Ajker Patrika

সিরাজদিখানে কারফিউ শিথিলে সড়কে ও হাটে-বাজারে ব্যস্ততা

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৫: ০৬
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জে সাত ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এতে সিরাজদিখানে জনজীবনে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল এখানে। তাই জরুরি কাজ সারতে অনেকেই  ঘরের বাইরে বের হয়েছেন। এ সময় রাস্তায় প্রচুর রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। খোলা ছিল দোকানপাট, মার্কেট ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজদিখানের সড়কগুলোতে প্রচুর যান চলাচল করছে। রিকশা ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহন চলাচল করছে। এদিন সাধারণ ছুটি না থাকায় সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে। অনেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা নিতে দেখা গেছে। 

এ ছাড়া অনেকেই বের হয়েছেন পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কাজে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ভিড় ছিল হাট-বাজারগুলোতে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানপাট খোলা ছিল সকাল থেকেই। বেলা ১১টা থেকে প্রধান প্রধান সড়কে ছিল স্বাভাবিক পরিস্থিতি। খোলা ছিল অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এর মাঝেও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিল পুলিশের সতর্ক অবস্থান।

সিরাজদিখানে রিকশা ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছেসিরাজদিখান বাজারে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কোটা আন্দোলন ও কারফিউর কারণে বাজারসদাই করতে আসতে পারিনি। আজকে যেহেতু সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল এবং সিরাজদিখান বাজারে সাপ্তাহিক হাট রয়েছে, সে জন্যই বাজারে এসেছি। তবে কোটা আন্দোলন ও কারফিউর কারণে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সরকারের উচিত নিত্যপণ্যের গাড়ি জেলা-উপজেলাগুলোতে যেন সুন্দরভাবে পৌঁছাতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া। তোহলে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হবে। তা না হলে আমাদের আরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’ 

আল আমিন নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আয় বন্ধ থাকায় আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আজ কাজ করতে বের হয়েছি। তবে কাজ পাইনি। এ ধরনের পরিস্থিতি বেশি দিন হলে নিম্নবিত্তদের জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। তাই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে চাই। না হলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।’
 
কারফিউ শিথিল থাকায় বিভিন্ন রাস্তায় ছিল মানুষের ভিড়সিরাজদিখান বাজারের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘কোটা আন্দোলন ও কারফিউর কারণে আমাদের বেচাবিক্রি একেবারেই কমে গেছে। কারফিউ তুলে না দেওয়া পর্যন্ত বেচাবিক্রি ভালো হবে না। আমাদের অলস সময় পার করতে হচ্ছে। এর ফলে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
 
অটোরিকশাচালক রুবেল শেখ বলেন, ‘কারফিউ শিথিল হওয়ার পর থেকে হাটবাজারে প্রচুর মানুষ এসেছে। এতে আমাদের যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। আয়রোজগার ভালো হচ্ছে।’

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল আছে। এ সময় জরুরি কাজ সেরে নিতে পারবেন এখানকার বাসিন্দারা। তবে বিকেল ৫টার পর থেকে কেউ বাইরে থাকতে পারবেন না, কেউ থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত