পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষক নজরুল ইসলাম। ব্ল্যাকবেবী জাতের তরমুজ চাষ করে আয় করেছেন লাখ টাকা। গ্রীষ্মকালীন এ জাতের তরমুজ চাষে তিনি সফলতা পেয়েছেন। মাত্র তিন মাসে তরমুজ চাষ করে তিনি এ টাকা লাভ করেন। তাঁর এ সফলতা দেখে অন্য চাষিরাও এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
নজরুল ইসলাম উপজেলার চণ্ডীপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিজের এক বিঘা (৩৫ শতক) জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রদর্শনী হিসেবে ব্ল্যাকবেবী জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ করেন।
কৃষক নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ জুন প্রথমে কোকোপিটের মাধ্যমে ট্রেতে বীজ বপন করে তরমুজের চারা তৈরি করেন। এরপর ২৫ জুন জমিতে চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের ৭০-৭৫ দিন বয়সের মধ্যে ফলন উত্তোলন শুরু হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রদর্শনী হিসেবে ৩৫ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাকবেবী জাতের ১ হাজার ৫০০ চারা রোপণ করি। প্রতিটি গাছে ২-৩টি করে তরমুজ ধরেছে। প্রতিটি তরমুজ ৩-৪ কেজি ওজনের হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম বাগান থেকে তরমুজ উত্তোলন করি। প্রায় তিন হাজার কেজি তরমুজ উত্তোলন করা হয়েছে। বাগান থেকেই পাইকাররা ৪০ টাকা কেজি ধরে কিনে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপেই এক লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। আর দুই বার তরমুজ উত্তোলন করা যাবে। তা থেকে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হবে। জমি আবাদে ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদে লাখ টাকার বেশি তার আয় থাকবে বলে জানান।
সরেজমিনে চন্ডীপাশা ব্লকের ওই বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য তরমুজ। প্রতিটি গাছে ৩-৪টি করে তরমুজ ধরেছে। প্রত্যেকটির ওজন প্রায় তিন থেকে চার কেজি করে হবে। প্রতিটি তরমুজ প্লাস্টিকের জালের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে সবুজ রং, ভেতরে টকটকে লাল, খেতে বেশ আর সুস্বাদু।
চন্ডীপাশা ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশনায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ওই ব্লকের কৃষক নজরুল ইসলামেরর ৩৫ শতক জমিতে ব্ল্যাকবেবী জাতের তরমুজ আবাদের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে তিনি বেশ সফলতা পেয়েছেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি লাখ টাকা আয় করতে পেরেছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করা এবং কীটনাশক ব্যবহার হ্রাস করার জন্য হলুদ রঙের ট্র্যাপ ও সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এতে যেমন জমির গুণগত মান বজায় থাকছে পাশাপাশি বিষমুক্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুর-ই-আলম বলেন, কৃষি এখন লাভ জনক একটি পেশা। কৃষকদের উচ্চ ফলশীল দামি ফসল উৎপাদনে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে কৃষকেরা কম সময়ে অধিক লাভবান হচ্ছেন। এসব উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষক নজরুল ইসলাম। ব্ল্যাকবেবী জাতের তরমুজ চাষ করে আয় করেছেন লাখ টাকা। গ্রীষ্মকালীন এ জাতের তরমুজ চাষে তিনি সফলতা পেয়েছেন। মাত্র তিন মাসে তরমুজ চাষ করে তিনি এ টাকা লাভ করেন। তাঁর এ সফলতা দেখে অন্য চাষিরাও এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
নজরুল ইসলাম উপজেলার চণ্ডীপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিজের এক বিঘা (৩৫ শতক) জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রদর্শনী হিসেবে ব্ল্যাকবেবী জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ করেন।
কৃষক নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ জুন প্রথমে কোকোপিটের মাধ্যমে ট্রেতে বীজ বপন করে তরমুজের চারা তৈরি করেন। এরপর ২৫ জুন জমিতে চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের ৭০-৭৫ দিন বয়সের মধ্যে ফলন উত্তোলন শুরু হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রদর্শনী হিসেবে ৩৫ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাকবেবী জাতের ১ হাজার ৫০০ চারা রোপণ করি। প্রতিটি গাছে ২-৩টি করে তরমুজ ধরেছে। প্রতিটি তরমুজ ৩-৪ কেজি ওজনের হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম বাগান থেকে তরমুজ উত্তোলন করি। প্রায় তিন হাজার কেজি তরমুজ উত্তোলন করা হয়েছে। বাগান থেকেই পাইকাররা ৪০ টাকা কেজি ধরে কিনে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপেই এক লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। আর দুই বার তরমুজ উত্তোলন করা যাবে। তা থেকে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হবে। জমি আবাদে ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদে লাখ টাকার বেশি তার আয় থাকবে বলে জানান।
সরেজমিনে চন্ডীপাশা ব্লকের ওই বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য তরমুজ। প্রতিটি গাছে ৩-৪টি করে তরমুজ ধরেছে। প্রত্যেকটির ওজন প্রায় তিন থেকে চার কেজি করে হবে। প্রতিটি তরমুজ প্লাস্টিকের জালের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে সবুজ রং, ভেতরে টকটকে লাল, খেতে বেশ আর সুস্বাদু।
চন্ডীপাশা ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশনায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ওই ব্লকের কৃষক নজরুল ইসলামেরর ৩৫ শতক জমিতে ব্ল্যাকবেবী জাতের তরমুজ আবাদের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে তিনি বেশ সফলতা পেয়েছেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি লাখ টাকা আয় করতে পেরেছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করা এবং কীটনাশক ব্যবহার হ্রাস করার জন্য হলুদ রঙের ট্র্যাপ ও সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এতে যেমন জমির গুণগত মান বজায় থাকছে পাশাপাশি বিষমুক্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুর-ই-আলম বলেন, কৃষি এখন লাভ জনক একটি পেশা। কৃষকদের উচ্চ ফলশীল দামি ফসল উৎপাদনে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে কৃষকেরা কম সময়ে অধিক লাভবান হচ্ছেন। এসব উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২১ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৮ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে