্ধব হলেও সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে সেগুলোও চলাচলের কারণে ধুলোবালি ওড়াচ্ছে; পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তো শোনা যায় না।’
ধোঁয়া দেখে সনদ
রাজশাহী নগরের ভেতর দিয়ে এখনো বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লক্কড়ঝক্কড় বাস এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচল করছে। গতকাল দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় একটি বাস থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হতে দেখা যায়।
সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এসব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ এ ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মোটরসাইকেল একবার কেনার পর আর কখনো ধোঁয়া পরীক্ষা হয় না। এ ব্যাপারে মামলা হয় না। আমাদের দেশে বিষয়টা ওই পর্যায়ে যায়নি। তবে বাস-ট্রাকের মতো অন্যান্য যানবাহন কালো ধোঁয়া নির্গত করলে আমরা ব্যবস্থা নিই। এটা অবশ্য দেখার মূল দায়িত্ব বিআরটিএর। আমরা বিআরটিএকে বলি, যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া নির্গত করে, তাদের যেন ফিটনেস সার্টিফিকেট না দেওয়া হয়।’
বিআরটিএর রাজশাহী কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা যানবাহনের কালো ধোঁয়া চোখে দেখেই ফিটনেস সনদ দেন। ধোঁয়ার মান পরীক্ষার জন্য তাঁদের কাছে কোনো ডিভাইস নেই। অথচ গ্যাস, পেট্রল বা অকটেনচালিত মোটরযানের ধোঁয়া পরীক্ষার জন্য গ্যাস অ্যানালাইজার ও ডিজেলচালিত গাড়ির জন্য স্মোক মিটার আছে। এ যন্ত্র শুধু বিআরটিএর ঢাকা কার্যালয়ে আছে। দেশের আর কোথাও নেই।
জানতে চাইলে বিআরটিএর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ফয়সাল হাসান বলেন, প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে কথা বলার জন্য আগে একবার তাঁকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি ছাড়া তিনি কথা বলবেন না।
রাসিকে জরুরি বৈঠক
রাজশাহীর বাতাসের মান দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হয়ে পড়ার খবর জানতে পেরে গতকাল দুপুরে জরুরি বৈঠক করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) কর্মকর্তারা। সেখানে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্যোগে নির্মাণাধীন বাসাবাড়ির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। এ বৈঠকে ধূলিকণা কমানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহমুদ-উল-হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাতাসের মান নিয়ে যে খবর এসেছে, তা দুঃখজনক। এখন শহরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। সে কারণে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ধুলোবালি উড়ছে। পানি ছিটিয়ে এটা কমানো যায় কি না, সে জন্য সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখাকে বলা হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে এটা থাকবে না।’
যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আর নির্মাণকাজের ধুলার কারণে দূষিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাতাস। অথচ ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমানোয় বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিল রাজশাহী শহর। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন নিয়মিতই রাজশাহীর বায়ুদূষণের কথা উঠে আসছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবারও এখানকার বাতাস ছিল দেশের আট বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত।
আইকিউএয়ার বাতাসের মান নির্ধারণে একটি তাৎক্ষণিক সূচক তৈরি করে, যা কোনো নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে। গতকাল দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে বায়ুর মান সূচক সবচেয়ে বেশি ছিল, ১৬৭। তারপরই ছিল খুলনায়, ১৫৭। এ ছাড়া রংপুরে বায়ুর মান সূচক ১৩৭, বরিশালে ১১৪, ময়মনসিংহে ১১৩, ঢাকায় ১০২, সিলেটে ৮২ এবং চট্টগ্রামে ৭৩ রেকর্ড করা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, বায়ুদূষণের নানা নিয়ামকের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো অতিক্ষুদ্র কণা, যা পিএম ২.৫ নামে পরিচিত। বাতাসে মিশে থাকা অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা, গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়া, ইটভাটা ও নির্মাণকাজ থেকে এই কণা তৈরি হয়। রাজশাহীতে এখন ইটভাটাগুলো বন্ধ। কলকারখানাও তেমন নেই। বায়ুদূষণ করছে মূলত যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং শহরজুড়ে চলমান নির্মাণকাজ থেকে তৈরি হওয়া ধূলিকণা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শংকর কে রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজশাহীর মতো শহরে আমরা এমন বায়ুদূষণ কল্পনাও করতে পারি না। এখন এমনিতেই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি, জ্বর, কাশি, ফ্লু, ডেঙ্গু রয়েছে। এর সঙ্গে দূষিত বায়ু ফুসফুসে গেলে শিশু ও বয়স্ক এবং যারা আগে থেকে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত, তাদের নানা অসুখ দেখা দেবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরজুড়ে প্রচুর নির্মাণকাজ হচ্ছে। বালু রাখা হচ্ছে রাস্তার ওপর। গাড়ি সেদিক দিয়ে গেলে চাকা উঠছে বালুর ওপর। এতে বালু উড়ছে। বাতাসে ধূলিকণা বাড়ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পরিবেশবান্ধব হলেও সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে সেগুলোও চলাচলের কারণে ধুলোবালি ওড়াচ্ছে; পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তো শোনা যায় না।’
ধোঁয়া দেখে সনদ
রাজশাহী নগরের ভেতর দিয়ে এখনো বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লক্কড়ঝক্কড় বাস এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচল করছে। গতকাল দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় একটি বাস থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হতে দেখা যায়।
সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এসব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ এ ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মোটরসাইকেল একবার কেনার পর আর কখনো ধোঁয়া পরীক্ষা হয় না। এ ব্যাপারে মামলা হয় না। আমাদের দেশে বিষয়টা ওই পর্যায়ে যায়নি। তবে বাস-ট্রাকের মতো অন্যান্য যানবাহন কালো ধোঁয়া নির্গত করলে আমরা ব্যবস্থা নিই। এটা অবশ্য দেখার মূল দায়িত্ব বিআরটিএর। আমরা বিআরটিএকে বলি, যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া নির্গত করে, তাদের যেন ফিটনেস সার্টিফিকেট না দেওয়া হয়।’
বিআরটিএর রাজশাহী কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা যানবাহনের কালো ধোঁয়া চোখে দেখেই ফিটনেস সনদ দেন। ধোঁয়ার মান পরীক্ষার জন্য তাঁদের কাছে কোনো ডিভাইস নেই। অথচ গ্যাস, পেট্রল বা অকটেনচালিত মোটরযানের ধোঁয়া পরীক্ষার জন্য গ্যাস অ্যানালাইজার ও ডিজেলচালিত গাড়ির জন্য স্মোক মিটার আছে। এ যন্ত্র শুধু বিআরটিএর ঢাকা কার্যালয়ে আছে। দেশের আর কোথাও নেই।
জানতে চাইলে বিআরটিএর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ফয়সাল হাসান বলেন, প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে কথা বলার জন্য আগে একবার তাঁকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি ছাড়া তিনি কথা বলবেন না।
রাসিকে জরুরি বৈঠক
রাজশাহীর বাতাসের মান দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হয়ে পড়ার খবর জানতে পেরে গতকাল দুপুরে জরুরি বৈঠক করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) কর্মকর্তারা। সেখানে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্যোগে নির্মাণাধীন বাসাবাড়ির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। এ বৈঠকে ধূলিকণা কমানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহমুদ-উল-হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাতাসের মান নিয়ে যে খবর এসেছে, তা দুঃখজনক। এখন শহরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। সে কারণে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ধুলোবালি উড়ছে। পানি ছিটিয়ে এটা কমানো যায় কি না, সে জন্য সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখাকে বলা হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে এটা থাকবে না।’
উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাই প্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমান প্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিল্পপতি। দৃশ্যত তাঁদের দুজনের প্রতিযোগিতার মাঝে পিছিয়ে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা। এমনকি মহানগর বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা ৫ আগস্টের পর নিজেদের সম্ভাব্য দলীয়
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ২০টি স্টেশনের ৮টিতেই কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন চালুর ১০ মাস পরও ট্রেন থামার অপেক্ষায় এসব স্টেশন। ট্রেন না থামায় এই রেলপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ থাকায় আধুনিক এসব স্টেশন ভবন
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ-৫ আসন
সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিল্পপতি। দৃশ্যত তাঁদের দুজনের প্রতিযোগিতার মাঝে পিছিয়ে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা। এমনকি মহানগর বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা ৫ আগস্টের পর নিজেদের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন, তাঁদের কেউ কেউ এখন দুই ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই শিল্পপতি হচ্ছেন মডেল ডি ক্যাপিটাল গ্রুপের মালিক ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। অপরজন প্রাইম গ্রুপের মালিক ও বিকেএমইএর সাবেক পরিচালক আবু জাফর আহমেদ বাবুল। দুজনের কেউই বিএনপির পদধারী কোনো নেতা নন। মাসুদুজ্জামান মাসুদ গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে দলীয় সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তবে এলাকায় উভয় ব্যবসায়ী আগে থেকেই বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জেলা, মহানগর এমনকি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে শোনা যায়।
দুই ব্যবসায়ীর বাইরে আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে মাসুদ ও বাবুলের কারণে ইতিমধ্যেই আলোচনা থেকেও ছিটকে পড়েছেন তাঁরা। এমনকি কয়েকজনকে এই দুই শিল্পপতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে তাঁদের সমর্থন দিতেও দেখা গেছে।
পুরো মহানগর বিএনপি এখন মাসুদ ও বাবুলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই দৌড়াচ্ছেন তাঁদের পেছনে। দলে পদপদবি না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন নিয়ে তাঁদের দৌড়ঝাঁপ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের ধারণা, এ দুজনের একজনই পাবেন আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপির বহু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আর্থিকভাবে পাশে ছিলাম। এমনকি আওয়ামী লীগ আমলে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অর্থায়নের অভিযোগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমার কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ফলে বিএনপির পদপদবিতে না থেকেও ঝুঁকিতে ছিলাম। আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। বাকিটা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন।’
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে আমি ছায়া হয়ে ছিলাম। দলের নির্দেশনা পেয়েই সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। মনোনয়ন পাব কি না সেটা নির্ভর করছে হাইকমান্ডের ওপর। তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নেব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিল্পপতি। দৃশ্যত তাঁদের দুজনের প্রতিযোগিতার মাঝে পিছিয়ে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা। এমনকি মহানগর বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা ৫ আগস্টের পর নিজেদের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন, তাঁদের কেউ কেউ এখন দুই ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই শিল্পপতি হচ্ছেন মডেল ডি ক্যাপিটাল গ্রুপের মালিক ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। অপরজন প্রাইম গ্রুপের মালিক ও বিকেএমইএর সাবেক পরিচালক আবু জাফর আহমেদ বাবুল। দুজনের কেউই বিএনপির পদধারী কোনো নেতা নন। মাসুদুজ্জামান মাসুদ গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে দলীয় সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তবে এলাকায় উভয় ব্যবসায়ী আগে থেকেই বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জেলা, মহানগর এমনকি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে শোনা যায়।
দুই ব্যবসায়ীর বাইরে আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে মাসুদ ও বাবুলের কারণে ইতিমধ্যেই আলোচনা থেকেও ছিটকে পড়েছেন তাঁরা। এমনকি কয়েকজনকে এই দুই শিল্পপতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে তাঁদের সমর্থন দিতেও দেখা গেছে।
পুরো মহানগর বিএনপি এখন মাসুদ ও বাবুলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই দৌড়াচ্ছেন তাঁদের পেছনে। দলে পদপদবি না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন নিয়ে তাঁদের দৌড়ঝাঁপ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের ধারণা, এ দুজনের একজনই পাবেন আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপির বহু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আর্থিকভাবে পাশে ছিলাম। এমনকি আওয়ামী লীগ আমলে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অর্থায়নের অভিযোগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমার কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ফলে বিএনপির পদপদবিতে না থেকেও ঝুঁকিতে ছিলাম। আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। বাকিটা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন।’
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে আমি ছায়া হয়ে ছিলাম। দলের নির্দেশনা পেয়েই সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। মনোনয়ন পাব কি না সেটা নির্ভর করছে হাইকমান্ডের ওপর। তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নেব।’
উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাই প্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমান প্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আর নির্মাণকাজের ধুলার কারণে দূষিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাতাস। অথচ ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমানোয় বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিল রাজশাহী শহর। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন নিয়মিতই রাজশাহীর বায়ুদূষণের কথা উঠে আসছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ২০টি স্টেশনের ৮টিতেই কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন চালুর ১০ মাস পরও ট্রেন থামার অপেক্ষায় এসব স্টেশন। ট্রেন না থামায় এই রেলপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ থাকায় আধুনিক এসব স্টেশন ভবন
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেলসংযোগ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ২০টি স্টেশনের ৮টিতেই কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন চালুর ১০ মাস পরও ট্রেন থামার অপেক্ষায় এসব স্টেশন। ট্রেন না থামায় এই রেলপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ থাকায় আধুনিক এসব স্টেশন ভবন নষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে কিছু স্টেশন থেকে সরঞ্জাম চুরি হচ্ছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে নিয়মিত ট্রেন চলে মাত্র ৬টি; অথচ সক্ষমতা রয়েছে ৪৮টি ট্রেন চলাচলের। ফলে এই রেলপথ বাণিজ্যিকভাবে এখনো লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১৭টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৩টি পুরোনো স্টেশন সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কার করা তিন স্টেশনের মধ্যে রয়েছে কমলাপুর, কাশিয়ানী ও ভাঙ্গা। গেন্ডারিয়ায় আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে ছোট স্টেশন ছিল। সেখানে আধুনিক স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্টেশনে এখনো শুধু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনই থামে। কিন্তু পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলো থামে ১১টি স্টেশনে। এগুলো হলো ভাঙ্গা জংশন, কাশিয়ানী, লোহাগড়া, নড়াইল, সিঙ্গিয়া, শ্রীনগর, মাওয়া, পদ্মা, শিবচর, ভাঙ্গা স্টেশন ও কমলাপুর রেলস্টেশন। ট্রেন থামায় এসব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারে। পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করা ট্রেন যে ৯টি স্টেশনে থামছে না, সেগুলো হলো গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, জামদিয়া, পদ্মবিলা, রূপদিয়া। এসব স্টেশনে বর্তমানে কয়েকজন ওয়েম্যান ও প্রহরী আছেন, কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রেন না থামায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক স্টেশন ভবনগুলো ব্যবহৃত না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে। ঢাকায় একটি সরকারি দপ্তরে কর্মরত মো. জুবায়ের হোসেনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কপথ এখন বেশ ভালো, তাই প্রতিদিন বাড়ি থেকে অফিসে যাতায়াত করেন। সিরাজদিখানের কাছে নিমতলা রেলস্টেশন নির্মিত হলেও কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ট্রেনের সুবিধা তিনি পান না। সরকারি টাকায় স্টেশন তৈরি করে ব্যবহার না হওয়া অর্থের অপচয়।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, কার্যক্রম না থাকা কিছু স্টেশন থেকে এরই মধ্যে দামি ইলেকট্রিক ফিটিংস, বাথরুমের সরঞ্জাম ও ভায়াডাক্টের গ্রিটিং চুরি হয়েছে। ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই বলেই এসব স্টেশন চালু করা হয়নি। পূর্ণরূপে পরিচালনার আগে জনবল অনুমোদন এবং সময়সূচি চূড়ান্ত করা প্রয়োজন।
২০২৩ সালে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের একাংশ চালু হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা, মধুমতি, জাহানাবাদ, বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ছয়টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। নতুন রেললাইন চালু হলেও বাড়েনি ট্রেনের সংখ্যা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এই রুট দিয়ে দিনে ৪৮টি যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল, কোচ, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) না থাকায় পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছানো যায়নি। প্রকল্পে প্রস্তাবিত ১ হাজার ৫৭৪ জন নতুন জনবল নিয়োগের অনুমোদন এখনো দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে পাঁচবার সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তনগর ট্রেন সব স্টেশনে থামানো সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতেই ট্রেনের বিরতি দেওয়া হয়। তবে কিছু স্টেশন এখন বন্ধ আছে। ধীরে ধীরে লোকাল বা কমিউটার ট্রেন চালু হলে সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এ ছাড়া জনবলসংকটের কারণে এখনই সব স্টেশন চালু করা যায়নি। তিনি বলেন, সব স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের বিরতি দিলে সময়সূচি ব্যাহত হবে। কিছু স্টেশনের সরঞ্জাম চুরির ঘটনায় জিআরপি মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
প্রকল্পের নথি থেকে জানা যায়, ডিপিপি অনুযায়ী এই প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তির আওতায় ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অবশিষ্ট খরচ হয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি পরিষেবা স্থানান্তরে ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ ৫০ কোটি টাকা।
২০২৬ সালের জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে প্রকল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন অবকাঠামো তৈরি হয়, সেখানে ব্যবহারের আগেই স্টেশন বন্ধ থাকা পরিকল্পনার দুর্বলতা নির্দেশ করে। এ ছাড়া বড় বড় প্রকল্প নেওয়া থেকে মনোযোগ কমাতে হবে রেলওয়েকে। রেলসেবাকে টেকসই করতে হলে স্টেশনভিত্তিক ব্যবসা এবং কমিউটার সার্ভিস চালুর দিকে নজর দিতে হবে।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ২০টি স্টেশনের ৮টিতেই কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন চালুর ১০ মাস পরও ট্রেন থামার অপেক্ষায় এসব স্টেশন। ট্রেন না থামায় এই রেলপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ থাকায় আধুনিক এসব স্টেশন ভবন নষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে কিছু স্টেশন থেকে সরঞ্জাম চুরি হচ্ছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ২৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে নিয়মিত ট্রেন চলে মাত্র ৬টি; অথচ সক্ষমতা রয়েছে ৪৮টি ট্রেন চলাচলের। ফলে এই রেলপথ বাণিজ্যিকভাবে এখনো লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১৭টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৩টি পুরোনো স্টেশন সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কার করা তিন স্টেশনের মধ্যে রয়েছে কমলাপুর, কাশিয়ানী ও ভাঙ্গা। গেন্ডারিয়ায় আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে ছোট স্টেশন ছিল। সেখানে আধুনিক স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্টেশনে এখনো শুধু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনই থামে। কিন্তু পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলো থামে ১১টি স্টেশনে। এগুলো হলো ভাঙ্গা জংশন, কাশিয়ানী, লোহাগড়া, নড়াইল, সিঙ্গিয়া, শ্রীনগর, মাওয়া, পদ্মা, শিবচর, ভাঙ্গা স্টেশন ও কমলাপুর রেলস্টেশন। ট্রেন থামায় এসব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারে। পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করা ট্রেন যে ৯টি স্টেশনে থামছে না, সেগুলো হলো গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, জামদিয়া, পদ্মবিলা, রূপদিয়া। এসব স্টেশনে বর্তমানে কয়েকজন ওয়েম্যান ও প্রহরী আছেন, কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রেন না থামায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক স্টেশন ভবনগুলো ব্যবহৃত না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে। ঢাকায় একটি সরকারি দপ্তরে কর্মরত মো. জুবায়ের হোসেনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কপথ এখন বেশ ভালো, তাই প্রতিদিন বাড়ি থেকে অফিসে যাতায়াত করেন। সিরাজদিখানের কাছে নিমতলা রেলস্টেশন নির্মিত হলেও কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ট্রেনের সুবিধা তিনি পান না। সরকারি টাকায় স্টেশন তৈরি করে ব্যবহার না হওয়া অর্থের অপচয়।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, কার্যক্রম না থাকা কিছু স্টেশন থেকে এরই মধ্যে দামি ইলেকট্রিক ফিটিংস, বাথরুমের সরঞ্জাম ও ভায়াডাক্টের গ্রিটিং চুরি হয়েছে। ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই বলেই এসব স্টেশন চালু করা হয়নি। পূর্ণরূপে পরিচালনার আগে জনবল অনুমোদন এবং সময়সূচি চূড়ান্ত করা প্রয়োজন।
২০২৩ সালে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের একাংশ চালু হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা, মধুমতি, জাহানাবাদ, বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ছয়টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। নতুন রেললাইন চালু হলেও বাড়েনি ট্রেনের সংখ্যা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এই রুট দিয়ে দিনে ৪৮টি যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল, কোচ, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) না থাকায় পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছানো যায়নি। প্রকল্পে প্রস্তাবিত ১ হাজার ৫৭৪ জন নতুন জনবল নিয়োগের অনুমোদন এখনো দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে পাঁচবার সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তনগর ট্রেন সব স্টেশনে থামানো সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতেই ট্রেনের বিরতি দেওয়া হয়। তবে কিছু স্টেশন এখন বন্ধ আছে। ধীরে ধীরে লোকাল বা কমিউটার ট্রেন চালু হলে সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এ ছাড়া জনবলসংকটের কারণে এখনই সব স্টেশন চালু করা যায়নি। তিনি বলেন, সব স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের বিরতি দিলে সময়সূচি ব্যাহত হবে। কিছু স্টেশনের সরঞ্জাম চুরির ঘটনায় জিআরপি মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
প্রকল্পের নথি থেকে জানা যায়, ডিপিপি অনুযায়ী এই প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬২৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্মাণ চুক্তির আওতায় ছিল ২৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অবশিষ্ট খরচ হয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স ৮ হাজার কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার কোটি, পুনর্বাসনে ২০০ কোটি, ইউটিলিটি পরিষেবা স্থানান্তরে ৩০০ কোটি, পরামর্শক ব্যয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ ৫০ কোটি টাকা।
২০২৬ সালের জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে প্রকল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন অবকাঠামো তৈরি হয়, সেখানে ব্যবহারের আগেই স্টেশন বন্ধ থাকা পরিকল্পনার দুর্বলতা নির্দেশ করে। এ ছাড়া বড় বড় প্রকল্প নেওয়া থেকে মনোযোগ কমাতে হবে রেলওয়েকে। রেলসেবাকে টেকসই করতে হলে স্টেশনভিত্তিক ব্যবসা এবং কমিউটার সার্ভিস চালুর দিকে নজর দিতে হবে।
উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাই প্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমান প্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আর নির্মাণকাজের ধুলার কারণে দূষিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাতাস। অথচ ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমানোয় বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিল রাজশাহী শহর। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন নিয়মিতই রাজশাহীর বায়ুদূষণের কথা উঠে আসছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিল্পপতি। দৃশ্যত তাঁদের দুজনের প্রতিযোগিতার মাঝে পিছিয়ে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা। এমনকি মহানগর বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা ৫ আগস্টের পর নিজেদের সম্ভাব্য দলীয়
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
৪ ঘণ্টা আগেকার্গো ভিলেজে আগুন
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছু পুড়ে যায়। বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেবিচক বলেছে, ভবনটির যেখানে আগুন লাগে, তার সামনে একটি টিনের শেড এবং নিচে আমদানি করা টন টন পণ্যের স্তূপ থাকায় বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ গাড়ি নিয়ে দ্রুত পানি দিতে পারেনি। এতে দেরি হয়। পরে তারা বাইরে ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
বেবিচক জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর পাশে বেবিচক কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের দপ্তর। এই বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন পরিচালক আবু সালেহ মো. খালেক। এই বিভাগের সদস্যরা দুই বছর পরপর শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে আগুন নেভানোর মহড়া করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে মহড়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জনবল, যানবাহন, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা রয়েছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের আগুন নেভানোর চারটি যানবাহন রয়েছে, একটি প্রোটেক্টর গাড়ি, একটি রোজেনবাওয়ার ও দুটি মরিতা। তবে একটি মরিতা গাড়ি নষ্ট। প্রোটেক্টর গাড়িতে একবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ৫০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। অপর গাড়িগুলোতে ১০ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ২০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। গাড়ির পানি বা ফোম শেষ হলে আবার ভরতে হয়।
সূত্র জানায়, এসব গাড়ির নকশা আলাদা। এগুলো উড়োজাহাজের আগুন নেভানোর জন্য তৈরি। এসব গাড়ির সঙ্গে বড় পাইপের সংযোগ কম করা থাকে। অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির চেয়ে এগুলো ভিন্ন। তাই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের আগুনে পানি ছুড়ে তেমন সফল হয়নি।
দুটি সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা শুরুর দিকে বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ দলকে সাহায্য করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটারের মধ্যেই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ। কিন্তু তারা আগুনের কাছে এসে তাৎক্ষণিক পানি দিতে পারেনি। প্রথমে ধোঁয়া দেখে ভবনটির সামনের সড়কের আনসার সদস্যরা দ্রুত বিষয়টি জানান। এরপর বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ দলের একটি গাড়ি মাঠ দিয়ে আগুনের দিকে এগোনের চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের সূত্রপাতস্থলের সামনে একটি টিনের বড় শেড ও তার সামনে খোলা মাঠে কয়েক শ’ টন আমদানি করা ভারি মালামাল রাখা ছিল। এসব মালামাল সরিয়ে ওই গাড়ির পানি পৌঁছাতে পারেনি। এরপর বাইরে এসে পানি দেওয়ার চেষ্টা করার সময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে এলাকাটির প্রতিটি ফটকে ছিল কড়াকড়ি। কেউ প্রথমে ধারণা করেননি, আগুন এত তীব্র হবে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে যোগ দেয়। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক কুরিয়ার এলাকার সামনের ফটক ভেঙে ফেলেন। কিন্তু আগুন এর মধ্যেই ছড়িয়ে যায়।
সূত্র জানায়, বেবিচকের অগ্নিনির্বাপক দলের প্রতিটি গাড়ির জন্য চালকসহ ছয়জন স্টাফ রয়েছেন। সেই হিসাবে চার গাড়ির জন্য ২৪ জন ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। তারা শিফটে দায়িত্ব পালন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আগুন নেভার পর সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য যথেষ্ট প্রটেকশন ছিল না।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বেবিচকের কর্মকর্তারা জানান, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আজ মঙ্গলবার সব বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের জায়গায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ৩৬ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসাধীন এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিপুল নামে আনসারের এক সদস্য গাড়ি চাপায় বিমানবন্দরের সামনের সড়কে নিহত হন।
গতকাল দেখা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলেও আমদানি পণ্য ছাড় ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি। সচল করা যায়নি পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম। ফলে আমদানির মালামাল ছাড়ের আংশিক কার্যক্রম চলছে বিমানের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ দিয়ে। এতে কার্যক্রমে ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানিকারক ও এজেন্টরা।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছু পুড়ে যায়। বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেবিচক বলেছে, ভবনটির যেখানে আগুন লাগে, তার সামনে একটি টিনের শেড এবং নিচে আমদানি করা টন টন পণ্যের স্তূপ থাকায় বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ গাড়ি নিয়ে দ্রুত পানি দিতে পারেনি। এতে দেরি হয়। পরে তারা বাইরে ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
বেবিচক জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর পাশে বেবিচক কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের দপ্তর। এই বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন পরিচালক আবু সালেহ মো. খালেক। এই বিভাগের সদস্যরা দুই বছর পরপর শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে আগুন নেভানোর মহড়া করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে মহড়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জনবল, যানবাহন, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা রয়েছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের আগুন নেভানোর চারটি যানবাহন রয়েছে, একটি প্রোটেক্টর গাড়ি, একটি রোজেনবাওয়ার ও দুটি মরিতা। তবে একটি মরিতা গাড়ি নষ্ট। প্রোটেক্টর গাড়িতে একবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ৫০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। অপর গাড়িগুলোতে ১০ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ২০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। গাড়ির পানি বা ফোম শেষ হলে আবার ভরতে হয়।
সূত্র জানায়, এসব গাড়ির নকশা আলাদা। এগুলো উড়োজাহাজের আগুন নেভানোর জন্য তৈরি। এসব গাড়ির সঙ্গে বড় পাইপের সংযোগ কম করা থাকে। অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির চেয়ে এগুলো ভিন্ন। তাই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের আগুনে পানি ছুড়ে তেমন সফল হয়নি।
দুটি সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা শুরুর দিকে বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ দলকে সাহায্য করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটারের মধ্যেই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ। কিন্তু তারা আগুনের কাছে এসে তাৎক্ষণিক পানি দিতে পারেনি। প্রথমে ধোঁয়া দেখে ভবনটির সামনের সড়কের আনসার সদস্যরা দ্রুত বিষয়টি জানান। এরপর বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ দলের একটি গাড়ি মাঠ দিয়ে আগুনের দিকে এগোনের চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের সূত্রপাতস্থলের সামনে একটি টিনের বড় শেড ও তার সামনে খোলা মাঠে কয়েক শ’ টন আমদানি করা ভারি মালামাল রাখা ছিল। এসব মালামাল সরিয়ে ওই গাড়ির পানি পৌঁছাতে পারেনি। এরপর বাইরে এসে পানি দেওয়ার চেষ্টা করার সময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে এলাকাটির প্রতিটি ফটকে ছিল কড়াকড়ি। কেউ প্রথমে ধারণা করেননি, আগুন এত তীব্র হবে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে যোগ দেয়। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক কুরিয়ার এলাকার সামনের ফটক ভেঙে ফেলেন। কিন্তু আগুন এর মধ্যেই ছড়িয়ে যায়।
সূত্র জানায়, বেবিচকের অগ্নিনির্বাপক দলের প্রতিটি গাড়ির জন্য চালকসহ ছয়জন স্টাফ রয়েছেন। সেই হিসাবে চার গাড়ির জন্য ২৪ জন ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। তারা শিফটে দায়িত্ব পালন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আগুন নেভার পর সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য যথেষ্ট প্রটেকশন ছিল না।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বেবিচকের কর্মকর্তারা জানান, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আজ মঙ্গলবার সব বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের জায়গায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ৩৬ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসাধীন এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিপুল নামে আনসারের এক সদস্য গাড়ি চাপায় বিমানবন্দরের সামনের সড়কে নিহত হন।
গতকাল দেখা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলেও আমদানি পণ্য ছাড় ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি। সচল করা যায়নি পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম। ফলে আমদানির মালামাল ছাড়ের আংশিক কার্যক্রম চলছে বিমানের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ দিয়ে। এতে কার্যক্রমে ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানিকারক ও এজেন্টরা।
উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাই প্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমান প্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আর নির্মাণকাজের ধুলার কারণে দূষিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাতাস। অথচ ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমানোয় বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিল রাজশাহী শহর। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন নিয়মিতই রাজশাহীর বায়ুদূষণের কথা উঠে আসছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিল্পপতি। দৃশ্যত তাঁদের দুজনের প্রতিযোগিতার মাঝে পিছিয়ে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা। এমনকি মহানগর বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা ৫ আগস্টের পর নিজেদের সম্ভাব্য দলীয়
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ২০টি স্টেশনের ৮টিতেই কোনো ট্রেন থামে না। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন চালুর ১০ মাস পরও ট্রেন থামার অপেক্ষায় এসব স্টেশন। ট্রেন না থামায় এই রেলপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ থাকায় আধুনিক এসব স্টেশন ভবন
৪ ঘণ্টা আগে