Ajker Patrika

ঢাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান তাঁরা। 

অবস্থান কর্মসূচি থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করা; হলের আসনসংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোট দেওয়া ও মূল ভবনের প্রতি রুমে ছয় শিক্ষার্থীর বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা। দাবি মেনে নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতি বছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয় মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও এখনো আসন পাচ্ছে না। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫টি অতিথি কক্ষ যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন এবং তাঁদের জন্য ২টি ওয়াশ রুম আছে। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশ রুম রয়েছে। 

আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য হলের মেয়েরা ৬ মাসের মধ্যে লিগ্যাল সিটে যেতে পারে এবং সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায় না। আমাদের যে তিন দফা দাবি রয়েছে, সে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’ 

এর আগে গতকাল রোববার উপাচার্যের কাছে তিন দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ‘অসহযোগিতাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করে এ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত