Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৮
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আধা ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মরুরা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। 

জানা যায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সকালে উপজেলা প্রশাসন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজয় র‍্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাংসদ সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। পরে তিনি পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী, পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহানসহ উপজেলা প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যান। এ সময় সাংসদ নূর মোহাম্মদ-সমর্থিত নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মো. সোহরাব উদ্দিনসহ নেতা-কর্মীরা। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এদিকে ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মরুরা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ ব্যাপারে সাংসদ নূর মোহাম্মদ-সমর্থিত জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, ‘সাংসদ নূর মোহাম্মদ বাধা দেওয়ার পক্ষে নন। সোহরাব উদ্দিন তাঁর লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে ফুল দিতে আসেন। এ সময় তাঁরা নূর মোহাম্মদ-সমর্থিত ছাত্রলীগের নেতা সাকিবুল হাসান মুন্নার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদ মিয়াকে মারধর করেন। এতে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’ 

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ মো. সোহরাব উদ্দিনের নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে তাঁরা আমাদের বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের দু-তিনজন নেতা-কর্মী আহত হন।’ 

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত