Ajker Patrika

নদীর তীরের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

নদীর তীরের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

গাজীপুরের শ্রীপুরে পারুলী নদীর তীরের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এসব মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ডাম্প ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। রাতদিন এসব মাটি কেটে বিক্রি করলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। 

স্থানীয়রা জানান, মাটিবাহী এসব ডাম্প ট্রাক চলাচলের কারণে আশপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক ভেঙে খানাখন্দে সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা আক্তারুজ্জামান পলান। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। 
 
স্থানীয়রা জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শ্রীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বুকচির এলাকার পারুলী নদী খননের উদ্যোগ নেয়। নদী খননের মাটি তীরেই স্তূপ করে রাখা হয়। গত কয়েক দিন ধরে আক্তারুজ্জামান পলান তাঁর লোকজন দিয়ে ভেকুর (এক্সকাভেটর) সাহায্যে ওই মাটি ডাম্প ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকার। কমপক্ষে ১০ টির মতো ডাম্প ট্রাকে মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় চলাচল করছে অধিক ওজনের ডাম্প ট্রাক। মাটিবাহী গাড়ি চলাচলে আশপাশের সড়ক ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষায় এই অঞ্চলের মানুষের চলাচল খুবই ভোগান্তি হবে। তা ছাড়া ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। 

পারুলী নদীর তীরের স্তূপ করে রাখা নদী খননের মাটি। ছবি: আজকের পত্রিকালোকমান হোসেন আরও বলেন, ‘সরকারি নদীর মাটি এভাবে কেটে বিক্রি করলেও প্রশাসনের নজরদারি দেখি না।’ 

পারুলী নদীর তীরে বসে মাটির গাড়ি হিসাব করছিলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী খান। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। মেহেদী খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান পলান এই মাটি নিচ্ছেন। আমি হিসাব-নিকাশ করি। তবে তিনি মাটি বিক্রি করছেন না, তাঁর নিজস্ব জমি ভরাট করছেন।’ 

এত মাটি দিয়ে তিনি তাঁর জমি ভরাট করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী খান উত্তর দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আপনি নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।’ 

আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান পলানের সঙ্গে মুঠোফোনে নদীর মাটি কেটে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মাটি বিক্রি করছি না। নদী খননের সময় যে মাটি পাশের ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলো নিয়ে জমি চাষের উপযোগী করে দিচ্ছি। আমি মাটি কেটে বিক্রি করছি না।’ 

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুত সময়ের মধ্যে লোকজন পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত