নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর ডেমরায় গত বছরের অক্টোবরে অছিম পরিবহনের বাসে ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের অ্যান্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড কে-নাইন টিম অগ্নিকাণ্ডে জড়িত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম মনির ওরফে মনির মুন্সি (৩৭), নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা সাহেদ আহমেদ (৩৮) ও বিএনপির কর্মী মাহাবুবুর রহমান সোহাগ (৩৩)। সোহাগ হলেন মনির মুন্সির ব্যক্তিগত গাড়িচালক।
পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় একটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। এগুলো আগুনের সময় তাঁরা ব্যবহার করেছেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ভোরে ডেমরার দেইল্লা বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখা অছিম পরিবহনের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মো. নাইম (২২) ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে মারা যান। নিহতের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি। একই ঘটনায় অপর হেলপার মো. রবিউল (২৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করে সিটিটিসি।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির চলমান আন্দোলনে নাশকতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দেন দলটির শীর্ষ নেতারা। নির্দেশনা অনুযায়ী নুরুল ইসলাম মনির তাঁর অনুসারীদের অগ্নিসংযোগের জন্য নিয়োগ দেন। তিনি নিজে বড় একটি ঘটনা ঘটানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্যসচিব এবং তাঁর বন্ধু সাহেদ আহমেদকে ডেকে নেন। তাঁরা দুজনে মিলে একটি পরিকল্পনা করেন যেখানে তাঁরা স্থির করে এমন একটি ঘটনা ঘটাবেন, যাতে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ডেমরা এলাকার দেইল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাত ২টার পর বেশ কয়েকবার গাড়ি দিয়ে ঘুরে ঘুরে রেকি করেন এবং দেখতে থাকেন কোন জায়গাটা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতামুক্ত। অবশেষে তাঁরা কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ফিক্স করে ‘বড়ভাঙ্গা’ মার্কেটে চলে যান। সেখান থেকে দুই লিটারের পানির বোতলে পেট্রল সংগ্রহ করে রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নিরাপদ দূরত্বে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার মাহাবুবুর রহমান সোহাগকে গাড়িতে রেখে মনির মুন্সি ও সাহেদ পেট্রলের বোতল নিয়ে রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা অছিম পরিবহনের গাড়ির কাছে যান। সেখানে একটি গাড়ির ড্রাইভার সিটের পাশে থাকা খোলা গ্লাসের অংশ দিয়ে ড্রাইভার সিটে মনির মুন্সি পেট্রল ঢেলে দেন এবং একপর্যায়ে বোতলটিও সেখানে ফেলে দেন। তারপর দেশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা দুজন দৌড়ে পুনরায় গাড়িতে এসে ওঠেন। দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তাঁরা এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিপদ এড়ানোর জন্য রং সাইডে ডেমরা এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠে সুফিয়া কামাল ব্রিজ দিয়ে ভুলতায় থাকা মনির মুন্সিদের মালিকানাধীন ‘মুন্সি পেট্রল পাম্পে’ রাত্রি যাপন করে। সকাল ১০টায় বাসায় ফিরে যান।
রাজধানীর ডেমরায় গত বছরের অক্টোবরে অছিম পরিবহনের বাসে ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের অ্যান্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড কে-নাইন টিম অগ্নিকাণ্ডে জড়িত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম মনির ওরফে মনির মুন্সি (৩৭), নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা সাহেদ আহমেদ (৩৮) ও বিএনপির কর্মী মাহাবুবুর রহমান সোহাগ (৩৩)। সোহাগ হলেন মনির মুন্সির ব্যক্তিগত গাড়িচালক।
পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় একটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। এগুলো আগুনের সময় তাঁরা ব্যবহার করেছেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ভোরে ডেমরার দেইল্লা বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখা অছিম পরিবহনের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মো. নাইম (২২) ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে মারা যান। নিহতের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি। একই ঘটনায় অপর হেলপার মো. রবিউল (২৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করে সিটিটিসি।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির চলমান আন্দোলনে নাশকতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দেন দলটির শীর্ষ নেতারা। নির্দেশনা অনুযায়ী নুরুল ইসলাম মনির তাঁর অনুসারীদের অগ্নিসংযোগের জন্য নিয়োগ দেন। তিনি নিজে বড় একটি ঘটনা ঘটানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্যসচিব এবং তাঁর বন্ধু সাহেদ আহমেদকে ডেকে নেন। তাঁরা দুজনে মিলে একটি পরিকল্পনা করেন যেখানে তাঁরা স্থির করে এমন একটি ঘটনা ঘটাবেন, যাতে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ডেমরা এলাকার দেইল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাত ২টার পর বেশ কয়েকবার গাড়ি দিয়ে ঘুরে ঘুরে রেকি করেন এবং দেখতে থাকেন কোন জায়গাটা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতামুক্ত। অবশেষে তাঁরা কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ফিক্স করে ‘বড়ভাঙ্গা’ মার্কেটে চলে যান। সেখান থেকে দুই লিটারের পানির বোতলে পেট্রল সংগ্রহ করে রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নিরাপদ দূরত্বে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার মাহাবুবুর রহমান সোহাগকে গাড়িতে রেখে মনির মুন্সি ও সাহেদ পেট্রলের বোতল নিয়ে রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা অছিম পরিবহনের গাড়ির কাছে যান। সেখানে একটি গাড়ির ড্রাইভার সিটের পাশে থাকা খোলা গ্লাসের অংশ দিয়ে ড্রাইভার সিটে মনির মুন্সি পেট্রল ঢেলে দেন এবং একপর্যায়ে বোতলটিও সেখানে ফেলে দেন। তারপর দেশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা দুজন দৌড়ে পুনরায় গাড়িতে এসে ওঠেন। দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তাঁরা এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিপদ এড়ানোর জন্য রং সাইডে ডেমরা এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠে সুফিয়া কামাল ব্রিজ দিয়ে ভুলতায় থাকা মনির মুন্সিদের মালিকানাধীন ‘মুন্সি পেট্রল পাম্পে’ রাত্রি যাপন করে। সকাল ১০টায় বাসায় ফিরে যান।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফুট সড়কে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি রোলস রয়েস স্পেকটার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কুকুর। হঠাৎ দৌড়ে সড়কে চলে আসা একটি কুকুরকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উঠে পড়ে সড়ক বিভাজকে। এতে গাড়ির চার আরোহীই আহত হয়েছেন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৩ মিনিট আগেআড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে
১৮ মিনিট আগেঅবৈধ দখলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের ‘ফুসফুস’ খ্যাত বেলাই বিল। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ‘নর্থ সাউথ’ ও ‘তেপান্তর’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শুরু হওয়া এই দখলের কাজ এখন দিনের আলোতেও চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
২৩ মিনিট আগেরোববার (২০ জুলাই) ভোরে জহুরপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৬/৫-এর কাছে ৫ জন চোরাকারবারি ভারতের অভ্যন্তরে যায়। সে সময় বিএসএফ চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে ৪ জন পালিয়ে আসে। মোহম্মদ লালচান (২৫) বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে চোরকারবারিরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ ফেরত এনে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা নদী
২ ঘণ্টা আগে