Ajker Patrika

পূর্ব শত্রুতার জেরেই খুন হন মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০০: ১০
পূর্ব শত্রুতার জেরেই খুন হন মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল: র‍্যাব

মৌলভীবাজারের নিহত ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানের দল প্রথমে হামলা চালিয়ে আব্দুল আহাদ নাইছ মিয়ার ছেলে জুয়েলের পা ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে চার ভাই মিলে নাজমুলের প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে নাজমুলকে হত্যা করে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

খন্দকার মঈন বলেন, নাজমুলকে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি তোফাজ্জলের শ্বশুরের সঙ্গে নিহতের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। এ ছাড়া নিহত নাজমুল ও আসামিদের মধ্যে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা স্বীকার করেছে। 

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বাবর ও রাসেল এবং মামলার আসামি তোফায়েল ও জুয়েল পরস্পর সহোদর। হত্যাকাণ্ডের মূল নেতৃত্বে ছিলেন তোফায়েল। গত ৩০ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের আগের দিন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তোফায়েল মিয়া ও বাবর ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। হত্যাকাণ্ডের দিন আসামিরা মৌলভীবাজার সদরের জগন্নাথপুরে একত্রিত হয়। পরে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে চৈত্রঘাট বাজারে আসে। এ সময় নাজমুল হাসান চৈত্রঘাট বাজার থেকে বাসায় যাওয়ার পথে হত্যাকারীরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে নাজমুলকে রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। 

খন্দকার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির একজন রাসেল ঘটনাস্থলে অস্ত্রসহ তদারকি করেন। আর মাসুদ নাজমুলের হাঁটু থেকে পায়ের নিচের অংশে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আর এ ঘটনার মাস্টার মাইন্ড মরদিছ ঘটনাস্থলে ওয়াচম্যানের দায়িত্ব পালন করে। 

উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে একটি কালো মাইক্রোবাসযোগে দুর্বৃত্তরা চৈত্রঘাট বাজারে এসে হঠাৎ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই শামসুল মিয়া বাদী হয়ে গত সোমবার ১৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বাবর মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এবং অন্য একজনকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাবর মিয়া (২৮), রাসেল মিয়া (৩২), মাসুদ মিয়া (৪২) ও মরদিছ মিয়া (৬৮)। 

র‍্যাব জানায়, গত রোববার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে র‍্যাব ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে সংস্থাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

জুলাই অভ্যুত্থান: নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এরদোয়ানও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত