Ajker Patrika

আমরা কৃষিবিদেরা নিজেদের সম্মান ধরে রাখতে পারছি না: বাহাউদ্দিন নাছিম

Thumbnail image

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কৃষিবিদ দিবস। আজ মঙ্গলবার রাজধানী ফার্মগেটের কেআইবি মিলনায়তনের এই মিলনমেলায় অনেক কৃষিবিদ জড়ো হন। তবে কয়েকজন কৃষিবিদ দাবি করেছেন—কেআইবির এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে কৃষিবিদদের একাংশ। বড় অংশই এতে যোগ দেয়নি। মূলত কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বদলের সুযোগে কৃষিবিদদের একাংশ নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চায়। 

কৃষিবিদ দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও কৃষিবিদ আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিমের বক্তব্যেও কৃষিবিদের মধ্যে বিভক্তির তথ্য ওঠে আসে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি, বিভক্তির কারণে নিজেরা দুর্বল হয়েছি, আমরা দ্বিখণ্ডিত। তাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি না। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলি। ফলে আমরা কৃষিবিদেরা নিজেদের সম্মান ধরে রাখতে পারছি না। এটা নিয়ে আমাদের কষ্টও আছে।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘আমার মনে হয় না, কৃষিবিদদের মধ্যে ভাগ আছে। এমন না যে কেউ ব্রাহ্মণ্য কৃষিবিদ, কেউ নমশূদ্র কৃষিবিদ।’ 

কৃষিবিদ দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। 

কৃষিবিদদের মধ্যে দুটি গ্রুপের প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। একটি অংশ ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) থেকে পাস করা কৃষিবিদ, তাঁরা বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) পাস করা কৃষিবিদের অংশ সদ্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ফলে মন্ত্রী থাকাকালীন আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারীরা শক্ত অবস্থানে ছিল। এখন মন্ত্রী বদল হওয়ায় নাছিম অনুসারীরা নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে। 

কেআইবির সাবেক এক সহসভাপতি নাম প্রকাশ না করা শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেআইবি বড় পেশাজীবী সংগঠন। কিন্তু একজন ব্যক্তির নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টার কারণে কৃষিবিদদের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বদলের সুযোগে ওই কায়েমি গোষ্ঠী সাধারণ কৃষিবিদদের অধিকার খর্ব করে, তাঁদের কর্তৃত্ব বহাল রাখতে চাইছে।’ 

এদিকে সচেতন কৃষিবিদের ব্যানারে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের অবৈধ কমিটির সকল কার্যক্রম বর্জন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে কৃষিবিদের আরেকাংশ। 

কেআইবির সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এতে এএমএম সালেহ সভাপতি ও মো. খায়রুল আলম প্রিন্স মহাসচিব নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এএমএম সালেহ মারা যাওয়ার পর সিনিয়র সহসভাপতি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। ২০১৭-১৮ কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয় পাঁচ বছর আগে। ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর (২০১৯-২০) মেয়াদি কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এনে ভোটের আগের রাতে কৃষিবিদ ড. আজিজুল ইসলামের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত