সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান সবার কাছে ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’ নামে পরিচিত। প্রকৃতিপ্রেমী অনেকে অবসর সময় কাটাতে এখানে আসেন। জ্ঞানার্জনেও আসেন অনেক গবেষক-শিক্ষার্থী। সম্প্রতি এই উদ্যানে প্রবেশমূল্য পাঁচ গুণ বাড়ানো হয়েছে। এতে দর্শনার্থী কমে অর্ধেকে নেমেছে। আগে জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ছিল ২০ টাকা, এখন তা ১০০ টাকা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উদ্যানে ভোরে ব্যায়াম করতে আসা ব্যক্তিদের জন্যও বার্ষিক ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ ধরনের মানুষের জন্য কোনো প্রবেশমূল্য ছিল না উদ্যানে।
এভাবে উদ্যানে প্রবেশমূল্য কয়েক গুণ বাড়ানোকে অযৌক্তিক বলেছেন খোদ পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আর নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, উদ্যান-পার্কে প্রবেশমূল্য কয়েক গুণ বাড়ানোর ঘটনাটি জনগণের বিনোদন ও জনস্বাস্থ্য সুবিধার সর্বজনীন ধারণার প্রতি বৈষম্যমূলক। গ্রিন ভয়েসসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন উদ্যানের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে।
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত বলেন, ‘আমি জেনেছি, বন অধিদপ্তর থেকে ৫০ টাকা প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।’
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে গিয়ে টিকিট কাউন্টারে কোনো দর্শনার্থীর দেখা পাওয়া যায়নি। পাশের জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকিট কাউন্টারে তখন ভিড়। চিড়িয়াখানার প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর উদ্যানটি একেবারে নির্জন। উদ্ভিদ উদ্যানে নিয়মিত ঘুরতে আসেন মিরপুরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যবিত্ত মানুষের বিনোদনের খুব বেশি জায়গা নেই। উদ্যানের টিকিটের দাম হুট করে বাড়ানো ঠিক হয়নি।’
উদ্যানের ভেতরের একমাত্র ক্যানটিন ক্যামেলিয়া স্ন্যাকস কর্নারের বিক্রয়কর্মী আমিনুল ইসলামের কণ্ঠেও হতাশা। তিনি বলেন, আগে দিনে ১৫-২০ হাজার টাকার বিক্রি হতো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিক্রি ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতো। এখন শুক্রবারেও ৫-৭ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয় না।
উদ্যানের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বশীল ইদ্রিস খান বলেন, আগে শুক্রবারে তিন হাজারের মতো দর্শনার্থী আসত। এখন ১ হাজারও হয় না।
উদ্যানের ইজারাদার ফিরোজ খান বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার এবার ডাবল ইজারা মূল্য, অর্থাৎ ৪ কোটির বেশি টাকা নিয়েছে।’
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি, পার্ক-উদ্যান-খেলার মাঠে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হচ্ছে। পার্ক-উদ্যান ইজারা দেওয়ার নামে গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। উদ্যান কর্তৃপক্ষকে বাণিজ্যিক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান সবার কাছে ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’ নামে পরিচিত। প্রকৃতিপ্রেমী অনেকে অবসর সময় কাটাতে এখানে আসেন। জ্ঞানার্জনেও আসেন অনেক গবেষক-শিক্ষার্থী। সম্প্রতি এই উদ্যানে প্রবেশমূল্য পাঁচ গুণ বাড়ানো হয়েছে। এতে দর্শনার্থী কমে অর্ধেকে নেমেছে। আগে জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ছিল ২০ টাকা, এখন তা ১০০ টাকা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উদ্যানে ভোরে ব্যায়াম করতে আসা ব্যক্তিদের জন্যও বার্ষিক ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ ধরনের মানুষের জন্য কোনো প্রবেশমূল্য ছিল না উদ্যানে।
এভাবে উদ্যানে প্রবেশমূল্য কয়েক গুণ বাড়ানোকে অযৌক্তিক বলেছেন খোদ পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আর নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, উদ্যান-পার্কে প্রবেশমূল্য কয়েক গুণ বাড়ানোর ঘটনাটি জনগণের বিনোদন ও জনস্বাস্থ্য সুবিধার সর্বজনীন ধারণার প্রতি বৈষম্যমূলক। গ্রিন ভয়েসসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন উদ্যানের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে।
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত বলেন, ‘আমি জেনেছি, বন অধিদপ্তর থেকে ৫০ টাকা প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।’
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে গিয়ে টিকিট কাউন্টারে কোনো দর্শনার্থীর দেখা পাওয়া যায়নি। পাশের জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকিট কাউন্টারে তখন ভিড়। চিড়িয়াখানার প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর উদ্যানটি একেবারে নির্জন। উদ্ভিদ উদ্যানে নিয়মিত ঘুরতে আসেন মিরপুরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যবিত্ত মানুষের বিনোদনের খুব বেশি জায়গা নেই। উদ্যানের টিকিটের দাম হুট করে বাড়ানো ঠিক হয়নি।’
উদ্যানের ভেতরের একমাত্র ক্যানটিন ক্যামেলিয়া স্ন্যাকস কর্নারের বিক্রয়কর্মী আমিনুল ইসলামের কণ্ঠেও হতাশা। তিনি বলেন, আগে দিনে ১৫-২০ হাজার টাকার বিক্রি হতো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিক্রি ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতো। এখন শুক্রবারেও ৫-৭ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয় না।
উদ্যানের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বশীল ইদ্রিস খান বলেন, আগে শুক্রবারে তিন হাজারের মতো দর্শনার্থী আসত। এখন ১ হাজারও হয় না।
উদ্যানের ইজারাদার ফিরোজ খান বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার এবার ডাবল ইজারা মূল্য, অর্থাৎ ৪ কোটির বেশি টাকা নিয়েছে।’
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি, পার্ক-উদ্যান-খেলার মাঠে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হচ্ছে। পার্ক-উদ্যান ইজারা দেওয়ার নামে গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। উদ্যান কর্তৃপক্ষকে বাণিজ্যিক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
নগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাটারিচালিত মেশিনের সাহায্যে রাতে অসাধু ব্যক্তিরা নদীর বিভিন্ন অংশে মাছ শিকার করছেন। এতে মাছের পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে নদীতে অবৈধভাবে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে খননযন্ত্রে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে অবাধে বালু লুট করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ২০০৮ সালে বিভিন্ন খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল ২১টি আয়রন সেতু। এই সেতুগুলো নির্মাণে ঠিকাদারির কাজ করেছিলেন হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা। গত আট মাসে এর ১০টি সেতু ভেঙে পড়েছে। এসব সেতু ভেঙে
৪ ঘণ্টা আগে