Ajker Patrika

বুয়েট শিক্ষার্থী সানির মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৯ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বুয়েট শিক্ষার্থী সানির মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম এই তারিখ ধার্য করেন। 

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার দোহারের কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামসুল আলম প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন। 

নিহত সানির ১৫ বন্ধু এই মামলার আসামি। আসামিরা হলেন শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু। 

গত বছর ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৫-১৬ জন যুবক দোহারের মৈনটঘাটে পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা–পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরদিন সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 

এ ঘটনায় সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বুয়েটের শিক্ষার্থী সানিসহ ১৬ যুবক একসঙ্গে ঘুরতে যান মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত দোহারের মৈনটঘাটে। ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বন্ধুরা তাঁকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন। 

আসামিদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতা বসত পা পিছলে পড়ে যান সানি। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯–এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত