Ajker Patrika

ভৈরবে ইটের আঘাতে মাজারের খাদেমকে হত্যা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ৩৬
ভৈরবে ইটের আঘাতে মাজারের খাদেমকে হত্যা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুর্বৃত্তের ইটের আঘাতে রজব আলী নামের খাদেম নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের পোড়া শাহ পাগলার মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রজব আলী একই ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে এবং পোড়া শাহ পাগলার মাজারের খাদেম। 

স্থানীয়রা জানান, রজব আলী এক মাজারভক্ত লোক ছিলেন। একসময় তিনি জুতার ব্যবসা করতেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ মাজারের পাশে একটি টিনশেড ঘরে বসবাস করছেন। মাজার কর্তৃপক্ষ তাঁকে মাজারে চাবি দিয়ে রেখেছেন। তিনি মাজারে সার্বিক বিষয়ে তদারকি করতেন। নিহতের পরিবার সিলেটের মেন্দিবাগ এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর চারজন ছেলেসন্তান রয়েছে। রজব আলী ভৈরব থেকে সিলেটে পরিবারের কাছে মাঝেমধ্যে গিয়ে থাকতেন। 

 ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহান মিয়া বলেন, ‘রজব আলী ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি কে বা কারা তাঁকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে।’ 

নিহতের বড় ভাই জনাব আলী বলেন, ‘রাত ১১টায় আমার সঙ্গে খেয়ে এসেছে। বাড়িতে ভাইয়ের বসতঘর নির্মাণের জন্য আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। সকালে ভাইকে নিয়ে ছোট বোনের জামাইর কাছে বাড়ি করার টাকা আনতে যাওয়ার কথা ছিল। কে বা কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ 

নিহতের চাচাতো ভাই দুলাল মিয়া বলেন, ‘রাত দেড়টায় ভাইকে নিয়ে মাজারে একসঙ্গে চা খেয়েছি। এ সময় রুমান মিয়া, কট্রা পাগলা, আবুল মিয়া, এরশাদ মিয়া নামের চারজন লোক আমাদের সঙ্গে ছিল। আমি চলে যাওয়ার সময় তাদের মাজারে রেখে যাই। ভোরে শুনতে পায় কে বা কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে রাতে যাদের সঙ্গে দেখে গেলাম, কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ 

মাজার কমিটির সভাপতি বসির উদ্দিন জানান, মাজারপন্থী যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গেই মিশত রজব আলী। তাঁদের মধ্যেই কোনো একটি ঘটনায় রজব আলীকে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে রজব আলীর কোনো শত্রু ছিল না। 

ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, ইটের এলোপাতাড়ি আঘাতে রজব আলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত