আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আত্মবিশ্বাস এতটা আকাশছোঁয়া থাকবে যে নিজেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর প্রধান সদস্য মনে করবেন। কিন্তু সাবধান, ছাদে উঠে ওড়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভেতরের পজিটিভ এনার্জি দেখে অন্যরা হিংসা করতে পারে। লোকদের সহযোগিতা করতে গিয়ে তাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসবেন না যেন! তবে আর্থিক দিক থেকে দিনটি শুভ, তাই ডিনারে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার অনুমতি গ্রহরা দিয়েছে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ১০ বার বলুন, ‘আমিই সেরা!’—এতে অহংকার নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
বৃষ
মন আজ আধ্যাত্মিকতার দিকে এমনভাবে ঝুঁকবে যে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ভাববেন। কিন্তু মানিব্যাগ বলছে, আগে এই মাসের ইএমআইটা দিন! আজকের দিনটি নিজেকে লক্ষ্যবস্তুতে কেন্দ্রীভূত করার জন্য শ্রেষ্ঠ। খুঁজে বের করুন, আপনার লক্ষ্য আসলে অফিসের লাঞ্চবক্স নাকি সারা বছরের সঞ্চয়! সন্ধ্যায় স্পা বা দামি ধূপকাঠির পেছনে বেশি খরচ করবেন না। কারণ, গ্রহরা আপনার বাজেট নিয়ে কৌতুক করছে। ধ্যান করুন। না পারলে ফোন বন্ধ করে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকুন—সেটাও ধ্যানের মতো কাজ করবে।
মিথুন
কথা বলার আগে দুবার ভাবুন—নইলে আপনার অজান্তেই সেই কথা কোনো সহকর্মীর ইস্তফার কারণ হতে পারে। আজকের দিনটি আত্মবিশ্লেষণের জন্য সেরা। খুঁজে বের করুন, কেন অনলাইনে এত অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনেন! তবে সহকর্মীরা আজ খুবই সাহায্য করবে (কারণ, আপনি অবশেষে তাদের কফির বিলটা দিয়েছেন)। জমানো পুঁজি ব্যবসায় লাগাবেন না, বরং একটি নতুন ডায়েরি কিনুন। কথোপকথনে সংবেদনশীল হন। অর্থাৎ প্রিয়জনের সামনে তার প্রাক্তন প্রেমিকের গল্প করবেন না।
কর্কট
আজ এমন কারও সঙ্গে দেখা হবে যিনি আপনার খুব প্রিয়—হতে পারে সেটা হারিয়ে যাওয়া পুরোনো চকলেট বক্স! জীবনসঙ্গী আজ সহায়কের ভূমিকায় থাকবেন, তাই সাহস করে আজই ঘর গোছানোর কাজটা চাপিয়ে দিন। সন্তানের নামে প্রতিবেশীর অভিযোগ শুনলে মাথা ঠান্ডা রাখুন, প্রতিবেশী হয়তো আপনার সন্তানকে আইনস্টাইন ভেবে ভুল করছে। আপনার দুর্বল মানসিক অবস্থা সন্ধ্যার পর কেটে যাবে, যখন আপনি প্রিয় সিরিয়ালটি দেখবেন। কোনো নারীর কাছ থেকে উপকার নিতে হতে পারে। তিনি আপনার মা অথবা সেলস এক্সিকিউটিভও হতে পারেন।
সিংহ
যতটা আশা করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো ফল পাবেন। নিজেকে ‘সোশ্যাল স্টার’ মনে হবে, সামাজিক কাজে আপনার উন্নতি হবে। কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ এমন দুর্বল লাগবে যেন সারা দিন ম্যারাথন দৌড়েছেন। ব্যয় হওয়ার ফলে সাশ্রয় হবে না। আজ কাউকে টাকা বা কোনো জিনিস দেবেন না—তারা ফেরত দেবে না, গ্যারান্টি! বেতন সামান্য কমতে পারে, তাই কফি খাওয়ার অভ্যাসটা একটু কমান। আজ খুব বেশি আশা করবেন না। বরং সারপ্রাইজ উপভোগ করুন।
কন্যা
আপনার সাহায্য আজ কারও এতটা উপকারে আসবে যে নিজেরই গর্ব হবে। (যেমন আপনি আপনার বন্ধুর ফোনের চার্জারটি খুঁজে দিলেন)। কর্মক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্কতা রাখুন—বস আজ আপনার টেবিলের ধূলিকণা পর্যন্ত গুনতে পারেন। ধৈর্য প্রদর্শন বজায় রাখবেন। মানসিক বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখুন—আজ ফোনটি হঠাৎ করে হ্যাং করলেও রাগ দেখাবেন না। কাছের মানুষের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন। মানসিক বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে, আজ রাতে একটু আগে ঘুমিয়ে পড়ুন।
তুলা
ভদ্র ব্যবহার আজ সবার কাছে প্রশংসিত হবে। এমনভাবে কথা বলুন যেন আপনি কোনো রয়্যাল ফ্যামিলির সদস্য! তবে ছোটখাটো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করুন। কেউ আপনার পার্কিং স্পট নিয়ে নিলে সেটা নিয়ে কুরুক্ষেত্র বাধাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে নম্রতা বৃদ্ধি করুন, তবে ফ্লার্ট করার সময় সাবধান! মৌখিকভাবে কাউকে কোনো কথা দেবেন না, নথিপত্র তৈরি করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মনকে ভালোবাসা, আশা এবং বিশ্বস্ততার মতো ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণে উৎসাহিত করুন—এবং আজ অন্তত একবার আয়নার সামনে হেসে দেখুন।
বৃশ্চিক
আজ কোনো পরিচিত ব্যক্তি আপনার পারিবারিক অশান্তির কারণ হতে পারে। সম্ভবত তিনি আপনার শাশুড়ির কাছে আপনার গোপন ডায়েট প্ল্যান ফাঁস করে দেবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো জোর করতে যাবেন না—প্রেম গণিত নয়, যে জোর করে সমাধান করে দেবেন। বরং একটা ভালো সিনেমা দেখুন। প্রিয়জনদের তাদের পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগ দেবেন—যদিও জানেন যে আপনিই সঠিক। সাহস এবং প্রজ্ঞার সঙ্গে কাজের গতি ত্বরান্বিত করুন। সাহস না থাকলে কমপক্ষে এক গ্লাস পানি খেয়ে শান্ত হন।
ধনু
আজ আপনার রূঢ় আচরণ কর্মের জায়গায় অনেক পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই প্লিজ, সকালে বসের সামনে আপনার ঘুম ভাঙার মেজাজটা নিয়ে যাবেন না। স্ত্রীর সুপরামর্শে সারা দিনে কোনো ভালো কাজ করে উঠতে পারেন। স্ত্রীর কথা শুনুন—বিশ্বাস করুন বা না করুন, আজ ওনার গ্রহ আপনার চেয়ে ভালো কাজ করছে! মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখুন, নয়তো সহকর্মীদের সঙ্গে তর্ক বাঁধতে পারে। নম্রতা ও বিচক্ষণতা বজায় রাখবেন। রূঢ়তা দেখানোর আগে এক সেকেন্ড থামুন।
মকর
কর্মে বেশি সময় অতিবাহিত করার ফলে পারিবারিক কিছু চাহিদা মেটাতে অক্ষম থাকবেন। পরিবার হয়তো আপনাকে বাড়িতে আসা কোনো অতিথি মনে করবে। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে। আলোচনায় গরমিল হলে একটা বিরাট পিৎজা কিনে দুই ভাগ করে দিন, আপাতত শান্তি বজায় থাকবে। পুরোনো মামলার নিষ্পত্তি করার ওপর জোর দিন, যেমন আপনার জমে থাকা লন্ড্রি। জীবনে উজ্জ্বল হওয়ার সুযোগ থাকবে। কিন্তু তার জন্য আপনাকে কম্পিউটার থেকে মুখ তুলে বাইরে তাকাতে হবে।
কুম্ভ
মানুষ চেনার ক্ষমতা আজ তুঙ্গে থাকবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাস্তায় পাওনাদারকে দেখলে আপনি চিনেও চিনতে চাইবেন না! আজ স্ত্রীর সঙ্গে বাইরে কোথাও বেড়াতে যেতে ইচ্ছা করবে। শুধু ‘ইচ্ছা’ করলেই হবে না, টিকিট কাটুন—গ্রহরা বলছে, আজ স্ত্রী খুব খুশি হবেন! নিজেকে সময় দিন। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে পারবেন, তবে সেটা যেন কাজের কথা হয়, দীর্ঘ বক্তৃতা নয়। তেলবীজ দান করুন। মানে তেল দেওয়া খাবার পাখিদের দিন—নিজে খাবেন না!
মীন
আজ গুরুজনদের কথা মানতে ইচ্ছা করবে। মানলে খুবই ভালো ফল পাবেন। (যেমন খালা বা ফুফু যদি বলেন, ‘দই-ভাত খেয়ে যাও’, তাহলে তর্ক না করে খেয়ে নিন)। তবে অকারণে আজ কিছু কিছু কাজ করতে হতে পারে, যেগুলোর কোনো মানে নেই। মনে রাখবেন, গ্রহরা আপনাকে আজ ‘সার্ভিস রোবট’-এর রোল দিয়েছে! আপনার কাছে আসা সব উপদেশ ভালো না-ও হতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে শুনে যান। শারীরিক উন্নতির জন্য কালো ঘোড়ার নাল দিয়ে তৈরি আংটি পরার চেষ্টা করুন—তবে কালো ঘোড়া জোগাড় করাটা আপনার জন্য আজকের চ্যালেঞ্জ!

মেষ
আজ আত্মবিশ্বাস এতটা আকাশছোঁয়া থাকবে যে নিজেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর প্রধান সদস্য মনে করবেন। কিন্তু সাবধান, ছাদে উঠে ওড়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভেতরের পজিটিভ এনার্জি দেখে অন্যরা হিংসা করতে পারে। লোকদের সহযোগিতা করতে গিয়ে তাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসবেন না যেন! তবে আর্থিক দিক থেকে দিনটি শুভ, তাই ডিনারে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার অনুমতি গ্রহরা দিয়েছে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ১০ বার বলুন, ‘আমিই সেরা!’—এতে অহংকার নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
বৃষ
মন আজ আধ্যাত্মিকতার দিকে এমনভাবে ঝুঁকবে যে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ভাববেন। কিন্তু মানিব্যাগ বলছে, আগে এই মাসের ইএমআইটা দিন! আজকের দিনটি নিজেকে লক্ষ্যবস্তুতে কেন্দ্রীভূত করার জন্য শ্রেষ্ঠ। খুঁজে বের করুন, আপনার লক্ষ্য আসলে অফিসের লাঞ্চবক্স নাকি সারা বছরের সঞ্চয়! সন্ধ্যায় স্পা বা দামি ধূপকাঠির পেছনে বেশি খরচ করবেন না। কারণ, গ্রহরা আপনার বাজেট নিয়ে কৌতুক করছে। ধ্যান করুন। না পারলে ফোন বন্ধ করে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকুন—সেটাও ধ্যানের মতো কাজ করবে।
মিথুন
কথা বলার আগে দুবার ভাবুন—নইলে আপনার অজান্তেই সেই কথা কোনো সহকর্মীর ইস্তফার কারণ হতে পারে। আজকের দিনটি আত্মবিশ্লেষণের জন্য সেরা। খুঁজে বের করুন, কেন অনলাইনে এত অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনেন! তবে সহকর্মীরা আজ খুবই সাহায্য করবে (কারণ, আপনি অবশেষে তাদের কফির বিলটা দিয়েছেন)। জমানো পুঁজি ব্যবসায় লাগাবেন না, বরং একটি নতুন ডায়েরি কিনুন। কথোপকথনে সংবেদনশীল হন। অর্থাৎ প্রিয়জনের সামনে তার প্রাক্তন প্রেমিকের গল্প করবেন না।
কর্কট
আজ এমন কারও সঙ্গে দেখা হবে যিনি আপনার খুব প্রিয়—হতে পারে সেটা হারিয়ে যাওয়া পুরোনো চকলেট বক্স! জীবনসঙ্গী আজ সহায়কের ভূমিকায় থাকবেন, তাই সাহস করে আজই ঘর গোছানোর কাজটা চাপিয়ে দিন। সন্তানের নামে প্রতিবেশীর অভিযোগ শুনলে মাথা ঠান্ডা রাখুন, প্রতিবেশী হয়তো আপনার সন্তানকে আইনস্টাইন ভেবে ভুল করছে। আপনার দুর্বল মানসিক অবস্থা সন্ধ্যার পর কেটে যাবে, যখন আপনি প্রিয় সিরিয়ালটি দেখবেন। কোনো নারীর কাছ থেকে উপকার নিতে হতে পারে। তিনি আপনার মা অথবা সেলস এক্সিকিউটিভও হতে পারেন।
সিংহ
যতটা আশা করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো ফল পাবেন। নিজেকে ‘সোশ্যাল স্টার’ মনে হবে, সামাজিক কাজে আপনার উন্নতি হবে। কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ এমন দুর্বল লাগবে যেন সারা দিন ম্যারাথন দৌড়েছেন। ব্যয় হওয়ার ফলে সাশ্রয় হবে না। আজ কাউকে টাকা বা কোনো জিনিস দেবেন না—তারা ফেরত দেবে না, গ্যারান্টি! বেতন সামান্য কমতে পারে, তাই কফি খাওয়ার অভ্যাসটা একটু কমান। আজ খুব বেশি আশা করবেন না। বরং সারপ্রাইজ উপভোগ করুন।
কন্যা
আপনার সাহায্য আজ কারও এতটা উপকারে আসবে যে নিজেরই গর্ব হবে। (যেমন আপনি আপনার বন্ধুর ফোনের চার্জারটি খুঁজে দিলেন)। কর্মক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্কতা রাখুন—বস আজ আপনার টেবিলের ধূলিকণা পর্যন্ত গুনতে পারেন। ধৈর্য প্রদর্শন বজায় রাখবেন। মানসিক বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখুন—আজ ফোনটি হঠাৎ করে হ্যাং করলেও রাগ দেখাবেন না। কাছের মানুষের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন। মানসিক বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে, আজ রাতে একটু আগে ঘুমিয়ে পড়ুন।
তুলা
ভদ্র ব্যবহার আজ সবার কাছে প্রশংসিত হবে। এমনভাবে কথা বলুন যেন আপনি কোনো রয়্যাল ফ্যামিলির সদস্য! তবে ছোটখাটো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করুন। কেউ আপনার পার্কিং স্পট নিয়ে নিলে সেটা নিয়ে কুরুক্ষেত্র বাধাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে নম্রতা বৃদ্ধি করুন, তবে ফ্লার্ট করার সময় সাবধান! মৌখিকভাবে কাউকে কোনো কথা দেবেন না, নথিপত্র তৈরি করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মনকে ভালোবাসা, আশা এবং বিশ্বস্ততার মতো ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণে উৎসাহিত করুন—এবং আজ অন্তত একবার আয়নার সামনে হেসে দেখুন।
বৃশ্চিক
আজ কোনো পরিচিত ব্যক্তি আপনার পারিবারিক অশান্তির কারণ হতে পারে। সম্ভবত তিনি আপনার শাশুড়ির কাছে আপনার গোপন ডায়েট প্ল্যান ফাঁস করে দেবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো জোর করতে যাবেন না—প্রেম গণিত নয়, যে জোর করে সমাধান করে দেবেন। বরং একটা ভালো সিনেমা দেখুন। প্রিয়জনদের তাদের পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগ দেবেন—যদিও জানেন যে আপনিই সঠিক। সাহস এবং প্রজ্ঞার সঙ্গে কাজের গতি ত্বরান্বিত করুন। সাহস না থাকলে কমপক্ষে এক গ্লাস পানি খেয়ে শান্ত হন।
ধনু
আজ আপনার রূঢ় আচরণ কর্মের জায়গায় অনেক পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই প্লিজ, সকালে বসের সামনে আপনার ঘুম ভাঙার মেজাজটা নিয়ে যাবেন না। স্ত্রীর সুপরামর্শে সারা দিনে কোনো ভালো কাজ করে উঠতে পারেন। স্ত্রীর কথা শুনুন—বিশ্বাস করুন বা না করুন, আজ ওনার গ্রহ আপনার চেয়ে ভালো কাজ করছে! মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখুন, নয়তো সহকর্মীদের সঙ্গে তর্ক বাঁধতে পারে। নম্রতা ও বিচক্ষণতা বজায় রাখবেন। রূঢ়তা দেখানোর আগে এক সেকেন্ড থামুন।
মকর
কর্মে বেশি সময় অতিবাহিত করার ফলে পারিবারিক কিছু চাহিদা মেটাতে অক্ষম থাকবেন। পরিবার হয়তো আপনাকে বাড়িতে আসা কোনো অতিথি মনে করবে। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে। আলোচনায় গরমিল হলে একটা বিরাট পিৎজা কিনে দুই ভাগ করে দিন, আপাতত শান্তি বজায় থাকবে। পুরোনো মামলার নিষ্পত্তি করার ওপর জোর দিন, যেমন আপনার জমে থাকা লন্ড্রি। জীবনে উজ্জ্বল হওয়ার সুযোগ থাকবে। কিন্তু তার জন্য আপনাকে কম্পিউটার থেকে মুখ তুলে বাইরে তাকাতে হবে।
কুম্ভ
মানুষ চেনার ক্ষমতা আজ তুঙ্গে থাকবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাস্তায় পাওনাদারকে দেখলে আপনি চিনেও চিনতে চাইবেন না! আজ স্ত্রীর সঙ্গে বাইরে কোথাও বেড়াতে যেতে ইচ্ছা করবে। শুধু ‘ইচ্ছা’ করলেই হবে না, টিকিট কাটুন—গ্রহরা বলছে, আজ স্ত্রী খুব খুশি হবেন! নিজেকে সময় দিন। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে পারবেন, তবে সেটা যেন কাজের কথা হয়, দীর্ঘ বক্তৃতা নয়। তেলবীজ দান করুন। মানে তেল দেওয়া খাবার পাখিদের দিন—নিজে খাবেন না!
মীন
আজ গুরুজনদের কথা মানতে ইচ্ছা করবে। মানলে খুবই ভালো ফল পাবেন। (যেমন খালা বা ফুফু যদি বলেন, ‘দই-ভাত খেয়ে যাও’, তাহলে তর্ক না করে খেয়ে নিন)। তবে অকারণে আজ কিছু কিছু কাজ করতে হতে পারে, যেগুলোর কোনো মানে নেই। মনে রাখবেন, গ্রহরা আপনাকে আজ ‘সার্ভিস রোবট’-এর রোল দিয়েছে! আপনার কাছে আসা সব উপদেশ ভালো না-ও হতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে শুনে যান। শারীরিক উন্নতির জন্য কালো ঘোড়ার নাল দিয়ে তৈরি আংটি পরার চেষ্টা করুন—তবে কালো ঘোড়া জোগাড় করাটা আপনার জন্য আজকের চ্যালেঞ্জ!

৮০ দিনের কম সময়ে বিশ্বভ্রমণ। এমনই এক অদ্ভুত ইচ্ছা নিয়ে ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে বিশ্ব ভ্রমণ করে এক বিশাল আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এক নারী। এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান নামের এই নারী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে তিনি লিখতেন এবং জনপ্রিয় ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাথরুমের অভ্যন্তরীণ সজ্জার কেন্দ্রবিন্দু হলো ভ্যানিটি বা বেসিনের কাউন্টার টপ। এখানে বাথরুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখা থাকে। তাই এই জায়গা সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখা প্রয়োজন। ডিজাইনারদের মতে, ভ্যানিটির সৌন্দর্য এবং ব্যবহারিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায়...
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশ রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন পর্যটনশিল্পকে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে দিয়েছে। তাই অনেক দেশ তাদের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিসা নীতি থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং পর্যটকদের
৪ ঘণ্টা আগে
একটি প্রাচীনতম বটবৃক্ষ মানে কালের সাক্ষী। পুরোনো কোনো স্থাপনা দেখলে যেমন মানুষ নস্টালজিয়ায় ভোগেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন, যদি কোনো শতবর্ষী গাছের ছায়ায় যান।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

৮০ দিনের কম সময়ে বিশ্বভ্রমণ। এমনই এক অদ্ভুত ইচ্ছা নিয়ে ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে বিশ্ব ভ্রমণ করে এক বিশাল আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এক নারী। এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান নামের এই নারী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে তিনি লিখতেন এবং জনপ্রিয় ছিলেন।
মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৮০ দিনের কম সময়কে কেন বেছে নেওয়া হলো। তাহলে জানতে হবে একটি গল্প; ফিলিয়াস ফগ নামের এক ইংরেজ ভদ্রলোকের এক অদ্ভুত গল্প। একটি বাজিতে জিততে মাত্র ৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করার দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় বের হন ফিলিয়াস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাসপারতু নামের এক ব্যক্তি।
তাঁরা লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করেন। ফগ ও পাসপারতু ভারত এবং অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পর ফগ নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে নিউইয়র্ক থেকে জাহাজে যাত্রা করেন ইংল্যান্ডের পথে। লিভারপুলে মিসটার ফিক্স নামের একজন গোয়েন্দা তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও আসল ডাকাত ধরা পড়ায় ফগ মুক্তি পান। তিনি লন্ডনে পৌঁছান নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পরে এবং বাজিতে হেরে যান বলে মনে করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা যায়, তিনি আসলে বাজিটি জিতে গেছেন। আর এই গল্পই ছিল ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ নামের এক উপন্যাসের।
এই উপন্যাসের যেখানে শেষ, সেখান থেকে শুরু হয় নেলি ব্লাইয়ের বাস্তব গল্প। নেলির এই ভ্রমণ ছিল জুল ভার্নের ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত সেই উপন্যাস ঘিরে।
উপন্যাসের ফিলিয়াসের ৮০ দিনের রেকর্ডটি ভাঙার প্রচেষ্টা থেকেই নেলি বিশ্বভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। এই যাত্রা শুরু করার জন্য নেলিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কারণ, সেই যুগে একজন নারীর পক্ষে একা এত বড় ভ্রমণে বের হওয়া ছিল নজিরবিহীন।
নেলি ছিলেন একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তিনি কাজ করতেন ‘নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি পত্রিকায়। তাঁর এই বিশ্বভ্রমণের প্রস্তাব পত্রিকার সম্পাদককে জানানো হলে প্রথমে তাঁকে ‘অসম্ভব’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সম্পাদক। কারণ, তিনি মনে করেছিলেন, একজন নারীর জন্য একজন ‘সুরক্ষক’ দরকার হবে এবং বেশি মালপত্র থাকার কারণে তাঁর গতি কমে যাবে। কিন্তু একসময় এসবের সমাধান করে ফেলেন নেলি। তিনি প্রধানত স্টিমার ও ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন। গল্পের ফিলিয়াসের মতো অসংখ্য স্যুটকেস না নিয়ে, নেলি শুধু হাতে বহন করার মতো একটি ছোট ব্যাগে নিয়ে নেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। তাঁর বিশ্বভ্রমণের যাত্রা শুরু হয় ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, নিউ জার্সির হোবোকেন থেকে।
নেলি ব্লাই পূর্ব দিকে ভ্রমণ শুরু করেন। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, সুয়েজ খাল, সিলন (শ্রীলঙ্কা), সিঙ্গাপুর, হংকং এবং জাপানে বিরতি নেন। এরপর প্রশান্ত মহাসাগর পার হয়ে সানফ্রান্সিসকোতে পৌঁছান। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন জুল ভার্নের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন নেলি।
রেল ও স্টিমারের ওপর তাঁকে নির্ভর করতে হয়েছিল। সে কারণে তাঁকে মাঝেমধ্যে সংযোগকারী জাহাজ বা ট্রেন ধরার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে তাঁর অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এশিয়ায় তিনি কিছুটা পিছিয়ে পড়েন।
নেলি ব্লাই স্টিমার, ট্রেন, টাগবোট ও রিকশা ব্যবহার করেছিলেন তাঁর ভ্রমণে। তিনি ১৮৯০ সালের ২৫ জানুয়ারি নিউ জার্সিতে ফিরে যান। আর এই কাল্পনিক রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একটি বাস্তব বিশ্ব পরিভ্রমণের জন্য একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেন।
নেলির জন্ম ১৮৬৪ সালের ৫ মে। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

৮০ দিনের কম সময়ে বিশ্বভ্রমণ। এমনই এক অদ্ভুত ইচ্ছা নিয়ে ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে বিশ্ব ভ্রমণ করে এক বিশাল আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এক নারী। এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান নামের এই নারী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে তিনি লিখতেন এবং জনপ্রিয় ছিলেন।
মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৮০ দিনের কম সময়কে কেন বেছে নেওয়া হলো। তাহলে জানতে হবে একটি গল্প; ফিলিয়াস ফগ নামের এক ইংরেজ ভদ্রলোকের এক অদ্ভুত গল্প। একটি বাজিতে জিততে মাত্র ৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করার দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় বের হন ফিলিয়াস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাসপারতু নামের এক ব্যক্তি।
তাঁরা লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করেন। ফগ ও পাসপারতু ভারত এবং অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পর ফগ নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে নিউইয়র্ক থেকে জাহাজে যাত্রা করেন ইংল্যান্ডের পথে। লিভারপুলে মিসটার ফিক্স নামের একজন গোয়েন্দা তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও আসল ডাকাত ধরা পড়ায় ফগ মুক্তি পান। তিনি লন্ডনে পৌঁছান নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পরে এবং বাজিতে হেরে যান বলে মনে করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা যায়, তিনি আসলে বাজিটি জিতে গেছেন। আর এই গল্পই ছিল ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ নামের এক উপন্যাসের।
এই উপন্যাসের যেখানে শেষ, সেখান থেকে শুরু হয় নেলি ব্লাইয়ের বাস্তব গল্প। নেলির এই ভ্রমণ ছিল জুল ভার্নের ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত সেই উপন্যাস ঘিরে।
উপন্যাসের ফিলিয়াসের ৮০ দিনের রেকর্ডটি ভাঙার প্রচেষ্টা থেকেই নেলি বিশ্বভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। এই যাত্রা শুরু করার জন্য নেলিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কারণ, সেই যুগে একজন নারীর পক্ষে একা এত বড় ভ্রমণে বের হওয়া ছিল নজিরবিহীন।
নেলি ছিলেন একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তিনি কাজ করতেন ‘নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি পত্রিকায়। তাঁর এই বিশ্বভ্রমণের প্রস্তাব পত্রিকার সম্পাদককে জানানো হলে প্রথমে তাঁকে ‘অসম্ভব’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সম্পাদক। কারণ, তিনি মনে করেছিলেন, একজন নারীর জন্য একজন ‘সুরক্ষক’ দরকার হবে এবং বেশি মালপত্র থাকার কারণে তাঁর গতি কমে যাবে। কিন্তু একসময় এসবের সমাধান করে ফেলেন নেলি। তিনি প্রধানত স্টিমার ও ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন। গল্পের ফিলিয়াসের মতো অসংখ্য স্যুটকেস না নিয়ে, নেলি শুধু হাতে বহন করার মতো একটি ছোট ব্যাগে নিয়ে নেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। তাঁর বিশ্বভ্রমণের যাত্রা শুরু হয় ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, নিউ জার্সির হোবোকেন থেকে।
নেলি ব্লাই পূর্ব দিকে ভ্রমণ শুরু করেন। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, সুয়েজ খাল, সিলন (শ্রীলঙ্কা), সিঙ্গাপুর, হংকং এবং জাপানে বিরতি নেন। এরপর প্রশান্ত মহাসাগর পার হয়ে সানফ্রান্সিসকোতে পৌঁছান। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন জুল ভার্নের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন নেলি।
রেল ও স্টিমারের ওপর তাঁকে নির্ভর করতে হয়েছিল। সে কারণে তাঁকে মাঝেমধ্যে সংযোগকারী জাহাজ বা ট্রেন ধরার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে তাঁর অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এশিয়ায় তিনি কিছুটা পিছিয়ে পড়েন।
নেলি ব্লাই স্টিমার, ট্রেন, টাগবোট ও রিকশা ব্যবহার করেছিলেন তাঁর ভ্রমণে। তিনি ১৮৯০ সালের ২৫ জানুয়ারি নিউ জার্সিতে ফিরে যান। আর এই কাল্পনিক রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একটি বাস্তব বিশ্ব পরিভ্রমণের জন্য একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেন।
নেলির জন্ম ১৮৬৪ সালের ৫ মে। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

আজ আত্মবিশ্বাস এতটা আকাশছোঁয়া থাকবে যে নিজেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর প্রধান সদস্য মনে করবেন। কিন্তু সাবধান, ছাদে উঠে ওড়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভেতরের পজিটিভ এনার্জি দেখে অন্যরা হিংসা করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাথরুমের অভ্যন্তরীণ সজ্জার কেন্দ্রবিন্দু হলো ভ্যানিটি বা বেসিনের কাউন্টার টপ। এখানে বাথরুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখা থাকে। তাই এই জায়গা সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখা প্রয়োজন। ডিজাইনারদের মতে, ভ্যানিটির সৌন্দর্য এবং ব্যবহারিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায়...
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশ রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন পর্যটনশিল্পকে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে দিয়েছে। তাই অনেক দেশ তাদের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিসা নীতি থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং পর্যটকদের
৪ ঘণ্টা আগে
একটি প্রাচীনতম বটবৃক্ষ মানে কালের সাক্ষী। পুরোনো কোনো স্থাপনা দেখলে যেমন মানুষ নস্টালজিয়ায় ভোগেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন, যদি কোনো শতবর্ষী গাছের ছায়ায় যান।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বাথরুমের অভ্যন্তরীণ সজ্জার কেন্দ্রবিন্দু হলো ভ্যানিটি বা বেসিনের কাউন্টার টপ। এখানে বাথরুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখা থাকে। তাই এই জায়গা সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখা প্রয়োজন। ডিজাইনারদের মতে, ভ্যানিটির সৌন্দর্য এবং ব্যবহারিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায় বা কাউন্টারের ওপরে রাখা একেবারেই উচিত নয়।
জেনে নিন, বাথরুম পরিপাটি রাখার কৌশলগুলো—
তৈলাক্ত প্রসাধনী
অনেকে ঘরে তৈরি না হয়ে স্কিন কেয়ারের কাজটি বাথরুমেই করে থাকেন। তাই ত্বকের যত্ন ও মেকআপ সামগ্রী কেবিনেটে রাখা সুবিধাজনক মনে হতে পারে। তবে আর্টারবেরি কুক আর্কিটেকচারের প্রিন্সিপাল ব্যারেট কুকের মতে, ছিদ্রযুক্ত কেবিনেটে তৈলাক্ত সৌন্দর্য পণ্য রাখা উচিত নয়। কারণ, তৈলাক্ত পণ্যগুলো পৃষ্ঠতলে স্থায়ী দাগ ফেলতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে কেবিনেটের ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনাররা কেবিনেট কাউন্টারে ইচ্ছাকৃতভাবে কম জায়গা রাখেন, যাতে জিনিসপত্র স্তূপ না হয়। এর পরিবর্তে পর্যাপ্ত স্টোরেজের ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজনে প্রসাধনী সংরক্ষণের জন্য আলাদা স্টোরেজ বা ট্রে ব্যবহার করুন, যাতে সরাসরি পৃষ্ঠতল স্পর্শ না করে।
পানি নিষ্কাশনবিহীন সাবানদানি
বার সাবান যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বাথরুমে সাবানদানি থাকা স্বাভাবিক। তবে সাবানদানিতে যদি পানি নিষ্কাশনের ছিদ্র না থাকে, তবে অবিলম্বে তা পরিবর্তন করা উচিত। ছিদ্রবিহীন সাবানদানিতে সাবান মিশ্রিত পানি ও অবশিষ্টাংশ জমে যায়, যা জায়গাটিকে অপরিষ্কার, দুর্গন্ধযুক্ত ও দৃষ্টিকটু করে তোলে। এমন সাবানদানি ব্যবহার করুন, যাতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। অথবা সুন্দর প্যাকেজিং বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বোতলে ঢেলে তরল সাবান ব্যবহার করুন। এতে জায়গাটি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখাবে।

বিউটি টুলস ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস
সকালে তাড়াহুড়োর সময় প্রস্তুত হওয়ার জন্য ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম কেবিনেটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়। এটি ঠিক নয়। স্টুডিও থমাস জেমসের প্রতিষ্ঠাতা ফিলিপ থমাস ভ্যান্ডারফোর্ডের মতে, একটি কেবিনেটকে সুন্দর ও সুসজ্জিত রাখা উচিত। ইলেকট্রিক টুথব্রাশ, শেভার, হেয়ার ড্রায়ার ইত্যাদি তারযুক্ত জিনিস কেবিনেটকে বিশৃঙ্খল করে তোলে এবং নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার জর্জিয়া জিকাস পরামর্শ দেন, তোয়ালে, হেয়ার ড্রায়ার ও স্টাইলিং টুলস কেবিনেটের ভেতরে বা ড্রয়ারের আড়ালে রাখার জন্য বিল্ট-ইন কাস্টম কেবিনেট ডিজাইন করতে হবে। ড্রয়ার বা কেবিনেটের ভেতরে লুকানো বৈদ্যুতিক আউটলেট থাকলে বাইরে থেকে তার দেখা যায় না।
টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট
বাথরুমে টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট রাখা অপরিহার্য হলেও সেগুলো বিশৃঙ্খলভাবে কাউন্টারের ওপর ফেলে রাখবেন না। তাতে সেগুলো অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকরও হতে পারে। টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট এলোমেলোভাবে পড়ে থাকলে কাউন্টার টপ অপরিষ্কার দেখায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আন্দ্রেয়া সিঙ্কিন পরামর্শ দেন, এগুলো ড্রয়ার বা মেডিসিন কেবিনেটে ঢুকিয়ে রাখুন। যদি ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা হয়, তবে দেয়ালের ভেতরে থাকা মেডিসিন কেবিনেটের ভেতরে একটি আউটলেট তৈরির ব্যবস্থা করুন। তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য, সুন্দর ডিজাইনের টুথব্রাশ হোল্ডার ব্যবহার করুন।
ভিটামিন এবং ওষুধ
নিরাপত্তার কারণে কিছু জিনিস অবশ্যই কেবিনেটের খোলা জায়গা থেকে দূরে রাখতে হবে। ভিটামিন এবং ওষুধ অবশ্যই চোখের আড়াল, শিশুদের নাগালের বাইরে এবং একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ জায়গায় রাখা উচিত। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ডিজাইন কোম্পানি চ্যান্ডলার ফার্মসের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাড হোগান বলেন, ‘শিশুরা সহজে ধরতে পারে এমন যেকোনো ব্যক্তিগত ওষুধ বা খাওয়ার যোগ্য পণ্য মেডিসিন কেবিনেটের ওপরের তাকে সংরক্ষণ করা উচিত। প্রতিটি বাথরুমে একটি মেডিসিন কেবিনেট থাকা দরকার। এখনকার মেডিসিন কেবিনেটগুলো আয়নার পেছনে স্টোরেজ থাকে।’
পারফিউম ও আফটারশেভ
তৈলাক্ত সৌন্দর্যপণ্যের মতো পারফিউম ও আফটার শেভও কেবিনেট থেকে দূরে রাখা ভালো। টিসিনোর ডিজাইন ম্যানেজার রিচার্ড ইটন ব্যাখ্যা করেন, অনেক সুগন্ধির অ্যালকোহল ও এসেনশিয়াল অয়েলের উপাদান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবিনেটের পৃষ্ঠতল বিবর্ণ বা নষ্ট করে দিতে পারে। এগুলো মেডিসিন কেবিনেটে বা ড্রেসিংরুমে রাখুন। যদি কেবিনেটে রাখতেই হয়, তবে তা একটি ট্রে বা তাকে রাখুন, যাতে সেগুলো মূল পৃষ্ঠতল থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকে। এটি ভ্যানিটিকে পরিষ্কার ও শান্ত ও স্পার মতো অনুভূতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
সূত্র: হোমস অ্যান্ড গার্ডেনস

বাথরুমের অভ্যন্তরীণ সজ্জার কেন্দ্রবিন্দু হলো ভ্যানিটি বা বেসিনের কাউন্টার টপ। এখানে বাথরুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখা থাকে। তাই এই জায়গা সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখা প্রয়োজন। ডিজাইনারদের মতে, ভ্যানিটির সৌন্দর্য এবং ব্যবহারিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায় বা কাউন্টারের ওপরে রাখা একেবারেই উচিত নয়।
জেনে নিন, বাথরুম পরিপাটি রাখার কৌশলগুলো—
তৈলাক্ত প্রসাধনী
অনেকে ঘরে তৈরি না হয়ে স্কিন কেয়ারের কাজটি বাথরুমেই করে থাকেন। তাই ত্বকের যত্ন ও মেকআপ সামগ্রী কেবিনেটে রাখা সুবিধাজনক মনে হতে পারে। তবে আর্টারবেরি কুক আর্কিটেকচারের প্রিন্সিপাল ব্যারেট কুকের মতে, ছিদ্রযুক্ত কেবিনেটে তৈলাক্ত সৌন্দর্য পণ্য রাখা উচিত নয়। কারণ, তৈলাক্ত পণ্যগুলো পৃষ্ঠতলে স্থায়ী দাগ ফেলতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে কেবিনেটের ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনাররা কেবিনেট কাউন্টারে ইচ্ছাকৃতভাবে কম জায়গা রাখেন, যাতে জিনিসপত্র স্তূপ না হয়। এর পরিবর্তে পর্যাপ্ত স্টোরেজের ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজনে প্রসাধনী সংরক্ষণের জন্য আলাদা স্টোরেজ বা ট্রে ব্যবহার করুন, যাতে সরাসরি পৃষ্ঠতল স্পর্শ না করে।
পানি নিষ্কাশনবিহীন সাবানদানি
বার সাবান যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বাথরুমে সাবানদানি থাকা স্বাভাবিক। তবে সাবানদানিতে যদি পানি নিষ্কাশনের ছিদ্র না থাকে, তবে অবিলম্বে তা পরিবর্তন করা উচিত। ছিদ্রবিহীন সাবানদানিতে সাবান মিশ্রিত পানি ও অবশিষ্টাংশ জমে যায়, যা জায়গাটিকে অপরিষ্কার, দুর্গন্ধযুক্ত ও দৃষ্টিকটু করে তোলে। এমন সাবানদানি ব্যবহার করুন, যাতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। অথবা সুন্দর প্যাকেজিং বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বোতলে ঢেলে তরল সাবান ব্যবহার করুন। এতে জায়গাটি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখাবে।

বিউটি টুলস ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস
সকালে তাড়াহুড়োর সময় প্রস্তুত হওয়ার জন্য ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম কেবিনেটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়। এটি ঠিক নয়। স্টুডিও থমাস জেমসের প্রতিষ্ঠাতা ফিলিপ থমাস ভ্যান্ডারফোর্ডের মতে, একটি কেবিনেটকে সুন্দর ও সুসজ্জিত রাখা উচিত। ইলেকট্রিক টুথব্রাশ, শেভার, হেয়ার ড্রায়ার ইত্যাদি তারযুক্ত জিনিস কেবিনেটকে বিশৃঙ্খল করে তোলে এবং নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার জর্জিয়া জিকাস পরামর্শ দেন, তোয়ালে, হেয়ার ড্রায়ার ও স্টাইলিং টুলস কেবিনেটের ভেতরে বা ড্রয়ারের আড়ালে রাখার জন্য বিল্ট-ইন কাস্টম কেবিনেট ডিজাইন করতে হবে। ড্রয়ার বা কেবিনেটের ভেতরে লুকানো বৈদ্যুতিক আউটলেট থাকলে বাইরে থেকে তার দেখা যায় না।
টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট
বাথরুমে টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট রাখা অপরিহার্য হলেও সেগুলো বিশৃঙ্খলভাবে কাউন্টারের ওপর ফেলে রাখবেন না। তাতে সেগুলো অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকরও হতে পারে। টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট এলোমেলোভাবে পড়ে থাকলে কাউন্টার টপ অপরিষ্কার দেখায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আন্দ্রেয়া সিঙ্কিন পরামর্শ দেন, এগুলো ড্রয়ার বা মেডিসিন কেবিনেটে ঢুকিয়ে রাখুন। যদি ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা হয়, তবে দেয়ালের ভেতরে থাকা মেডিসিন কেবিনেটের ভেতরে একটি আউটলেট তৈরির ব্যবস্থা করুন। তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য, সুন্দর ডিজাইনের টুথব্রাশ হোল্ডার ব্যবহার করুন।
ভিটামিন এবং ওষুধ
নিরাপত্তার কারণে কিছু জিনিস অবশ্যই কেবিনেটের খোলা জায়গা থেকে দূরে রাখতে হবে। ভিটামিন এবং ওষুধ অবশ্যই চোখের আড়াল, শিশুদের নাগালের বাইরে এবং একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ জায়গায় রাখা উচিত। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ডিজাইন কোম্পানি চ্যান্ডলার ফার্মসের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাড হোগান বলেন, ‘শিশুরা সহজে ধরতে পারে এমন যেকোনো ব্যক্তিগত ওষুধ বা খাওয়ার যোগ্য পণ্য মেডিসিন কেবিনেটের ওপরের তাকে সংরক্ষণ করা উচিত। প্রতিটি বাথরুমে একটি মেডিসিন কেবিনেট থাকা দরকার। এখনকার মেডিসিন কেবিনেটগুলো আয়নার পেছনে স্টোরেজ থাকে।’
পারফিউম ও আফটারশেভ
তৈলাক্ত সৌন্দর্যপণ্যের মতো পারফিউম ও আফটার শেভও কেবিনেট থেকে দূরে রাখা ভালো। টিসিনোর ডিজাইন ম্যানেজার রিচার্ড ইটন ব্যাখ্যা করেন, অনেক সুগন্ধির অ্যালকোহল ও এসেনশিয়াল অয়েলের উপাদান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবিনেটের পৃষ্ঠতল বিবর্ণ বা নষ্ট করে দিতে পারে। এগুলো মেডিসিন কেবিনেটে বা ড্রেসিংরুমে রাখুন। যদি কেবিনেটে রাখতেই হয়, তবে তা একটি ট্রে বা তাকে রাখুন, যাতে সেগুলো মূল পৃষ্ঠতল থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকে। এটি ভ্যানিটিকে পরিষ্কার ও শান্ত ও স্পার মতো অনুভূতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
সূত্র: হোমস অ্যান্ড গার্ডেনস

আজ আত্মবিশ্বাস এতটা আকাশছোঁয়া থাকবে যে নিজেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর প্রধান সদস্য মনে করবেন। কিন্তু সাবধান, ছাদে উঠে ওড়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভেতরের পজিটিভ এনার্জি দেখে অন্যরা হিংসা করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
৮০ দিনের কম সময়ে বিশ্বভ্রমণ। এমনই এক অদ্ভুত ইচ্ছা নিয়ে ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে বিশ্ব ভ্রমণ করে এক বিশাল আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এক নারী। এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান নামের এই নারী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে তিনি লিখতেন এবং জনপ্রিয় ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশ রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন পর্যটনশিল্পকে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে দিয়েছে। তাই অনেক দেশ তাদের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিসা নীতি থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং পর্যটকদের
৪ ঘণ্টা আগে
একটি প্রাচীনতম বটবৃক্ষ মানে কালের সাক্ষী। পুরোনো কোনো স্থাপনা দেখলে যেমন মানুষ নস্টালজিয়ায় ভোগেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন, যদি কোনো শতবর্ষী গাছের ছায়ায় যান।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিশ্বের অনেক দেশ রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন পর্যটনশিল্পকে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে দিয়েছে। তাই অনেক দেশ তাদের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিসা নীতি থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার; বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম এ বছর নিজেদের পর্যটনশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও লাওস ও কম্বোডিয়া তাদের পর্যটনশিল্প এগিয়ে নিয়েছে অনেক দূর। তবে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও পিছিয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড।
মালয়েশিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনের নেতৃত্বে
চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছে মালয়েশিয়া। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ভ্রমণ করেছে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। মালয়েশিয়ার এই উত্থানের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, দেশটি ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে।
চীন, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের পর্যটকদের জন্য দেশটি ভিসা ফ্রি বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল ব্যবস্থা চালু করেছে। সে কারণে বিদেশিদের ভ্রমণ অনেক সহজ হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সরকার পর্যটন অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক ট্রানজিট হাব হিসেবে গড়ে তোলা, অভ্যন্তরীণ রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন—সবকিছুই এই বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া এখন ভ্রমণ ও খাদ্য পর্যটনের দিকেও জোর দিচ্ছে।
ভিয়েতনাম: দ্রুত উত্থান
মালয়েশিয়া সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও পর্যটনের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম এখন দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। এ বছর দেশটিতে বিদেশি পর্যটক বেড়েছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। হ্যানয়, হো চি মিন সিটি, হা লং বে বা ফং নিয়ার গুহা, সব মিলিয়ে ভিয়েতনাম এখন প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের অসাধারণ মিশেল। দেশটির সরকার নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালু করেছে; বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া
ও জাপানের সঙ্গে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তারা ছোট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ইকো ট্যুরিজম বাড়াচ্ছেন, যা তরুণ পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পর্যটনশিল্প দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে ইন্দোনেশিয়া
মূলত করোনার পরই অনেক অঞ্চলের মতো পর্যটন খাতের অবস্থা খারাপের দিকে যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে। এরপর সবাই এই শিল্পকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে। এই তালিকায় এগিয়ে আছে ইন্দোনেশিয়া। এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুনে দেশটিতে প্রায় ৭০ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিল। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বালি দ্বীপ ভ্রমণ করে ৪০ লাখের বেশি পর্যটক। দেশটির জনপ্রিয় সৈকত, প্রাচীন মন্দির, সংস্কৃতি ও অ্যাডভেঞ্চার কেন্দ্রগুলো আন্তর্জাতিক পর্যটকদের বেশ টানে। এই বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে উন্নত বিমান সংযোগ, রিসোর্ট ও অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং সরকারি প্রচারণা।
পিছিয়েছে থাইল্যান্ড
এ বছরের প্রথম ৯ মাসে থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৪ লাখ ১০ হাজার; যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম। একই সঙ্গে, জানুয়ারি থেকে জুনে দেশটিতে প্রায় ১৮ লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করে। এই পিছিয়ে পড়ার কারণ সীমান্ত ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ। এতে বিশেষ করে চীনা পর্যটকদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে দেশটিতে। থাইল্যান্ড সরকার যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের স্থানীয় উৎসব সঙক্রান উপলক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যটন ফেরাতে বিশেষ প্রচারণা চালিয়েছে থাইল্যান্ড।
অন্য কোন দেশগুলো পিছিয়ে
এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও লাওস এখনো পিছিয়ে। কম্বোডিয়ার আঙ্কর ওয়াটের জনপ্রিয়তা থাকলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল অবকাঠামো পর্যটক টানতে বাধা সৃষ্টি করছে। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগে পর্যটন প্রায় স্থবির। লাওস কিছুটা উন্নতি করলেও বড় আকারে আন্তর্জাতিক পর্যটন আকর্ষণের মতো প্রচারণা এখনো শুরু হয়নি।
এ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনে নতুন ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে। মালয়েশিয়া এখন এই অঞ্চলের শীর্ষে রয়েছে। ভিয়েতনাম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, থাইল্যান্ড টিকে থাকতে নতুন কৌশল নিচ্ছে। অন্যান্য দেশও নতুন করে ভাবছে নিজেদের পর্যটনশিল্প নিয়ে। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রমণের জন্য এশিয়া মহাদেশের সম্ভাবনাময় অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
সূত্র: আসিয়ান ট্যুরিজম স্ট্যাটিস্টিক রিপোর্ট ২০২৫ এবং গালফ নিউজ

বিশ্বের অনেক দেশ রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন পর্যটনশিল্পকে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে দিয়েছে। তাই অনেক দেশ তাদের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিসা নীতি থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার; বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম এ বছর নিজেদের পর্যটনশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও লাওস ও কম্বোডিয়া তাদের পর্যটনশিল্প এগিয়ে নিয়েছে অনেক দূর। তবে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও পিছিয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড।
মালয়েশিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনের নেতৃত্বে
চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছে মালয়েশিয়া। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ভ্রমণ করেছে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। মালয়েশিয়ার এই উত্থানের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, দেশটি ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে।
চীন, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের পর্যটকদের জন্য দেশটি ভিসা ফ্রি বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল ব্যবস্থা চালু করেছে। সে কারণে বিদেশিদের ভ্রমণ অনেক সহজ হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সরকার পর্যটন অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক ট্রানজিট হাব হিসেবে গড়ে তোলা, অভ্যন্তরীণ রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন—সবকিছুই এই বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া এখন ভ্রমণ ও খাদ্য পর্যটনের দিকেও জোর দিচ্ছে।
ভিয়েতনাম: দ্রুত উত্থান
মালয়েশিয়া সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও পর্যটনের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম এখন দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। এ বছর দেশটিতে বিদেশি পর্যটক বেড়েছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। হ্যানয়, হো চি মিন সিটি, হা লং বে বা ফং নিয়ার গুহা, সব মিলিয়ে ভিয়েতনাম এখন প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের অসাধারণ মিশেল। দেশটির সরকার নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালু করেছে; বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া
ও জাপানের সঙ্গে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তারা ছোট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ইকো ট্যুরিজম বাড়াচ্ছেন, যা তরুণ পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পর্যটনশিল্প দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে ইন্দোনেশিয়া
মূলত করোনার পরই অনেক অঞ্চলের মতো পর্যটন খাতের অবস্থা খারাপের দিকে যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে। এরপর সবাই এই শিল্পকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে। এই তালিকায় এগিয়ে আছে ইন্দোনেশিয়া। এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুনে দেশটিতে প্রায় ৭০ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিল। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বালি দ্বীপ ভ্রমণ করে ৪০ লাখের বেশি পর্যটক। দেশটির জনপ্রিয় সৈকত, প্রাচীন মন্দির, সংস্কৃতি ও অ্যাডভেঞ্চার কেন্দ্রগুলো আন্তর্জাতিক পর্যটকদের বেশ টানে। এই বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে উন্নত বিমান সংযোগ, রিসোর্ট ও অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং সরকারি প্রচারণা।
পিছিয়েছে থাইল্যান্ড
এ বছরের প্রথম ৯ মাসে থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৪ লাখ ১০ হাজার; যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম। একই সঙ্গে, জানুয়ারি থেকে জুনে দেশটিতে প্রায় ১৮ লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করে। এই পিছিয়ে পড়ার কারণ সীমান্ত ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ। এতে বিশেষ করে চীনা পর্যটকদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে দেশটিতে। থাইল্যান্ড সরকার যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের স্থানীয় উৎসব সঙক্রান উপলক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যটন ফেরাতে বিশেষ প্রচারণা চালিয়েছে থাইল্যান্ড।
অন্য কোন দেশগুলো পিছিয়ে
এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও লাওস এখনো পিছিয়ে। কম্বোডিয়ার আঙ্কর ওয়াটের জনপ্রিয়তা থাকলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল অবকাঠামো পর্যটক টানতে বাধা সৃষ্টি করছে। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগে পর্যটন প্রায় স্থবির। লাওস কিছুটা উন্নতি করলেও বড় আকারে আন্তর্জাতিক পর্যটন আকর্ষণের মতো প্রচারণা এখনো শুরু হয়নি।
এ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনে নতুন ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে। মালয়েশিয়া এখন এই অঞ্চলের শীর্ষে রয়েছে। ভিয়েতনাম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, থাইল্যান্ড টিকে থাকতে নতুন কৌশল নিচ্ছে। অন্যান্য দেশও নতুন করে ভাবছে নিজেদের পর্যটনশিল্প নিয়ে। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রমণের জন্য এশিয়া মহাদেশের সম্ভাবনাময় অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
সূত্র: আসিয়ান ট্যুরিজম স্ট্যাটিস্টিক রিপোর্ট ২০২৫ এবং গালফ নিউজ

আজ আত্মবিশ্বাস এতটা আকাশছোঁয়া থাকবে যে নিজেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর প্রধান সদস্য মনে করবেন। কিন্তু সাবধান, ছাদে উঠে ওড়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভেতরের পজিটিভ এনার্জি দেখে অন্যরা হিংসা করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
৮০ দিনের কম সময়ে বিশ্বভ্রমণ। এমনই এক অদ্ভুত ইচ্ছা নিয়ে ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে বিশ্ব ভ্রমণ করে এক বিশাল আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এক নারী। এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান নামের এই নারী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে তিনি লিখতেন এবং জনপ্রিয় ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাথরুমের অভ্যন্তরীণ সজ্জার কেন্দ্রবিন্দু হলো ভ্যানিটি বা বেসিনের কাউন্টার টপ। এখানে বাথরুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখা থাকে। তাই এই জায়গা সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখা প্রয়োজন। ডিজাইনারদের মতে, ভ্যানিটির সৌন্দর্য এবং ব্যবহারিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায়...
৩ ঘণ্টা আগে
একটি প্রাচীনতম বটবৃক্ষ মানে কালের সাক্ষী। পুরোনো কোনো স্থাপনা দেখলে যেমন মানুষ নস্টালজিয়ায় ভোগেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন, যদি কোনো শতবর্ষী গাছের ছায়ায় যান।
৫ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

একটি প্রাচীনতম বটবৃক্ষ মানে কালের সাক্ষী। পুরোনো কোনো স্থাপনা দেখলে যেমন মানুষ নস্টালজিয়ায় ভোগেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন, যদি কোনো শতবর্ষী গাছের ছায়ায় যান।
স্থান সাইট্টা গ্রাম, ধামরাই, ঢাকা। ব্যক্তিগত গাড়িতে সবাই যে যার মতো করে ছুটছি। শুক্রবার। তারপরেও যানজটের মহামারি ছাড়িয়ে সকাল ৯টার বদলে বেলা প্রায় ১১টায় পৌঁছাই সাভার বাজারে। তারপর নবীনগর। এরপর একটানে ঢুলিভিটা হয়ে ধানতারা। মাঝখানে নামাজের বিরতি। ধানতারা থেকে বাঁয়ে মোড় নিয়ে গাড়ি ছুটল সাইট্টার পথে।
এ এক প্রশান্তির পথ। সেই চিরচেনা সুনসান নিরিবিলি গাঁয়ের পথ। সবুজ প্রান্তর, গাছের ছায়া, পাখির কলতান। দূর থেকে গাড়ির জানালা দিয়ে যখন বটগাছ চোখে পড়ে, তখন কিছুটা নিরাশ হয়ে পড়ি। কেউ একজন মন্তব্যই করে ফেলল, এ তো দেখছি গাবগাছের পাতার মতো!
পিচঢালা পথ ছেড়ে গাড়ি ঢুকে পড়ে মেঠো পথে। থামে গিয়ে একেবারে বটবৃক্ষের নিচে। আনন্দে মন নেচে ওঠে। একি আসলেই বটবৃক্ষ, নাকি ভিন্ন কিছু! নানান জায়গায় ঘুরতে গিয়ে জীবনে অনেক বটগাছের ছায়ায় বসার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ রকম তো কোনো বটগাছ চোখে পড়েনি! আশ্চর্য সুন্দর সাইট্টা বটগাছের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজেকে বেশ সুখী মনে হলো।
গাছের ওপর থেকে বটের ঝুরি ঝুলে মাটির সঙ্গে মিশেছে। গাছের আদ্যোপান্ত জানতে এবার স্থানীয়দের খোঁজে নামি। দু-একজনের সঙ্গে ভাব জমাই। কিন্তু তথ্যসূত্র নির্ভরযোগ্য মনে হয় না। এদিকে পেটেও টান পড়েছে। গাড়িতে হাঁড়ি-পাতিল ছিল। করিতকর্মা ফারুক বাইকে চড়ে স্থানীয় বাজার থেকে চাল-ডাল-ডিম কিনে আনে। গ্রাম্য চা-দোকানি সন্তোষের সহযোগিতায় শুরু হয় রান্না। সেসব ফেলে আমরা বের হয়ে পড়ি গ্রাম দেখতে।
বিঘার পর বিঘা জমিতে লেবুর বাগান। থোকায় থোকায় ধরে আছে নানান জাতের লেবু। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হাঁটুজলের ছোট নদী। আর সেই নদীতে জেলে ধরছে মাছ। গাছের ডালে ডালে নানান রঙের পাখি। জনমানবের কোলাহল নেই। পাখিরা নিশ্চিন্ত মনে গেয়ে যায় গান। যেন সাইট্টা গ্রামটি ওদের জন্য অভয়াশ্রম।
ভর সন্ধ্যায় রান্না শেষ। মাগরিব নামাজের পর জোটে ওঠা খিচুড়ি আর ডিম ভুনা। খেতে খেতেই পরিচয় হয় জনি দাস নামের এক তরুণের সঙ্গে।
তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেল বেশ কিছু তথ্য। সাইট্টা গ্রামটি ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ষাটটি পরিবার নিয়ে প্রথম
এই গ্রামে বসতি শুরু। সেই থেকে গ্রামের নাম সাইট্টা হয়েছে। গ্রামে মানুষের সংখ্যা প্রায় চার শ। হিন্দু সম্প্রদায়-অধ্যুষিত এই গ্রামের শিক্ষার হার প্রায় ৯৫ শতাংশ। পেশায় অধিকাংশই সরকারি ও বেসরকারি চাকুরে। গ্রামবাসী বন্ধুবৎসল।
জনি বটগাছটি সম্পর্কে জানালেন, এটির বয়স আনুমানিক পাঁচ শ বছর। যদিও সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারে না এর বয়স। তবে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, ‘কম করে চার শ বছর তো হবেই’! বটগাছটি প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। একে ঘিরে লোকমুখে চালু আছে অনেক অদ্ভুতুড়ে গল্প। ফলে এর ডালপালা-ঝুরি কোনো দিন ছাঁটা হয়নি। তাই
এর আকার হয়েছে আক্ষরিক অর্থে জায়ান্ট, মহিরুহ। গাছটির পাশেই একটি নাটমন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা চলে। নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে ভদ্রলোক বিদায় নিলেন। নীরব আর নিস্তব্ধ গ্রাম্য পরিবেশে শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব, বারবিকিউ।
কয়লার আগুনে গোশত ঝলসানোর সুযোগে আমাদের কেউ কেউ কুয়াশায় ডোবা ঘুটঘুটে অন্ধকারে বটগাছের তলা ঘুরে এসে অনুভূতি জানাল। রাত নয়টায় সব আয়োজনের ইতি টেনে, শিয়াল পণ্ডিতদের ভাষণ শুনে আমরা ফেরার পথ ধরলাম।
যাবেন যেভাবে
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী গাবতলী ও উত্তরার থার্ড ফেস এবং আবদুল্লাহপুর হয়ে ধামরাই উপজেলার ধানতারা বা কালামপুর বাজার হয়ে সাইট্টা গ্রামে যাওয়া যাবে। নিজস্ব বা ভাড়ার গাড়িতে গেলেই সুবিধা বেশি। তবে গুলিস্তান থেকে ধামরাই রুটের বাসে ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড বা কালামপুর বাজারে নেমে সেখান থেকে অটো কিংবা ভ্যানে চেপে সাইট্টা গ্রামে যাওয়া যায়।

একটি প্রাচীনতম বটবৃক্ষ মানে কালের সাক্ষী। পুরোনো কোনো স্থাপনা দেখলে যেমন মানুষ নস্টালজিয়ায় ভোগেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন, যদি কোনো শতবর্ষী গাছের ছায়ায় যান।
স্থান সাইট্টা গ্রাম, ধামরাই, ঢাকা। ব্যক্তিগত গাড়িতে সবাই যে যার মতো করে ছুটছি। শুক্রবার। তারপরেও যানজটের মহামারি ছাড়িয়ে সকাল ৯টার বদলে বেলা প্রায় ১১টায় পৌঁছাই সাভার বাজারে। তারপর নবীনগর। এরপর একটানে ঢুলিভিটা হয়ে ধানতারা। মাঝখানে নামাজের বিরতি। ধানতারা থেকে বাঁয়ে মোড় নিয়ে গাড়ি ছুটল সাইট্টার পথে।
এ এক প্রশান্তির পথ। সেই চিরচেনা সুনসান নিরিবিলি গাঁয়ের পথ। সবুজ প্রান্তর, গাছের ছায়া, পাখির কলতান। দূর থেকে গাড়ির জানালা দিয়ে যখন বটগাছ চোখে পড়ে, তখন কিছুটা নিরাশ হয়ে পড়ি। কেউ একজন মন্তব্যই করে ফেলল, এ তো দেখছি গাবগাছের পাতার মতো!
পিচঢালা পথ ছেড়ে গাড়ি ঢুকে পড়ে মেঠো পথে। থামে গিয়ে একেবারে বটবৃক্ষের নিচে। আনন্দে মন নেচে ওঠে। একি আসলেই বটবৃক্ষ, নাকি ভিন্ন কিছু! নানান জায়গায় ঘুরতে গিয়ে জীবনে অনেক বটগাছের ছায়ায় বসার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ রকম তো কোনো বটগাছ চোখে পড়েনি! আশ্চর্য সুন্দর সাইট্টা বটগাছের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজেকে বেশ সুখী মনে হলো।
গাছের ওপর থেকে বটের ঝুরি ঝুলে মাটির সঙ্গে মিশেছে। গাছের আদ্যোপান্ত জানতে এবার স্থানীয়দের খোঁজে নামি। দু-একজনের সঙ্গে ভাব জমাই। কিন্তু তথ্যসূত্র নির্ভরযোগ্য মনে হয় না। এদিকে পেটেও টান পড়েছে। গাড়িতে হাঁড়ি-পাতিল ছিল। করিতকর্মা ফারুক বাইকে চড়ে স্থানীয় বাজার থেকে চাল-ডাল-ডিম কিনে আনে। গ্রাম্য চা-দোকানি সন্তোষের সহযোগিতায় শুরু হয় রান্না। সেসব ফেলে আমরা বের হয়ে পড়ি গ্রাম দেখতে।
বিঘার পর বিঘা জমিতে লেবুর বাগান। থোকায় থোকায় ধরে আছে নানান জাতের লেবু। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হাঁটুজলের ছোট নদী। আর সেই নদীতে জেলে ধরছে মাছ। গাছের ডালে ডালে নানান রঙের পাখি। জনমানবের কোলাহল নেই। পাখিরা নিশ্চিন্ত মনে গেয়ে যায় গান। যেন সাইট্টা গ্রামটি ওদের জন্য অভয়াশ্রম।
ভর সন্ধ্যায় রান্না শেষ। মাগরিব নামাজের পর জোটে ওঠা খিচুড়ি আর ডিম ভুনা। খেতে খেতেই পরিচয় হয় জনি দাস নামের এক তরুণের সঙ্গে।
তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেল বেশ কিছু তথ্য। সাইট্টা গ্রামটি ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ষাটটি পরিবার নিয়ে প্রথম
এই গ্রামে বসতি শুরু। সেই থেকে গ্রামের নাম সাইট্টা হয়েছে। গ্রামে মানুষের সংখ্যা প্রায় চার শ। হিন্দু সম্প্রদায়-অধ্যুষিত এই গ্রামের শিক্ষার হার প্রায় ৯৫ শতাংশ। পেশায় অধিকাংশই সরকারি ও বেসরকারি চাকুরে। গ্রামবাসী বন্ধুবৎসল।
জনি বটগাছটি সম্পর্কে জানালেন, এটির বয়স আনুমানিক পাঁচ শ বছর। যদিও সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারে না এর বয়স। তবে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, ‘কম করে চার শ বছর তো হবেই’! বটগাছটি প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। একে ঘিরে লোকমুখে চালু আছে অনেক অদ্ভুতুড়ে গল্প। ফলে এর ডালপালা-ঝুরি কোনো দিন ছাঁটা হয়নি। তাই
এর আকার হয়েছে আক্ষরিক অর্থে জায়ান্ট, মহিরুহ। গাছটির পাশেই একটি নাটমন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা চলে। নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে ভদ্রলোক বিদায় নিলেন। নীরব আর নিস্তব্ধ গ্রাম্য পরিবেশে শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব, বারবিকিউ।
কয়লার আগুনে গোশত ঝলসানোর সুযোগে আমাদের কেউ কেউ কুয়াশায় ডোবা ঘুটঘুটে অন্ধকারে বটগাছের তলা ঘুরে এসে অনুভূতি জানাল। রাত নয়টায় সব আয়োজনের ইতি টেনে, শিয়াল পণ্ডিতদের ভাষণ শুনে আমরা ফেরার পথ ধরলাম।
যাবেন যেভাবে
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী গাবতলী ও উত্তরার থার্ড ফেস এবং আবদুল্লাহপুর হয়ে ধামরাই উপজেলার ধানতারা বা কালামপুর বাজার হয়ে সাইট্টা গ্রামে যাওয়া যাবে। নিজস্ব বা ভাড়ার গাড়িতে গেলেই সুবিধা বেশি। তবে গুলিস্তান থেকে ধামরাই রুটের বাসে ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড বা কালামপুর বাজারে নেমে সেখান থেকে অটো কিংবা ভ্যানে চেপে সাইট্টা গ্রামে যাওয়া যায়।

আজ আত্মবিশ্বাস এতটা আকাশছোঁয়া থাকবে যে নিজেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর প্রধান সদস্য মনে করবেন। কিন্তু সাবধান, ছাদে উঠে ওড়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভেতরের পজিটিভ এনার্জি দেখে অন্যরা হিংসা করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
৮০ দিনের কম সময়ে বিশ্বভ্রমণ। এমনই এক অদ্ভুত ইচ্ছা নিয়ে ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে বিশ্ব ভ্রমণ করে এক বিশাল আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এক নারী। এলিজাবেথ ককরেন সিম্যান নামের এই নারী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। নেলি ব্লাই ছিল তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে তিনি লিখতেন এবং জনপ্রিয় ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাথরুমের অভ্যন্তরীণ সজ্জার কেন্দ্রবিন্দু হলো ভ্যানিটি বা বেসিনের কাউন্টার টপ। এখানে বাথরুমে প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখা থাকে। তাই এই জায়গা সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত রাখা প্রয়োজন। ডিজাইনারদের মতে, ভ্যানিটির সৌন্দর্য এবং ব্যবহারিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায়...
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশ রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন পর্যটনশিল্পকে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে দিয়েছে। তাই অনেক দেশ তাদের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিসা নীতি থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং পর্যটকদের
৪ ঘণ্টা আগে