Ajker Patrika

তথ্য আপাদের মিছিলে পুলিশের বাধা, প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্য আপাদের মিছিল কাকরাইলে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে সড়কে বসে পড়েন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তথ্য আপাদের মিছিল কাকরাইলে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে সড়কে বসে পড়েন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের অনশনরত কর্মীরা চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ চার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। আজ রোববার (১ জুন) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁদের পাঁচজন প্রতিনিধি এ স্মারকলিপি দেন।

এর আগে আজ সকালে চার দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশের বাধা পান। পরে তাঁরা কাকরাইল মসজিদ সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ বেশ কয়েকজন নারীকে কিছুক্ষণের জন্য হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়াসহ চার দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন করছেন। তাঁদের কয়েকজন ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা করেন। কাকরাইলে পৌঁছালে পুলিশ মিছিলকারীদের বাধা দেয়। পরে তাঁরা সড়কে বসে পড়েন। বিকেলে পুলিশ তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে হেফাজতে নেয় এবং বাকিদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক ছেড়ে প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে যেতে অনুরোধ জানায়। এরপর আন্দোলনরত তথ্য আপারা প্রেসক্লাবে ফিরে গেলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, ‘চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে তাঁরা যমুনার দিকে যাচ্ছিলেন। পরে আলাপ করে তাঁদের প্রেসক্লাবের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আনা হয়েছিল, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়া তথ্য আপাকর্মীরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন, কৃষি, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে গ্রামের নারীদের তথ্যসেবা দিয়ে আসছেন। দেশের ৪৯২টি উপজেলায় মাঠপর্যায়ে প্রায় ১ হাজার ৯৬৮ জন নারীকর্মী এ কাজ করছেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ফেনীর ফুলগাজীর তথ্যসেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছি। তবু রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ নেই। উল্টো নিয়োগপত্র অনুযায়ী বেতন না দিয়ে সাবেক প্রকল্প পরিচালক মিনা পারভীন কমিয়ে দিয়েছেন।’

তথ্য আপাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—প্রকল্পের সব কর্মীকে সমগ্রেডে পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, তা সম্ভব না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৩-৫ বছর বৃদ্ধি, শূন্য পদের ভিত্তিতে কর্মীদের মন্ত্রণালয়ের আওতায় আত্তীকরণ এবং কেটে রাখা বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত