আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
‘এক বেলা খেয়ে দুই বেলা না খাওয়া। আবার রাজনীতি কিসের?’ বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন গৃহিণী হাফছা খানমের স্বামী কাইয়ুম ইসলাম। ৯ মাস বয়সী শিশুসন্তান কোলে নিয়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) আদালতে হাজির হন স্বামীকে ছাড়াতে। স্বামী রাজনীতি করেন কি না, জিজ্ঞাসার জবাবে পাল্টা উপরোক্ত প্রশ্নটি করেন হাফসা।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সন্তান কোলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাফছা খানমকে। তিনি বলেন, ‘স্বামী কাইয়ুম ইসলামকে গতকাল রাতে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।’ তিনি আরও বলেন, লালবাগের একটি প্লাস্টিক কারখানায় অটোমেশিনে কাজ করেন কাইয়ুম। তাঁর বয়স ২৮ বছর।
প্লাস্টিক কারখানায় কাজ শেষে প্রায়ই গভীর রাতে বাসায় ফিরতে হয় কাইয়ুমকে। শুক্রবার দিবাগত রাতেও বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁর মোবাইল ফৌন চেক করে। পুলিশের দাবি, তাঁর মোবাইল ফোনে বিএনপির কোনো এক নেতার ছবি পাওয়া গেছে। এ কারণেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ কথা জানান হাফসা।
বাসায় না ফেরায় রাত ৩টার দিকে হাফসা খানম লালবাগ থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, সকালে আদালতে পাঠানো হবে তাঁর স্বামীকে। এ কারণেই তিনি আদালতে এসেছেন।
হাফসা বলেন, একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আইনজীবী বলেছেন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হলে জামিন হবে না। শুনে ভেঙে পড়েন হাফসা। স্বামী জেলে থাকলে কীভাবে সংসার চলবে তাঁর!
হাফসা বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। স্বামীকে জেলে পাঠালে আমরা খাব কী?’
বিএনপি বা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে স্বামী জড়িত কি না—এই প্রশ্নের জবাবে হাফসা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এক বেলা খেয়ে দুই বেলা না খাওয়া। এদের আবার রাজনীতি কিসের?’ তিনি আরও বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই। রাজনীতি করলে তো চলবে না।’
হাফসা খানম বলেন, নেত্রকোনার পূর্বধলায় তাঁদের বাড়ি। এখানে ইসলামবাগে ছোট একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। স্বামী রাজনীতি করেন না এবং প্লাস্টিক কারখানায় চাকরি করেন—এ কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে হাফসা খানম বলেন, ‘থানায় ওরা বড় অফিসার। আমরা সাধারণ গরিব মানুষ। আমাদের কথা কেন শুনবে? কেউ কথাই বলে না। থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বলেছে, সকালে আদালতে যাও। তাই সকাল সকাল আদালতে এসেছি। আমার স্বামীকে এখনো আদালতে হাজির করেনি।’
শুধু হাফছা খানমই নন, শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত পুলিশের হাতে আটক অনেকের স্বজন এদিন ভিড় করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে।
কদমতলী থানা এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের বাহাউদ্দিন। তাঁর আপন ভাইও আদালতে এসেছিলেন ভাইকে জামিন করানোর জন্য। তিনি বলেন, তাঁর ভাই বাহাউদ্দিন একটি লঞ্চে চায়ের দোকানদার। কদমতলীতে থাকেন। মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে শুক্রবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়। বাহাউদ্দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তবে বিএনপির সমর্থক বলে জানান তিনি।
বাহাউদ্দিনের ভাই বলেন, তাঁর ভাই কখনোই কোনো মিছিল-মিটিংয়ে যাননি। বিএনপির সমর্থক হিসেবে তাঁর মোবাইল ফোনে ঢাকা বিএনপির নেতা-নেত্রীর ছবি দেখে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানতে পেরেছেন, কদমতলী থানার একটি নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
‘এক বেলা খেয়ে দুই বেলা না খাওয়া। আবার রাজনীতি কিসের?’ বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন গৃহিণী হাফছা খানমের স্বামী কাইয়ুম ইসলাম। ৯ মাস বয়সী শিশুসন্তান কোলে নিয়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) আদালতে হাজির হন স্বামীকে ছাড়াতে। স্বামী রাজনীতি করেন কি না, জিজ্ঞাসার জবাবে পাল্টা উপরোক্ত প্রশ্নটি করেন হাফসা।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সন্তান কোলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাফছা খানমকে। তিনি বলেন, ‘স্বামী কাইয়ুম ইসলামকে গতকাল রাতে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।’ তিনি আরও বলেন, লালবাগের একটি প্লাস্টিক কারখানায় অটোমেশিনে কাজ করেন কাইয়ুম। তাঁর বয়স ২৮ বছর।
প্লাস্টিক কারখানায় কাজ শেষে প্রায়ই গভীর রাতে বাসায় ফিরতে হয় কাইয়ুমকে। শুক্রবার দিবাগত রাতেও বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁর মোবাইল ফৌন চেক করে। পুলিশের দাবি, তাঁর মোবাইল ফোনে বিএনপির কোনো এক নেতার ছবি পাওয়া গেছে। এ কারণেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ কথা জানান হাফসা।
বাসায় না ফেরায় রাত ৩টার দিকে হাফসা খানম লালবাগ থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, সকালে আদালতে পাঠানো হবে তাঁর স্বামীকে। এ কারণেই তিনি আদালতে এসেছেন।
হাফসা বলেন, একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আইনজীবী বলেছেন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হলে জামিন হবে না। শুনে ভেঙে পড়েন হাফসা। স্বামী জেলে থাকলে কীভাবে সংসার চলবে তাঁর!
হাফসা বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। স্বামীকে জেলে পাঠালে আমরা খাব কী?’
বিএনপি বা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে স্বামী জড়িত কি না—এই প্রশ্নের জবাবে হাফসা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এক বেলা খেয়ে দুই বেলা না খাওয়া। এদের আবার রাজনীতি কিসের?’ তিনি আরও বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই। রাজনীতি করলে তো চলবে না।’
হাফসা খানম বলেন, নেত্রকোনার পূর্বধলায় তাঁদের বাড়ি। এখানে ইসলামবাগে ছোট একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। স্বামী রাজনীতি করেন না এবং প্লাস্টিক কারখানায় চাকরি করেন—এ কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে হাফসা খানম বলেন, ‘থানায় ওরা বড় অফিসার। আমরা সাধারণ গরিব মানুষ। আমাদের কথা কেন শুনবে? কেউ কথাই বলে না। থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বলেছে, সকালে আদালতে যাও। তাই সকাল সকাল আদালতে এসেছি। আমার স্বামীকে এখনো আদালতে হাজির করেনি।’
শুধু হাফছা খানমই নন, শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত পুলিশের হাতে আটক অনেকের স্বজন এদিন ভিড় করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে।
কদমতলী থানা এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের বাহাউদ্দিন। তাঁর আপন ভাইও আদালতে এসেছিলেন ভাইকে জামিন করানোর জন্য। তিনি বলেন, তাঁর ভাই বাহাউদ্দিন একটি লঞ্চে চায়ের দোকানদার। কদমতলীতে থাকেন। মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে শুক্রবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়। বাহাউদ্দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তবে বিএনপির সমর্থক বলে জানান তিনি।
বাহাউদ্দিনের ভাই বলেন, তাঁর ভাই কখনোই কোনো মিছিল-মিটিংয়ে যাননি। বিএনপির সমর্থক হিসেবে তাঁর মোবাইল ফোনে ঢাকা বিএনপির নেতা-নেত্রীর ছবি দেখে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানতে পেরেছেন, কদমতলী থানার একটি নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
১৭ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
২৮ মিনিট আগেনাটোরের নলডাঙ্গায় একটি হোটেলে মরা মুরগি রাখার দায়ে হোটেলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় আসামিদের অবাধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগে