Ajker Patrika

ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) শহীদ কর্নেল নকীব হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সম্মেলনে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সে সঙ্গে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়কদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেনাপ্রধান এ রেজিমেন্টের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও রাজশাহী স্টেশনে কর্মরত সব কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের সব ইউনিটের অধিনায়কেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সেনাপ্রধান বিআইআরসি সম্মেলনকক্ষে পৌঁছালে তাঁকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক); কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার এবং বগুড়া এরিয়া অভ্যর্থনা জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রামপুরায় চারতলা থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রামপুরায় চারতলা ভবন থেকে পড়ে আয়ান মো. জাওজি (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে রামপুরা উলন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা সোয়া ৩টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত শিশুর চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আয়ান শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে রামপুরা উলন বাজার এলাকার ওই বাড়িতে চতুর্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আয়ান ছিল সবচেয়ে ছোট।

জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, বাড়িটির ছয়তলা পর্যন্ত করা কথা থাকলেও চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আয়ান কখন ছাদে গিয়েছে, তা কেউ বুঝতে পারেনি। হঠাৎ নিচে পড়ে আহত হয়। পরে প্রথমে বেটারলাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখান থেকে ঢামেকে আনার পর মারা যায়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চারতলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুটি আহত হয়েছিল। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক সেই কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ধানমন্ডি থানার ফাইল ছবি
ধানমন্ডি থানার ফাইল ছবি

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া ১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

ধানমন্ডি থানা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে ওই কিশোরকে আটক করা হয়। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘ছেলেটি গ্রামের বাড়ি থেকে আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা দেখতে এসেছিল। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই কিশোরের আচরণ সন্দেহজনক। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে নিজেকে কখনো শিক্ষার্থী, কখনো ছাত্রদল, কখনো ছাত্রশিবিরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। তার ব্যাগে কিছু কাগজপত্র ও উপকরণ পাওয়া যায়, যা দেখে ধারণা করা হয়, সে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগের লকডাউন ঠেকাতে উত্তরার রাজপথে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীরা

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনে দেখা মেলেনি দলটির নেতা-কর্মীদের। তবে রাজপথ দখল করে অবস্থান নিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মী, এনসিপির নেতা-কর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। তবে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া উত্তরায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি।

সরেজমিনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার বিভিন্ন অংশে বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনের তেমন চাপ ছিল না। কিন্তু দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনের দিন উত্তরার সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনের দিন উত্তরার সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, বিএনএস সেন্টার, আজমপুর, বিমানবন্দর এলাকায় ছিল বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল।

এ ছাড়া বুধবার রাত থেকে উত্তরার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার টহল ও নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দ সংস্থার টহল ও নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছবি: আজকের পত্রিকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দ সংস্থার টহল ও নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছবি: আজকের পত্রিকা

তা ছাড়া ঢাকার প্রবেশপথ উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, তুরাগের ধউর, উত্তরখানের তেরোমুখ ব্রিজ, সাভারের বিরুলিয়া ব্রিজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া চেকপোস্ট। এদিকে মহাসড়কে যান চলাচল কম থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের ভোগান্তি লক্ষ করা যায়।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় একটানা ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও পুলিশ এগুলোকে আশতবাজি বলে দাবি করেছে।

তুরাগের দিয়াবাড়ি এলাকায় বুধবার রাতে চেকপোস্টে পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে একটি নাম্বার প্লেটবিহীন সাদা স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুই যুবক। পরে তাদের ধাওয়া করে আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করে তুরাগ থানা পুলিশ।

এ সময় তুরাগ থানার এএসআই আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্কুটিটি চেকপোস্টে সিগন্যাল দিয়েছিলাম। তারা অমান্য করে চলে যায়। পরে কিছুটা সামনে গিয়ে তাদের হাতে ইশারা করে থামাতে বললে, তারা তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে জনগণের সহযোগিতায় ধাওয়া করে আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করা হয়।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনের দিন উত্তরার সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউনের দিন উত্তরার সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এএসআই আব্দুর রহিম বলেন, ‘আটক দুজনের গলায় প্রেস লেখা ফিতা ছিল। তারা সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরার মুগ্ধ মঞ্চ এলাকায় সন্দেহজনক একজনকে ছাত্রলীগের নেতা দাবি করে গণধোলাই দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। পরে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।

বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা টহলে থাকা উত্তরা আর্মি ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মেজর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে, সে জন্য আমাদের একাধিক টিম পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে। সেই সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও গাড়িকে তল্লাশির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করল, গুম করল, অথচ তাদের বিচার হবে না, তা তো হতে পারে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে—এটাই স্বাভাবিক।’

জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনাসহ তাঁদের দোসরদের বিচারের রায়ের দিন ধার্য হওয়ার কথা। তাই তারা লকডাউন দিয়েছ। কিন্তু তাদের লকডাউন তো দেশের মানুষ মানে না।’

দেশের জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দেশের অরাজক পরিবেশ রোধে যেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন পাওয়া যাবে, তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য আমাদের বলবেন। কিন্তু কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না।’

অপর দিকে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নাশকতা ঠেকাতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ছয়টি থানার সব ফোর্স, অফিসার নিয়ে আমরা মাঠে আছি।’

ডিসি মহিদুল বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কোনো অপ্রীতির ঘটনা ঘটাতে পারেনি। কেউ কোনো ঘটনা ঘটিয়ে যাতে চলে যেতে না পারে, সে জন্য আমরা সজাগ রয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মহিলা দলের দুই কর্মীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ জামায়াতের কর্মীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মহিলা দলের দুই কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহিলা দলের দুই কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালানোর কারণে রাজশাহীতে মহিলা দলের দুই কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এদের একজনকে স্যান্ডেল খুলে মারধর এবং অন্যজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার আশরাফের মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ভুক্তভোগী মহিলা দলের দুই কর্মী হলেন নিলুফা ইয়াসমিন ও তাঁর বোন নূরবানু বেগম। অভিযুক্ত জামায়াতের কর্মীর নাম নুরুল ইসলাম (৫৫)। পবার রনহাট গ্রামে তাঁর বাড়ি।

লাঞ্ছিত হওয়ার পর রাতেই ভুক্তভোগী নূরবানু রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চেয়েছেন তাঁরা। সকালে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দুই বোন ছাড়াও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল হক মিলন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা হাবিবা, নগর বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রফেসর আব্দুল রাজ্জাক।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১১ নভেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ফেরার পথে নিলুফা ও তাঁর বোন নূরবানুকে জামায়াতের কর্মী নুরুল ইসলাম দেখতে পেয়ে ডাকেন। তিনি দুজনকে জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে বলেন। এতে রাজি না হলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

ভুক্তভোগী নিলুফা বলেন, ‘নুরুল একপর্যায়ে প্রথমে স্যান্ডেল খুলে মারতে শুরু করেন এবং আমার বোনকে ঘাড়ে আঘাত করেন। এরপর নুরুল দৌড়ে এসে আমার পেটে লাথি মারেন।’ সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান।

এ আসনের বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক বিতর্কের ভেতরেও নাগরিকদের মৌলিক নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে এবং কাউকে হুমকি-ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করা চলবে না। কেউ জোরজবরদস্তি করে এক দলের কর্মীদের অন্য দলের হয়ে ভোট চাইতে বাধ্য করতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নিলুফা আগে আওয়ামী লীগের ভোট করেছে। এখন দেখছি বিএনপির ভোট করছে। এটা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি হচ্ছিল। একটা পর্যায়ে আমি শুধু তাঁদের একবার ধাক্কা দিয়েছিলাম। ঘটনা মাত্র এটুকুই। এর বেশি না।’

এ বিষয়ে কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ‘নূরবানু বেগম যে জিডি করেছেন সেটি আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত তদন্তের অনুমতি দিলে আমরা কাজ শুরু করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত