Ajker Patrika

ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত সুমাইয়ার লাশ দাফনের ৪ মাস পর উত্তোলন

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)  প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার পাইনাদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সুমাইয়া আক্তারের লাশ উত্তোলনে প্রশাসনকে সহায়তা করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার পাইনাদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সুমাইয়া আক্তারের লাশ উত্তোলনে প্রশাসনকে সহায়তা করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাড়ির বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া সুমাইয়া আক্তারের (২০) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের চার মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার পাইনাদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তারের উপস্থিতিতে এই লাশ উত্তোলন করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার জানান, আদালতের নির্দেশে সুমাইয়া আক্তারের লাশ আজ বুধবার দুপুরে কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের শেষে একই কবরস্থানে সুমাইয়ার লাশ দাফন করা হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদীর নতুন মহল্লার ছয় তলা ভবনের বারান্দায় বাইরের দৃশ্য দেখতে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মাথার বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হন সুমাইয়া আক্তার। পরবর্তীতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে সুমাইয়ার লাশ রাত পাইনাদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। সুমাইয়া আক্তার বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার চরনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাতবরের মেয়ে। পরিবার নিয়ে সেলিম সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদীর নতুন মহল্লায় বসবাস করেন।

নিহতের ঘটনায় সুমাইয়ার বড় বোন জামাই মো. বিল্লাল ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নামে ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত