Ajker Patrika

ফেসবুকে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে প্রথমে প্রেমিক পরে ছিনতাইকারীর ধর্ষণের শিকার কিশোরী

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২৪, ২২: ০৬
Thumbnail image

ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জে ভৈরবে এক স্কুলছাত্রী (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ধর্ষণে জড়িত। বাকিরা সহযোগিতা করেছিল। 

আজ শুক্রবার আসামিদের কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ পলাশ দাস (১৮), রাব্বি (১৯), ভৈরব শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার আবদুল্লাহ (১৮), কমলপুর এলাকার পাপন (১৮), চণ্ডীবের এলাকার ফুয়াদ (১৯) এবং তিন কিশোর। পলাশ ও আরেক কিশোর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে পলাশের ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গতকাল তারা প্রথমবারের মতো দেখা করেন। প্রথমে ভৈরবের মানিকদি এলাকার একটি সেতুসংলগ্ন রেস্টুরেন্টে আড্ডা ও কথাবার্তা হয়। পরে বিকেলের দিকে তারা দুজন ভৈরব মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে আসে। 

এ সময় নদীর পাড়ের একটি জঙ্গলের ঝোপে পলাশ দাস ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি দেখে ফেলে ওই এলাকায় অবস্থানরত কয়েকজন ছিনতাইকারী। এ সময় দুজনকে আটক করে দুটি মোবাইলসহ তাদের টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয় তারা। সুযোগ বুঝে সেখানে থাকা এক কিশোর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় তার সহযোগীরা তাকে সহায়তা করে। 

এ সময় ওই কিশোরীর কান্না ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে জনতা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এই কিশোরীসহ আটজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

পরে দিবাগত রাত ১২টার পর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত করা হয় দুজনকে, সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয় বাকি ছয়জনের নাম। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুর রহমান জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মেঘনা পাড়ে ঘুরতে এসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় কয়েকজন ছিনতাইকারী জড়িত রয়েছে। এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি মামলা করে। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত