নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলা ভাষা রক্ষার্থে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সম্ভাবনার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলা ভাষার গৌরবময় ইতিহাস জাতীয় মুক্তির পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তারা।
সেমিনারে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুর রব বলেন, ‘মাতৃভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের ভাষাই তার মাতৃভাষা। জন্মগতভাবে আমরা বাংলাদেশি আর বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষার ইতিহাস ও আন্দোলন অত্যন্ত দীর্ঘ। আজকে বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। আমাদেরকে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।’
বাংলা ভাষা নিয়ে যুব সমাজকে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নিজ সন্তানদের বাংলাভাষা চর্চায় উৎসাহিত করতে। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলনের জন্য যারা কাজ করছেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা উচিত। ভিন দেশি অপসংস্কৃতির হাত থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই জরুরি।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ। ভাষা আন্দোলনে যেমন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি আদায় করেছিল, ঠিক তেমনি আজকে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে দল-মত ও শ্রেণি-পেশার ঊর্ধ্বে উঠে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই এ জাতির মুক্তি সম্ভব।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘১৯৫২ সালে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী আমাদের বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। একইভাবে আজ সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের আবারও প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের ওই অঙ্গীকার থেকে দূরে সরে এসে বাংলা ভাষাকে লাঞ্ছিত করা যাবে না। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়-এই সত্যটি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ভাষা মানুষের বিচ্ছিন্নতা দূর করে, পরস্পরকে ঐক্যবদ্ধ করে। কাজেই দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে বাংলা ভাষা চর্চাকে বিকশিত ও উন্নত করাই আমাদের অন্যতম কর্তব্য।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আতিয়ার রহমান, কবি মোশাররফ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক পরিষদের আব্দুল লতিফ, সম্ভাবনার বাংলাদেশ সমন্বয়ক শামসুর রহমানসহ প্রমুখ।
বাংলা ভাষা রক্ষার্থে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সম্ভাবনার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলা ভাষার গৌরবময় ইতিহাস জাতীয় মুক্তির পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তারা।
সেমিনারে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুর রব বলেন, ‘মাতৃভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের ভাষাই তার মাতৃভাষা। জন্মগতভাবে আমরা বাংলাদেশি আর বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষার ইতিহাস ও আন্দোলন অত্যন্ত দীর্ঘ। আজকে বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। আমাদেরকে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।’
বাংলা ভাষা নিয়ে যুব সমাজকে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নিজ সন্তানদের বাংলাভাষা চর্চায় উৎসাহিত করতে। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলনের জন্য যারা কাজ করছেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা উচিত। ভিন দেশি অপসংস্কৃতির হাত থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই জরুরি।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ। ভাষা আন্দোলনে যেমন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি আদায় করেছিল, ঠিক তেমনি আজকে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে দল-মত ও শ্রেণি-পেশার ঊর্ধ্বে উঠে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই এ জাতির মুক্তি সম্ভব।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘১৯৫২ সালে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী আমাদের বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। একইভাবে আজ সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের আবারও প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের ওই অঙ্গীকার থেকে দূরে সরে এসে বাংলা ভাষাকে লাঞ্ছিত করা যাবে না। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়-এই সত্যটি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ভাষা মানুষের বিচ্ছিন্নতা দূর করে, পরস্পরকে ঐক্যবদ্ধ করে। কাজেই দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে বাংলা ভাষা চর্চাকে বিকশিত ও উন্নত করাই আমাদের অন্যতম কর্তব্য।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আতিয়ার রহমান, কবি মোশাররফ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক পরিষদের আব্দুল লতিফ, সম্ভাবনার বাংলাদেশ সমন্বয়ক শামসুর রহমানসহ প্রমুখ।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) দরপত্রের মাধ্যমে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দিপু ফরাজি ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বাঁধ সংস্কারের ঠিকাদারি কাজ পান। উপজেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে তাঁদের বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
৩২ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
৪৪ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
১ ঘণ্টা আগে