Ajker Patrika

মুলাদীতে বিএনপির আহ্বায়কসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রজন্ম লীগ নেতার মামলা

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের মুলাদীতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শরীয়ত উল্লাহসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রজন্ম লীগ নেতা। চরকালেখান ইউনিয়নের ষোলঘর গ্রামের মৃত মন্নান ব্যাপারীর ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে গত ১৪ জুলাই বরিশাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন। জয়নাল আবেদীন কেন্দ্রীয় প্রজন্ম লীগের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হেমায়েত উদ্দীন জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শরীয়ত উল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন মিথ্যা মামলা করেছেন। নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই মামলাটি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, মামলার আসামিদের একজন হচ্ছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চরকালেখান কলেজ শাখার সভাপতি মো. তারেক হোসেন।

জয়নাল আবেদীন মামলায় উল্লেখ করেন, তাঁর প্রতিবেশী লালচান মাতুব্বর ঢাকায় গাড়ি ভাড়ার (রেন্ট-এ-কার) ব্যবসা করেন। লালচান মাতুব্বর প্রায় দেড় বছর আগে ব্যবসার জন্য জয়নাল আবেদীনের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা ধার নেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই পাওনা টাকা তুলতে তিনি ব্যর্থ হন। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক সরদার তাঁকে পাওনা টাকা তুলে দেওয়ার আশ্বাসে বাসায় ডেকে নেন। ওই সময় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা লালচান মাতুব্বরের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণসহ জয়নাল আবেদীনকে ১ কোটি টাকা আদায় করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীয়ত উল্লাহ বাধা দেন।

তবে এ বিষয়ে লালচান মাতুব্বর বলেন, ‘আমি চরকালেখান ডাক্তার বাজারে একটি ছোট দোকান চালাই। রেন্ট-এ-কারের কোনো ব্যবসা করি না। জয়নাল আবেদীন ভুয়া স্ট্যাম্প বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা ধারের অভিযোগে আগেও মামলা করেছিলেন। জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে এখন আবার হয়রানিমূলক মামলা দিচ্ছেন।’

চরকালেখান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক সরদার বলেন, ‘জয়নাল আবেদীন কারও কাছে টাকা পাবেন কি না, তা জানা নেই। তাঁকে পাওনা টাকা দেওয়ার আশ্বাসে কেউ ডাকে নাই। তিনি মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন।’

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শরীয়ত উল্লাহ বলেন, জয়নাল আবেদীন কেন্দ্রীয় প্রজন্ম লীগের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে প্রতিবেশী বিএনপি কর্মীদের জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তাঁর কাছে কেউ চাঁদা দাবি করেননি কিংবা তাঁর বাড়িতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে তিনি নতুন করে আদালতে মামলা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত