Ajker Patrika

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি: কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে বৈষম্য

  • আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৮৭ কর্মচারীকে তিন মাসের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগের কথা।
  • খনিতে ১৫৪ জন স্থায়ী কর্মকর্তা থাকলেও স্থায়ী কর্মচারী আছেন মাত্র ২২ জন।
  • প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা কয়লার প্রফিট বোনাস নিজেদের পকেটে ভরছেন কর্মকর্তারা।
মো. মেহেদী হাসান, দিনাজপুর (ফুলবাড়ী) প্রতিনিধি
বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। খনিটি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি খনি এলাকার বাসিন্দাদের। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার। খনিতে ২০-২৫ বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২৭৬ জন কর্মচারী চাকরি করলেও খনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও তাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। ২০০৯ সালে চুক্তি অনুযায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ হলেও কর্মচারী নিয়োগে শুরু হয় টালবাহানা।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৮৭ জন কর্মচারীকে তিন মাসের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগের কথা থাকলেও খনি কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে তা বাস্তবায়ন করছে না বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। নিয়োগে বিলম্বের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ না পেলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আদালতের রায়প্রাপ্ত কর্মচারীরা।

কর্মচারীদের অভিযোগ, সময়ক্ষেপণ করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা কয়লার প্রফিট বোনাস নিজেদের পকেটে ভরছেন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে কর্মচারীদের বঞ্চিত করে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে খনিতে কর্মরত ২৭৬ জন কর্মচারী পৃথক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আন্দোলন করছেন। আদালতের রায় পাওয়া ৮৭ জন কর্মচারী আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চাকরিতে স্থায়ী নিয়োগ না পেলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।

আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জানান, ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে মাস্টাররোল ও ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে যাঁরা নিয়োগ পান, তাঁদের স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং ২০০৯ সালের পর থেকে কোনো কর্মচারীকেই স্থায়ী করা হয়নি। অথচ এ সময়ের মধ্যে চারবার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, অনুমোদিত কাঠামো অনুযায়ী ২ হাজার ৬৭৪ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও তা কমিয়ে ৯১২ জন করা হয়েছে। বর্তমানে খনিতে ১৫৪ জন স্থায়ী কর্মকর্তা থাকলেও স্থায়ী কর্মচারী আছেন মাত্র ২২ জন। স্থায়ী কর্মকর্তারা যেখানে প্রফিট বোনাস, ফেস বোনাস, ইনসেনটিভ, ইনক্রিমেন্ট, মাইনিং ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, লাঞ্চ সাবসিডি ও বিনোদন ভাতা পাচ্ছেন, সেখানে আউটসোর্সিং কর্মীরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডে (বিসিএমসিএল) আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৭৬ জন কর্মচারী ২০-২৫ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। কয়লাখনির কারণে জমি অধিগ্রহণের ফলে তাঁদের অনেকেই বসতভিটা, ফসলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা এমনকি বাপ-দাদার কবরস্থান পর্যন্ত হারিয়েছেন। ২০০৯ সালের ১৫ মে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্মারকের ৮ ধারায় ক্ষতিগ্রস্তদের কয়লাখনিতে চাকরির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরকারি নীতিমালা শিথিল করে চাকরি প্রদানের সুপারিশ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। প্রথম থেকেই এই কোম্পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে রেখে সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খনি কর্তৃপক্ষ আইনি মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে সময়ক্ষেপণের নতুন নতুন ফন্দি আঁটে। আইনি মতামত গ্রহণের জন্য বিসিএমসিএল থেকে গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পেট্রোবাংলায়, পেট্রোবাংলা থেকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে মার্চ মাসে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত চেয়ে নথি পাঠালে এ বছরের ২৯ জুন আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বাধ্যবাধতা রয়েছে বলে মতামত প্রদান করেন আইন ও বিচার বিভাগ। এ মতামতের পর কর্মচারীরা আশার আলো দেখলেও খনি কর্তৃপক্ষের দাম্ভিকতা ও নিত্যনতুন অজুহাতে শঙ্কিত তাঁরা।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কর্মচারীদের পক্ষে করা মামলার বাদী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। সব আইনিপ্রক্রিয়া শেষ হলেও

এখন পর্যন্ত নিয়োগ প্রদানে গড়িমসি করছে কর্তৃপক্ষ।’

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ছানা উল্লাহ জানান, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিয়োগপ্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিলেও আইনি জটিলতায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সেই মামলা এখনো চলমান।

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে কর্মচারীরা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগ না দিলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা আবেদন যাচাই-বাছাই করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ ডিজির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাবিষয়ক চলমান চিকিৎসার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। সেমিনারে অংশগ্রহণের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন তাঁর বিভাগের সীমাবদ্ধতা, জনবল-সংকট এবং দায়িত্ব পালনের চাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিজি ও তাঁর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে নোবিপ্রবিতে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ‘রান ফর ইউনিটি’ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শারীরিক সুস্থতা ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নেন নোবিপ্রবির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে এই দৌড় শুরু হয়। বাংলা বাজার প্রদক্ষিণ করে ম্যারাথনটি শেষ হয় প্রধান ফটকেই। নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পুরো ক্যাম্পাসে এক উৎসবের আমেজ তৈরি করে।

আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সম্মাননা এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুস্থ ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিবির শাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।

ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত