গাজিপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে ‘চোর’ সম্বোধন করে হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকের ফেসবুক লাইভ ও স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
গত শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে আদম তমিজি হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বলেন, ‘শুভ বিকেল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তাঁর চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন। তাঁরা এ পর্যন্ত আমার ১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন।’ প্রতিমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তুই একটা চোর, বাটপার, তুই আমাকে চিনস। আমি টঙ্গীতে আসতেছি। সাহস থাকলে ঠেকা।’ আদম তমিজি হক ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতি লীগের প্রধান উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।
ফেসবুক লাইভ ছাড়াও অপর স্ট্যাটাসে (ইংরেজিতে) আদম তমিজি হক লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী, অনেকেই আপনারা এত দিন আমাকে “চুতিয়া” ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
অন্য এক স্ট্যাটাসে আদম তমিজি হক নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, ‘প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল ও তাঁর চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’
আদম তমিজি হককে একটি লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে দেখা যায়। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মাইরা দিয়া আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে আমি এ দেশের নাগরিক থাকতে চাচ্ছি না। আমার ফ্যামিলির যদি কিছু হয়, আপনারা বুঝবেন কারা করছে।’
এর আগে গত বুধবার রাতে টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকার হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (হক বিস্কুট) কারখানার ভেতরে কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান রুমেলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। অভিযোগ ওঠে অপর এক কর্মকর্তা ইশান খানের বিরুদ্ধে। ঈশান খান কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার পর পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয় মুশফিকুর রহমানকে।
রাতেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে মুশফিকুর রহমান কারখানার কয়েক লাখ টাকার হিসাবে গরমিল করেন। রাতে হিসাব বুঝে নিতে কারখানাটির অন্যান্য কর্মকর্তা আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এ সময় হিসাবে গরমিলের অভিযোগ এনে কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ঈশান খান ও বহিরাগত একদল যুবক মুশফিকুর রহমানকে কারখানার ভেতর পিটিয়ে আহত করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না এমন মৌখিক শর্তে মুসফিকুর রহমান রুমেলকে পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কারখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি সমাধান করতে রাতেই কারখানায় উপস্থিত হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও তাঁর অনুসারীরা।
এ ঘটনার পর থেকে টঙ্গীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, ঝাড়ু মিছিল, মশাল মিছিল করেছেন। কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার তমিজি হক অভিযোগ করে বলেন, হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুমেল মিলে ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানায় সালিশি সভা এবং সংবাদ সম্মেলনের কথা জানালেও পরে তিনি টঙ্গীতে আসেননি।
এ ঘটনায় আদম তমিজি হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলেতে রাজি হননি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আদম তমিজি হকের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাত ১০টায় টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকায় হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের একটি কারখানার ভেতরে ওই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমানকে মারধর করা হয়। মারধরের সময় তাঁর হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। যেহেতু আমি রাজনীতি করি, তাই খবর পেয়ে সেখানে যাই। পুলিশও সেখানে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে গুরুতর আহত অবস্থায় মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে তাঁর স্ত্রী মলি রহমানের হেফাজতে দেওয়া হয়। কিন্তু ভয়ে তাঁরা কোনো অভিযোগ করেনি।’
মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘আদম তমিজি হকের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। তিনি হয়তো কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে রাজনৈতকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এসব মিথ্যা কথা প্রচার করছেন।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমি ঐ কারখানার বিষয়ে কিছুই জানি না। একটি গণমাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-২ আসনে আমার নাম আসার পর থেকে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আমার, আমার পিতা ও আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমাকে জড়িয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তানফিজুর রহমান বলেন, ‘হক গ্রুপের কারখানার দুই ম্যানেজারের মধ্যে মারামারি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আহত অবস্থায় মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে স্ত্রীর জিম্মায় দেওয়া হয়। বিষয়টি কারখানার অভ্যন্তরীণ হওয়ায় তারা মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যেবস্থা নেওয়া হবে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে ‘চোর’ সম্বোধন করে হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকের ফেসবুক লাইভ ও স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
গত শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে আদম তমিজি হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বলেন, ‘শুভ বিকেল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তাঁর চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন। তাঁরা এ পর্যন্ত আমার ১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন।’ প্রতিমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তুই একটা চোর, বাটপার, তুই আমাকে চিনস। আমি টঙ্গীতে আসতেছি। সাহস থাকলে ঠেকা।’ আদম তমিজি হক ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতি লীগের প্রধান উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।
ফেসবুক লাইভ ছাড়াও অপর স্ট্যাটাসে (ইংরেজিতে) আদম তমিজি হক লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী, অনেকেই আপনারা এত দিন আমাকে “চুতিয়া” ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
অন্য এক স্ট্যাটাসে আদম তমিজি হক নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, ‘প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল ও তাঁর চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’
আদম তমিজি হককে একটি লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে দেখা যায়। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মাইরা দিয়া আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে আমি এ দেশের নাগরিক থাকতে চাচ্ছি না। আমার ফ্যামিলির যদি কিছু হয়, আপনারা বুঝবেন কারা করছে।’
এর আগে গত বুধবার রাতে টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকার হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (হক বিস্কুট) কারখানার ভেতরে কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান রুমেলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। অভিযোগ ওঠে অপর এক কর্মকর্তা ইশান খানের বিরুদ্ধে। ঈশান খান কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার পর পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয় মুশফিকুর রহমানকে।
রাতেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে মুশফিকুর রহমান কারখানার কয়েক লাখ টাকার হিসাবে গরমিল করেন। রাতে হিসাব বুঝে নিতে কারখানাটির অন্যান্য কর্মকর্তা আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এ সময় হিসাবে গরমিলের অভিযোগ এনে কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ঈশান খান ও বহিরাগত একদল যুবক মুশফিকুর রহমানকে কারখানার ভেতর পিটিয়ে আহত করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না এমন মৌখিক শর্তে মুসফিকুর রহমান রুমেলকে পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কারখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি সমাধান করতে রাতেই কারখানায় উপস্থিত হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও তাঁর অনুসারীরা।
এ ঘটনার পর থেকে টঙ্গীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, ঝাড়ু মিছিল, মশাল মিছিল করেছেন। কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার তমিজি হক অভিযোগ করে বলেন, হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুমেল মিলে ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানায় সালিশি সভা এবং সংবাদ সম্মেলনের কথা জানালেও পরে তিনি টঙ্গীতে আসেননি।
এ ঘটনায় আদম তমিজি হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলেতে রাজি হননি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আদম তমিজি হকের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাত ১০টায় টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকায় হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের একটি কারখানার ভেতরে ওই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমানকে মারধর করা হয়। মারধরের সময় তাঁর হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। যেহেতু আমি রাজনীতি করি, তাই খবর পেয়ে সেখানে যাই। পুলিশও সেখানে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে গুরুতর আহত অবস্থায় মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে তাঁর স্ত্রী মলি রহমানের হেফাজতে দেওয়া হয়। কিন্তু ভয়ে তাঁরা কোনো অভিযোগ করেনি।’
মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘আদম তমিজি হকের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। তিনি হয়তো কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে রাজনৈতকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এসব মিথ্যা কথা প্রচার করছেন।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমি ঐ কারখানার বিষয়ে কিছুই জানি না। একটি গণমাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-২ আসনে আমার নাম আসার পর থেকে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আমার, আমার পিতা ও আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমাকে জড়িয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তানফিজুর রহমান বলেন, ‘হক গ্রুপের কারখানার দুই ম্যানেজারের মধ্যে মারামারি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আহত অবস্থায় মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে স্ত্রীর জিম্মায় দেওয়া হয়। বিষয়টি কারখানার অভ্যন্তরীণ হওয়ায় তারা মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যেবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যেতে বাধা পেয়ে সেখানে অবস্থান নেন তাঁরা।
২০ মিনিট আগেস্ত্রীর মৃত্যুর শোকে জানাজার সময় মারা গেলেন স্বামী জমশিদ আলীও। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ইলামেরগাঁও আটঘর গ্রামে। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৩০ মিনিট আগেটঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত চলাকালীন ড্রোন আছড়ে পড়ে অর্ধশতাধিক মুসল্লি পদদলিত হয়ে আহতের ঘটনায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানের স্বাক্ষরিত এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া আরও দুই শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ঝাটিবেলাই গ্রামে ফুলজোড় নদে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে নিখোঁজ তিনজনেরই লাশ পাওয়া গেল।
১ ঘণ্টা আগে