Ajker Patrika

শরীয়তপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন

শরীয়তপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে 'শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়' স্থাপন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করার পর খসড়া আইন প্রণয়নের জন্য মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম গত বছর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি গত ১০ জুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দেন। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হলে ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।  

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চিঠি দিয়ে যুগোপযোগী খসড়া আইন প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

শিক্ষামন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মাহমুদুল আলম এ সংক্রান্ত চিঠিটিতে মঙ্গলবার স্বাক্ষর করেন। 

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি, পদ্মার পললে গড়া উর্বর বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল অনাদিকাল হতে কৃষিসম্পদে সমৃদ্ধ। আবহমানকাল ধরে এ অঞ্চলের সংগ্রামী মানুষের মেহনতে এ মাটিতে জন্মায় সোনার ফসল। এই অঞ্চলে কৃষি শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খবর অনেক আনন্দের। নিসন্দেহে শরীয়তপুরবাসী তথা বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় আশীর্বাদ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।’ 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চল কৃষি ও নদী প্রধান এলাকা। এ অঞ্চলের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং নতুন প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা ছিল আমাদের। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল একটি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। আমাদের সেই স্বপ্নকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করার। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার পর এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত