Ajker Patrika

ফরিদপুরে ৪ ঘণ্টা পর তুলে নেওয়া হয় অবরোধ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও এক্সপ্রেসওয়ে প্রায় যানশূন্য রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও এক্সপ্রেসওয়ে প্রায় যানশূন্য রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কের অন্তত পাঁচটি এলাকায় অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের অনুরোধে সব স্থান থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন তাঁরা। তবে বেলা ১টা পর্যন্ত দুটি মহাসড়কসহ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল কম দেখা গেছে। এ ছাড়া কর্মসূচি চলাকালে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী বাসস্ট্যান্ড ও মুনসুরাবাদ এলাকায় অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পুখুরিয়া, মাধবপুর, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করেন তাঁরা। মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শিশুদের হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় সড়কে সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক জেলা যুবলীগ নেতা আসিবুর রহমান ফারহান, কাউসার আকন্দ, দেবাশীষ নয়নসহ অনেককে দেখা যায়। পরে পুলিশের অনুরোধে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সকল স্থান থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

দুপুরে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। সড়কগুলোতে পণ্যবাহী যান চলাচল দেখা গেলেও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল দেখা যায়নি। সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে চোখে পড়ার মতো।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নূরপুর বটতলা এলাকায় এনসিপির উপজেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের তিন নেতা-কর্মীকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক আরিফুর রহমান পথিক তালুকদার। পুলিশে দেওয়া অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘তারা নাশকতার জন্য এসেছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে পুলিশে দিয়েছে তাদের।’

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...