আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই। আজ ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ১১ বছর পার হয়েছে। এই ১১ বছরে মাত্র ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের এই দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১১১ জন শ্রমিক।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শফিকুল ইসলামের আদালতে তাজরীন ট্র্যাজেডির পর দায়িত্বে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে মামলা করা হয়। সর্বশেষ গত ১ নভেম্বর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এর জন্য আদালত আগামী বছরের ২৫ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর এই দিনেও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ, গত এক বছরে একজন সাক্ষীও আদালতে হাজির হননি। সাক্ষী হাজির করার রাষ্ট্রপক্ষের কোনো তৎপরতাও নেই। এই মামলায় মোট ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ৯৩ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছেন না। ২০২২ সালের ১৮ মে সর্বশেষ দুজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. মুর্শিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট তৎপর। সাক্ষীদের বারবার সমন দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারা আদালতে হাজির হচ্ছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি বাকি সাক্ষীদের দ্রুত হাজির করা হবে।’
প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জন এই মামলার আসামি। ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান। ঘটনার এক বছর ২৮ দিন পর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন—প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, নিরাপত্তারক্ষী রানা ওরফে আনোয়ারুল, কারখানা ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আল আমিন, রানা, শামীম ও মোবারক হোসেন পলাতক। বাকি সব আসামি জামিনে রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কারখানা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন মেনে করা হয়নি। শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ ছিল না। তিনটি সিঁড়ির মধ্যে দুটি নিচতলার গুদামের ভেতরে এসে শেষ হয়েছে। ওই গুদামে আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার শ্রমিকদের বাধা দিয়ে বলেন, আগুন লাগেনি। অগ্নিনির্বাপণের মহড়া চলছে। এরপর তিনি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে ১১১ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। অন্যদিকে আহত হন আরও ১০৪ গার্মেন্টস শ্রমিক। গার্মেন্টসটিতে সে সময় ১ হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনায় নিহত ১১১ জনের মধ্যে তৃতীয়তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান ১১ জন। ৫৮ জনের লাশ শনাক্ত হওয়ায় তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৩ জনের লাশ শনাক্ত না করতে পারায় তাঁদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই। আজ ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ১১ বছর পার হয়েছে। এই ১১ বছরে মাত্র ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের এই দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১১১ জন শ্রমিক।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শফিকুল ইসলামের আদালতে তাজরীন ট্র্যাজেডির পর দায়িত্বে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে মামলা করা হয়। সর্বশেষ গত ১ নভেম্বর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এর জন্য আদালত আগামী বছরের ২৫ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর এই দিনেও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ, গত এক বছরে একজন সাক্ষীও আদালতে হাজির হননি। সাক্ষী হাজির করার রাষ্ট্রপক্ষের কোনো তৎপরতাও নেই। এই মামলায় মোট ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ৯৩ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছেন না। ২০২২ সালের ১৮ মে সর্বশেষ দুজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. মুর্শিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট তৎপর। সাক্ষীদের বারবার সমন দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারা আদালতে হাজির হচ্ছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি বাকি সাক্ষীদের দ্রুত হাজির করা হবে।’
প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জন এই মামলার আসামি। ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান। ঘটনার এক বছর ২৮ দিন পর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন—প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, নিরাপত্তারক্ষী রানা ওরফে আনোয়ারুল, কারখানা ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আল আমিন, রানা, শামীম ও মোবারক হোসেন পলাতক। বাকি সব আসামি জামিনে রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কারখানা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন মেনে করা হয়নি। শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ ছিল না। তিনটি সিঁড়ির মধ্যে দুটি নিচতলার গুদামের ভেতরে এসে শেষ হয়েছে। ওই গুদামে আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার শ্রমিকদের বাধা দিয়ে বলেন, আগুন লাগেনি। অগ্নিনির্বাপণের মহড়া চলছে। এরপর তিনি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে ১১১ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। অন্যদিকে আহত হন আরও ১০৪ গার্মেন্টস শ্রমিক। গার্মেন্টসটিতে সে সময় ১ হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনায় নিহত ১১১ জনের মধ্যে তৃতীয়তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান ১১ জন। ৫৮ জনের লাশ শনাক্ত হওয়ায় তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৩ জনের লাশ শনাক্ত না করতে পারায় তাঁদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এবং হক মিয়ার বাড়িতে এ হামলা হয়।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর স্টেশন বাজার এলাকার টেলিকমের দোকানে দিনদুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (১ আগস্ট) বেলা সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে অংশ নেয় সাতজন। তাদের ধরতে ডিবিসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান গোমস্তাপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম।
২ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে শহর বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিদ্যুতায়িত হয়ে ছেলে ও মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিল সরদারের স্ত্রী জোছনা খাতুন (৪৮) ও
২ ঘণ্টা আগে