Ajker Patrika

বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে জানান ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন টানা যুক্তিতর্ক শুনানির সময় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং জেরার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামীদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আরজি জানান।

শুনানির সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির পর তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। 

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এ ছাড়া তদন্তে আরও ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তিনজন পলাতক রয়েছেন।

চার্জশিট ভুক্ত আসামিরা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। 

চার্জশিট ভুক্ত পলাতক তিন আসামিরা হলেন, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে জানা গেছে, রাত দশটা থেকে একটানা রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং দড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। কিলঘুষি, লাথিও মারা হয়। এইভাবে আবরারকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি। তারা হলেন ইফতি মোশাররফ হোসেন সকাল, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মো. মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস শাদাত ও তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত